অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিন স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (ইকে-৫৮২) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
এছাড়াও অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ছাত্র প্রতিনিধিরা এবং ইউনূস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদও বিমানবন্দরে ছিলেন।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার শপথ নেবেন ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: সেনাপ্রধান
ড. ইউনূস প্যারিসে অলিম্পিকের আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে ভবিষ্যৎ নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনার পতনের পর সামরিক কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের নেতা এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনার পর ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
দেশে ফেরার বিমানে ওঠার আগে বুধবার প্যারিসে প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে মন্তব্য করেন ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সামাজিক উদ্যোক্তা ও ব্যাংকার ড. ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন।
সোমবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে তাদের ও অন্যান্য অংশীদারদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর সহিংসতার নিন্দা জানান তার দীর্ঘদিনের এই রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী।
বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সুন্দর দেশটিতে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের অবশ্যই দেশকে রক্ষা করতে হবে এবং নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি চমৎকার দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ও তাদের সমর্থনের জন্য জনগণকে অভিনন্দন জানিয়ে ৮৪ বছর বয়সী এই অধ্যাপক বলেন, নতুন বিশ্ব গড়তে তাদের তরুণরা এই নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যেন কোনো অর্থহীন সহিংসতায় জড়িয়ে এই সুযোগ হাতছাড়া না করি। সহিংসতা আমাদের শত্রু। দয়া করে আর শত্রু তৈরি করবেন না। শান্ত থাকুন এবং দেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত হন।’