শুক্রবার হালদা পরিদর্শন শেষে নদী পাড়ের সাত্তারঘাটে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মৎস্য উৎপাদনের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখার জন্য সকলে মিলে কাজ করতে হবে। কারণ এটি আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল করার সবচেয়ে বড় খাত হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘স্মরণাতীতকালের সর্বোচ্চ মাছের পোনা এ বছর হালদায় উৎপন্ন হয়েছে। মাছের পোনা উৎপাদনে হালদায় অনেক প্রতিকূলতা আমরা অতিক্রম করেছি। এখানে শিল্প কল-কারখানার বর্জ্য যাতে নির্গত না হয়, মৎস্য আহরণ বন্ধকালে অসাধু উপায়ে যাতে কেউ মা মাছ ধরতে না পারে এবং কোনোভাবেই হালদায় মাছের প্রজনন ক্ষেত্রে যাতে বিঘ্ন না হয়। মা মাছ যাতে নির্বিঘ্নে ডিম ছাড়তে পারে সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। এ কার্যক্রম ঠিকভাবে চলছে কি না সেটা সরেজমিনে দেখতে আমরা মাঠে নেমেছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকাকালে সারা দেশের মৎস্যজীবীদের যাতে খাবারের কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য তাদের প্রণোদনা হিসেবে সরকার ভিজিএফ দিচ্ছে। হালদা এলাকায় কেউ বাদ পড়ে থাকলে অবশ্যই তাদের তালিকা হালনাগাদ করে সে সুযোগ দেয়া হবে।’
এ বছর হালদায় যে পরিমাণ মাছের পোনা পাওয়া গেছে এটা এক বিশাল সাফল্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মৎস্যসম্পদকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে। সারা পৃথিবীতে যেভাবে অর্থনৈতিক স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে, এ স্থবিরতা কাটিয়ে উঠার জন্য মৎস্য সম্পদই হবে আমাদের মূল সম্পদ। এ জন্য মাছের প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব মো. তৌফিকুল আরিফ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মাসুক হাসান আহমেদ, চট্টগ্রামের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারহানা লাভলী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ও মৎস্যজীবীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।