তিনি বলেন, শুধু শহর অঞ্চলে পরিবেশ দূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ৫৪ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। তাছাড়া শহরগুলোতে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ সিসা দূষণের ঝুঁকিতে বসবাস করছে যাদের অধিকাংশই শিশু।’
রবিবার সিকৃবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র্যালি পরবর্তী আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলর ড. মতিয়ার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও প্রবৃদ্ধির হার বাড়াতে হলে বায়ু দুষণ রোধের বিকল্প নেই।
কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০১৯ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. শারফ উদ্দিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ সায়েম উদ্দিন আহম্মদ, ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ টি এম মাহবুব-ই-এলাহী প্রমুখ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, বায়ু দূষণের কারণে শিশুদের মেধা ও বুদ্ধিমত্তা হ্রাসের পাশাপাশি গর্ভাবস্থায় শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বক্তারা আরও বলেন, পৃথিবী ও মানব জাতির বিপর্যয়ের সবচেয়ে নিকটবর্তী কারণ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা আশু পদক্ষেপ না নিলে আগামী ৫০ বছরের মধ্যেই মানুষ মহাবিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।
র্যালি ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, বায়ু দূষণ প্রতিরোধে অবদানের জন্য এবছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থা কর্তৃক কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো. সামিউল আহসান তালুকদার ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিরো’ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন।