সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় চাষ হচ্ছে মরুভূমির ফল সাম্মাম। বিদেশি এই ফসল কর্তন কর্মসূচি ঘটা করে আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের রায়খাইলে ব্যক্তি উদ্যোগে উৎপাদিত মরুভূমির ফল সাম্মাম ফসল কর্তন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খাঁন বলেন, সিলেট অঞ্চলের পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পতিত জমি ব্যবহার করে আধুনিক প্রযুক্তির বিস্তার ও শস্য বহুমুখীকরণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। এতে কৃষকের আয় ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি সহ পুষ্টি ও সামাজিক ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: করোনা মহামারি এবং চড়া সুদের দাদনের কারণে বিপাকে পিরোজপুরের ভাসমান চাষীরা
তিনি বলেন, অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের পাশাপাশি সমাজের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার জেলা ও উপজেলা ভিত্তিক স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে দেশে কৃষিক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সাম্মাম ফল কর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. কাজী মুজিবুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাজিব হোসেন, দি নিউ নেশন এর সিলেট ব্যুরো প্রধান এস.এ শফি, উপসহকারী কৃষি অফিসার শাহিদা সুলতানা, নজরুল ইসলাম, এ.কে আজাদ ফাহিমদ, কৃষক জহির আলী সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, রসালো মিষ্টি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় ফল সাম্মাম প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন দক্ষিণ সুরমার জালালপুর ইউনিয়নের রায়খাইল গ্রামের প্রবাস ফেরত হাব্বান মিয়া ও বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা জহির আলী। তারা ব্যক্তিগতভাবে প্রথম বারের মতো ১০০ শতক জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে সাম্মাম চাষ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে কালো ধান চাষে চমক
পতিত জমি চাষের জন্য ব্যবহার করতে অন্য মন্ত্রীদের কৃষিমন্ত্রীর চিঠি