এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক বঙ্গবন্ধুর লেখা ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ব্রাজিলিয়ান পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদ করবেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব প্রেসে মুদ্রিত হবে।
মঙ্গলবার ব্রাজিলের বাংলাদেশ দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জুলফিকার রহমান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর (উপাচার্য) ড. মার্সিয়া আবরাও মৌরার মধ্যে এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ দুটি জনকূটনীতিক উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ল্যাটিন আমেরিকায় বাংলাদেশ ব্র্যান্ডিং আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রাসিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিতব্য বঙ্গবন্ধু চেয়ারের আওতায় মূলত বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও তার অর্জনগুলো নিয়ে গবেষণা করা হবে। বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও বাঙালির মুক্তি তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান নিয়ে ব্রাজিলিয়ান গবেষকরা গবেষণা করবেন। যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় প্রতিষ্ঠা করার কাজে বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব নিয়েও তারা কাজ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণার ক্ষেত্রেও ব্রাজিলিয়ান গবেষকদের জন্য নবদিগন্তের সূচনা করবে। তাদের এসব গবেষণা কর্ম বাংলাদেশের ভূকৌশলগত ও ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব অনুধাবনে ব্রাজিলের নীতিনির্ধারকদের সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ব্রাজিলিয়ান পর্তুগিজ ভাষায় অনুবাদ সম্পন্ন হলে সেটি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ব্রাজিলের জনগণের কাছে তুলে ধরবে। এটি দুদেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বের এক সেতুবন্ধন রচনা করবে, যা অন্যতম উদীয়মান অর্থনীতি বাংলাদেশের সাথে ল্যাটিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ ও বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম অর্থনীতি ব্রাজিলের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।