জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, ঝড়ে দেড় হাজার হেক্টর কলা, এক হাজার ২৫ হেক্টর শাকসবজি, ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর মুগডাল, ২ হাজার ২০ হেক্টর তিল, ৭৫০ হেক্টর মরিচ, ১০০ হেক্টর বোরো ধান, দেড় হাজার হেক্টর পান বরজ, ২ হাজার ৮৭৫ হেক্টর আম ও ৪১৮ হেক্টরের লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অংকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে তার দেড় বিঘা জমির পান বরজ নষ্ট হয়ে গেছে। বরজে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পান ছিল। বিধ্বস্ত পান বরজ মেরামত করতে এখন প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে।
সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের চাষি কাদের মিয়া জানান, এ বছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলেন। কলা বিক্রি করে তার কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা আয় হত। কিন্তু আম্পানে সব কলাগাছ ভেঙে পড়েছে।
মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের শামীম হোসেন জানান, আম্পানের কারণে তার মাছের খামারগুলো ভেসে গেছে। এছাড়া তার ১০ বিঘা জমির কলা খেত নষ্ট হয়েছে। মূলধন হারিয়ে এখন পথে বসেছেন তিনি।
শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ‘জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব কৃষকের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে তারা একটু হলেও বাঁচতে পারবেন। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, এ কৃষকদের যেন আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। পান বরজ, কলা খেত, আম ও লিচুসহ অন্যান্য ফসল যা রয়েছে তা সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।