অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
হেফাজতে যেকোনো ধরনের নির্যাতন-হত্যার নিন্দা জানায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: বিবৃতি
তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো ধরনের হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার নিন্দা জানায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে তৌহিদুলকে বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার গভীর রাতে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষা করা এই সরকারের একটি প্রধান লক্ষ্য। এর মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু অধিকার কর্মীও সম্পৃক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
সরকার দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে।
এসব কমিশনের অধিকাংশই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
আজাদ আরও বলেন, ‘পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, অপরাধ ব্যবস্থাপনা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি সুযোগ নির্মূল করার প্রয়াসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই প্রতিবেদনগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ করবে।’
এসব সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনজিওর মতো নয়, শাসকের ভূমিকায় দেশ চালাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে চরমোনাই পীর
১ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আসন্ন সংসদীয় উপমন্ত্রী পর্যায়ের সফর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক সমর্থনের এই বার্তা বহন পৌঁছে দেবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সংস্কার প্রচেষ্টায় সমর্থন এবং 'কৌশলগত অংশীদারিত্বের' আওতায় বিস্তৃত ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীরতর করা, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত শিগগিরই ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজন এবং নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং দুই দেশের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, জাইকা প্রধানের এ বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে।
তিনি উপকূলীয় এলাকায় টহলের জন্য বাংলাদেশকে পাঁচটি টহল জাহাজ সরবরাহের জাপানের সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশে বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণে যন্ত্রপাতি সরবরাহে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতির বিষয়েও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশে প্রধান উন্নয়ন উদ্যোগে জাপানের অবদানের কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সব সময়ই স্থিতিশীল এবং বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ সব সময় সুরক্ষিত থাকবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন ও টেকসই সমাধানের জন্য জাপানের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডার ভিসা দ্রুত সময়ে চায় ঢাকা
তিনি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিতসহ তাদের জন্য জাপানের মানবিক সহায়তারও প্রশংসা করেন।
রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জাতিসংঘের সহযোগিতায় দোহায় বাংলাদেশ আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক আসন্ন সম্মেলনে জাপানের সমর্থন কামনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় পক্ষ আন্তর্জাতিক ফোরামে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি নির্বাচনী বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
২ সপ্তাহ আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'অবিবেচনাপ্রসূত' ভ্যাট বৃদ্ধির সমালোচনা দেবপ্রিয়র
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নকারী কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'শ্বেতপত্র ও অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট' শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, 'আমরা বিস্মিত হয়েছি এটা দেখে যে, কীভাবে অবিবেচনাপ্রসূতভাবে মূল্য সংযোজন কর বাড়ানো হলো।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো বলেন, কোনো দেশে সরকার যদি কার্যকরভাবে কর আদায় করতে চায়, তাহলে তাকে ধীরে ধীরে প্রত্যক্ষ করের দিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর আদায়ের কোনো পরিকল্পনা আমরা দেখছি না।’
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় বলেন, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা কর দিতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য কোনো কৌশল প্রস্তাব করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ প্রত্যক্ষ কর বাদ দিয়ে প্রথমে পরোক্ষ করের দিকে ঝুঁকবেন। বিষয়টি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ‘মন্থর সংস্কার’ নিয়ে সতর্ক করলেন দেবপ্রিয়
৩ সপ্তাহ আগে
এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের নজর ছোট ও গণমুখী প্রকল্পে
বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে ছোট হলেও গণমুখী উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অর্থনীতি এখন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে একনেকের কয়েকটি সভায় উপদেষ্টারা এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়— এমন ছোট ছোট প্রকল্প বাছাই করতে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সংশোধিত বাজেটে এডিপি সংকোচন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
ইউএনবিকে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'তবে এসব ছোট প্রকল্প অবশ্যই স্থানীয় জনগণের জন্য ব্যাপকভাবে উপকারী হতে হবে, এটিই বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেক সভায় স্পষ্টভাবে বলা হয়, সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কিছু ভালো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়।
