রাজধানীতে বৃষ্টিপাতের কারণে বৃহস্পতিবার সকালে বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে ছিল। শহরটিতে সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৭৬ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ বাতাসের শহরের তালিকায় ২৬তম স্থানে জায়গা করেছিল।
৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে স্কোর থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আর ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে একিউআই ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই 'অস্বাস্থ্যকর' হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
ভিয়েতনামের হ্যানয়, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং সৌদি আরবের রিয়াদ যথাক্রমে ১৪১, ১৪০ এবং ১২৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: দেশের কিছু নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত
একিউআই, দৈনন্দিন বাতাসের প্রতিবেদনের জন্য একটি সূচক, সরকারি সংস্থাগুলো একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নিরাপদ বা দূষিত তা জনগণকে জানাতে ব্যবহার করে এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্যের প্রভাবগুলো তাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি সত্ত্বেও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’