সামুদ্রিক প্রাণী নিয়ে কাজ করা 'ইকো ফিস বাংলাদেশের' কর্মকর্তাদের মতে, গত এক সপ্তাহে অন্তত শতাধিক কাছিম সৈকতে ভেসে এসেছে। তার মধ্যে কক্সবাজারের লাবণি পয়েন্ট থেকে দরিয়ানগর পর্যন্ত এলাকায় ভেসে আসে অন্তত ৩৫টি কাছিম। টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টেও কাছিম ভেসে এসেছে। তবে এসব কাছিম ভেসে আসার পর তাদের সংরক্ষণ বা চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় মৃত্যু হচ্ছে।
সৈকতের লাইফগার্ড কর্মী জয়নাল আবেদীন ভুট্টু বলেন, ‘গত তিনদিনে অন্তত ৩৫ কাছিম দেখতে পেয়েছি। বেশির ভাগই শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত। কিছু কাছিমের পা পর্যন্ত কেটে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসার ব্যবস্থা না থাকায় কাছিমগুলো সৈকতে এসে মারা যাচ্ছে । পরে সেগুলো কুকুরে খাচ্ছে। দ্রুত কাছিম সংরক্ষণের ব্যবস্থা না করলে হয়তো সৈকতে মারা যাবে শত শত কাছিম।’
ইকো ফিস বাংলাদেশের কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে কাছিম নিয়ে কাজ করছি। তবে এবারের কাছিমগুলোর উপর নির্মম অত্যাচার হয়েছে। তাই প্রাথমিকভাবে দেখে আবারও সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হচ্ছে।’
মেরিনলাইফ এ্যালাইন্সের কর্মকর্তা আব্দুস সালাম বলেন, ‘সৈকতে শত শত কাছিম ভেসে আসছে। সংরক্ষণের উদ্যোগ না থাকায় আবারও ছেড়ে দেয়া হয় সাগরে। আঘাতপ্রাপ্ত কাছিমের চিকিৎসার ব্যবস্থাও নেই। তাই সৈকতে মরছে কাছিম। যদি ভালো থাকত তাহলে আমরা নিয়ে নিতাম। কিন্তু পা না থাকায় কোনোভাবেই সেটাকে সংরক্ষণের আওতায় রাখা যাবে না।’