এ বিষয়ে একনেক সভায় এসব প্রকল্প থেকে যারা উপকৃত হবেন তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, নির্দিষ্ট এলাকায় কোনো উন্নয়ন করার সময় প্রথমে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেন, কোনো সেচ প্রকল্প কোনো নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নেওয়া হলে- তা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা করে তাদের প্রচলিত সেচ প্রক্রিয়া ও নতুন সেচ ব্যবস্থার প্রতি তাদের মনোভাব সম্পর্কে জানতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নতুন সেচ প্রকল্পটি যদি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা না করে রাজধানী শহর থেকে নকশা করা হয় তাহলে তা ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। কারণ, স্থানীয় জনগণ হয়তো এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন না, বা ব্যবহার করতে উৎসাহিত হবেন না।’
পরিকল্পনা কমিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে কোনো বড় প্রকল্প চালু করলে ভালো রক্ষণাবেক্ষণের সুযোগ নাও থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ‘তাই সরকার এডিপি বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে স্থানীয় পরামর্শ নিয়ে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়।’
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই-নভেম্বর মেয়াদে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ১৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকারের গত বাজেটে পাস হওয়া ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার এডিপির মধ্যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছিল মাত্র ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অর্থের প্রবাহ বাড়াতে এডিপি বাস্তবায়ন দ্রুত করার উদ্যোগ সরকারের
ছাত্রনেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়।
আইএমইডির তথ্যে দেখা যায়, জুলাই-নভেম্বর সময়ে এডিপির ব্যয় হয়েছে ৩৪ হাজার ২১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৬ হাজার ৮৫৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলমান ও নতুন প্রস্তাবিত সব প্রকল্প পর্যালোচনায় বিলম্বের পাশাপাশি অর্থ ছাড়ে ক্রমবর্ধমান বিলম্বকে এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইএমইডি কর্মকর্তারা।
এছাড়া আগস্টের শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে অনেক ঠিকাদার প্রকল্পগুলো ছেড়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: সংশোধিত এডিপিতে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' প্রকল্প বাদ, হতে পারে বড় সংকোচন
৩ সপ্তাহ আগে
জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য অংশীজনদের অভিমত নিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় সংলাপ পরবর্তী কর্মপন্থা হিসাবে গণুভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশীজন থেকে অভিমত নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদলীয় সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
চিঠি মারফত এই অভিমত গ্রহণ করছে সরকার। নাগরিকরা তাদের সুচিন্তিত অভিমত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরারবর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের ঠিকানায় চিঠি মারফত পাঠাতে পারবেন।
আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত অভিমত জানাতে পারবেন নাগরিকরা।
পরে অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা অনতিবিলম্বে ঘোষিত হবে বলে জানায় প্রেস উইং।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি 'অসত্য': প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
৩ সপ্তাহ আগে
জুলাই ঘোষণাপত্র: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংলাপে যাচ্ছে বিএনপি
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বৃহস্পতিবারের সংলাপে অংশ নেবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বিএনপি এ বিষয়ে আলোচনার জন্য যথেষ্ট সময় পায়নি উল্লেখ কর দলটির মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল বলেন, আজ বিকাল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
'জাতীয় ঐকমত্যের' ভিত্তিতে 'জুলাই ঘোষণা' চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি
এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে একটি ঘোষণাপত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করে।
প্রধান উপদেষ্টার (সিএ) প্রেস উইংয়ের জানায়, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্যকে সুদৃঢ় করার জন্য এই ঘোষণাপত্র গৃহীত হবে। এটি তার ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা এবং রাষ্ট্রীয় সংস্কারের দাবিকে তুলে ধরবে।
ঘোষণার খসড়ায় গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ সকল রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীদের মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই ঘোষণাপত্রে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার চিত্র ফুটে উঠবে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং।
সরকার আশা করছে যে, ঘোষণাপত্রটি সকল অংশীজনের অংশগ্রহণে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তুত করা হবে এবং তারপর জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: কারামুক্ত বাবর
৩ সপ্তাহ আগে
সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে সরকার, গ্রেপ্তারের নির্দেশ
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, দেশে যেকোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক হামলার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার জিরো টলারেন্স নীতির পুনরাবৃত্তি করে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) একটি পুলিশ প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।
ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও লিঙ্গ নির্বিশেষে মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ নেওয়ার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ এলে পুলিশ সদর দফতরের একটি ফোকাল পয়েন্ট সেই অভিযোগ পরিচালনা করছে। প্রতিটি অভিযোগ সমাধানে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে যে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর মোট ১ হাজার ৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ হামলা, ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাগুলোতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জীবন, সম্পদ ও উপাসনালয় মিলিয়ে দুই হাজার ১০টি অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ এ বিষয়ে পরিষদের প্রস্তুত করা অভিযোগের তালিকা সংগ্রহ করে অভিযোগে উল্লেখিত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। এছাড়াও প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিটি স্থান ও প্রতিষ্ঠান পুলিশ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ দায়ের করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে নিয়মিত মামলা, সাধারণ ডায়েরি (জিডি) এবং প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট থেকে সাম্প্রদায়িক হামলা ও দাবির বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদন অনুসারে, এক হাজার ৭৬৯টি অভিযোগের মধ্যে পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬২টি মামলা দায়ের করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে অন্তত ৩৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অধিকাংশ ঘটনায় পুলিশ তদন্তে দেখেছে যে, হামলাগুলো সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল না বরং তা রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল।
পুলিশের তদন্তে দেখা গেছে, এক হাজার ২৩৪টি ঘটনা রাজনৈতিক, ২০টি ঘটনা সাম্প্রদায়িক এবং অন্তত ১৬১টি অভিযোগ মিথ্যা বা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।
পরিষদের অভিযোগ অনুযায়ী, এক হাজার ৪৫২টি ঘটনা অর্থাৎ মোট অভিযোগের ৮২ দশমিক ৮ শতাংশ, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দিন ঘটে। পরিষদের মতে, ৪ আগস্ট ৬৫টি এবং ৬ আগস্ট ৭০টি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের কাছে পরিষদের প্রতিবেদনটির একটি কপি রয়েছে।
পরিষদের অভিযোগ ছাড়াও, পুলিশ ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ১৩৪টি অভিযোগ পেয়েছে। এসব অভিযোগে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে সাড়া দিয়েছে। এসব অভিযোগে অন্তত ৫৩টি মামলা দায়ের হয়েছে এবং ৬৫ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৪ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সাম্প্রদায়িকতার ওপর হামলার অভিযোগে মোট ১১৫টি মামলা হয়েছে এবং অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ মাস আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে জরুরি ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানায়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে।
আরও পড়ুন: সংশোধিত বাজেটে এডিপি সংকোচন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।
প্রেস উইং জানায়, আমরা আশা করছি, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে।
১ মাস আগে
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৪ কর্মকর্তা নিহত, আহত ১০
সিরিয়ায় অতর্কিত হামলায় দেশটির বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় তারতুস প্রদেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল রহমান।
স্থানীয় আল-ওয়াতান সংবাদপত্রের বরাত দিয়ে মন্ত্রী হামলাকারীদের সাবেক আসাদ সরকারের 'অংশ' বলে বর্ণনা করেছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত কর্মকর্তারা নিরাপত্তা ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এর বেশি কিছু জানানো হয়নি।
চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি আলোচিত ঘটনা দেশটিতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমানবন্দরে ইসরায়েলের বিমান হামলা
বুধবার, আলেপ্পোতে আলাউয়ি উপাসকদের দ্বারা সম্মানিত একটি মাজারে কথিত হামলার একটি ভিডিও প্রচারিত হলে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং জবাবদিহির আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা।
বেশ কয়েকটি প্রধানত আলাউয়ি অঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রদায়ের সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে নতুন কর্তৃপক্ষ তাদের ধর্মীয় প্রতীক রক্ষায় যথেষ্ট কাজ করছে না।
এদিকে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই ধরনের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ছিল এবং সতর্ক করে দিয়েছিল যে, পতিত সরকারের অবশিষ্টাংশগুলো বিভেদ ছড়াতে সাম্প্রদায়িক উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় এক সপ্তাহে নিহত অন্তত ৩৭০: জাতিসংঘ
১ মাস আগে
হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব: জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই-আগস্টে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ হয়েছিল। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।
তিনি বলেন, সরকারের সকল কাজে যে দেশের মানুষ সন্তুষ্ট হবে এমনটা কিন্তু নয়। আমাদের বুঝতে হবে কোন পরিস্থিতিতে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আমাদের প্রত্যাশা অনেক।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেট মহানগরের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার গণসংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে জানিয়ে জোনায়েদ সাকি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন ন্যায় বিচার চায়। আশাকরি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ন্যায় বিচারের কাজটি করবেন।
সাকী বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে। তবে নির্বাচনের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। ইতোমধ্যেই অনেকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ও পরে কি কি সংস্কার প্রয়োজন সেটি দেখতে হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে এমভি আল বাকেরার ঘটনায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের রায় একটি ন্যূনতম রাজনৈতিক ব্যবস্থা। এছাড়া আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়াটা কোনো অবস্থাতেই যুক্তিসঙ্গত কাজ নয়। মুক্তিযোদ্ধাকে অসম্মান করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যারা এ কাজ করেছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, ভেঙে পড়া রাষ্ট্র হাতে পাওয়ার ৪ মাস পূর্ণ হলো। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না সেভাবে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদী শক্তি এখনও বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব বিষয়ে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে।
১ মাস আগে