বেশ কিছুদিন ধরে বাতাসের মান ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে থাকলেও গতকাল শুক্রবার লাহোরের মতো দিল্লির বাতাসও দূষণে শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল। তবে এক দিন না যেতেই সেই অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। সেই সঙ্গে ঢাকার বাতাসের মানেও দূষণ বেড়েছে লক্ষণীয়ভাবে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল লাহোর ও দিল্লি। শহরদুটির বাতাসে দূষণের সূচক ছিল যথাক্রমে ১৫৯ ও ১৫২, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ। অথচ, গতকাল চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থেকেও এদের বাতাসে দূষণের মাত্রা ছিল ১২৮ ও ১২৭, যা কেবল ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত।
গতকালের মতো আজও বায়ুদূষণে শীর্ষ শহর হিসেবে সবার উপরে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। তবে গতকালের তুলনায় এই শহরটিরও দূষণ বেড়েছে, ১৭০-এর জায়গায় আজ কিনশাসার একিউআই স্কোর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮৩-তে।
একই সময়ে ঢাকার অবনতি চোখে পড়ার মতো। গতকাল সকালের এই সময়ে ঢাকার বাতাসের দূষণ-মান ছিল ৭৮। ‘মাঝারি’ মাত্রার দূষণ নিয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকার ২২তম স্থানে থাকা ঢাকা আজ উঠে এসেছে অষ্টম স্থানে, আর একিউআই স্কোর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২২-এ।
আরও পড়ুন: দূষণের শীর্ষ পাঁচে লাহোর, দিল্লি, ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’
বর্ষা মৌসুম শেষ হতে চলায় ধীরে ধীরে দূষণও ফিরছে ঢাকার বাতাসে। সেই ধারা অব্যাহত রেখেই গত কয়েকদিন বায়ুমানে পতন দেখছে ঢাকাবাসী।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।