গত ১৩ এপ্রিল থেকে রবিবার পর্যন্ত দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রায় দুই হাজার অভিবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে সহায়তা হিসেবে ফুড বাস্কেট বিতরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, জেদ্দা কনস্যুলেটের আওতায়ও দুই হাজার বাংলাদেশিকে অভিবাসীকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সৌদি আরবে গত ২৩ মার্চ থেকে কারফিউ চলমান থাকায় অভিবাসী বাংলাদেশিদের অনেকেই আর্থিক সংকটে পড়েছেন। এসব অভিবাসীদের জন্য দূতাবাস ও কনস্যুলেটের অধীনে এ সহায়তা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
প্রথমদিকে দূতাবাস ও কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল, লবন ও সাবানসহ ১৫০০ ‘ফূড বাস্কেট’ বিতরণ করা হয়।
চলমান কারফিউ ও চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় বর্তমানে বিপদগ্রস্ত প্রবাসীদের কাছে সুপার শপের কূপন মোবাইলে বিতরণ করা হচ্ছে। যা দিয়ে প্রবাসীরা সহজেই নিকটস্থ আউটলেট হতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে পারবেন।
এর আগে দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্যাভাবে পড়া এবং বেতন না পাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি দূতাবাসের ইমেইলে অথবা হোয়াটস অ্যাপে তথ্য প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আর্থিক সংকটে পড়া আবেদনকারীদের একটি তালিকা তৈরি করা হয়।
খাদ্য সহায়তা বিতরণ কার্যক্রম বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানান, যারা সহায়তার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছেন তাদেরকে পর্যায়ক্রমে সহায়তা পৌঁছে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে অভিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বরাদ্দ অনুযায়ী যত বেশি সংখ্যক প্রবাসীকে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া যায়।’
এছাড়া এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি অভিবাসীরা যেন চাকুরিচ্যুত না হন এ বিষয়ে সৌদি আরবের বিভিন্ন কোম্পানির সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।