অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেসামরিক বিমান, পর্যটন ও ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় এ প্রস্তাব গৃহীত হয়। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সভায় শোক প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
এদিন সভার শুরুতে হাসান আরিফের মৃত্যুতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সভায় রিজওয়ানা হাসান জানান, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানের কবরের পাশে হাসান আরিফকে সমাহিত করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, আজ অনেক কথাই মনে পড়ছে। তিনি সবসময় মনে করিয়ে দিতেন- আমরা কিন্তু সমবয়সী!
তিনি বলেন, শিশুর মতো সরল ব্যবহার ছিল তার। যত রকম সমস্যা দেখা দিয়েছে, যেখানে কোনো কোন্দল দেখেছেন, তিনি হাজির হয়েছেন তা সমাধানে। এক অপূর্ব লোক আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলেন।
অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, উপদেষ্টা হাসান আরিফ ছিলেন সদা হাস্যময় একজন বিরল ব্যক্তিত্ব।
পাট, বস্ত্র ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ব্যক্তিগতভাবে হাসান আরিফের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। অতীতের কর্মময় জীবনের আমাদের দুজনের অনেক স্মৃতি রয়েছে।
সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বলেন, এখানে কাজ করতে এসে উনার সঙ্গে একটা সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। উনি আমাদের জন্য এক ইতিবাচক প্রেরণা ছিলেন।
মৎস্য ও পশু সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, আজকে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আমরা হাসান আরিফকে মিস করছি। উনাকে ছাড়া আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: হাসান আরিফের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান আইনজীবী হিসেবে হাসান আরিফের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা সহসভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন হাসান আরিফ।
আইন ও বিচার এবং প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, একজন কর্মনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী মানুষ ছিলেন হাসান আরিফ। তিনি সব নথি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, হাসান আরিফ কখনও কোনো কাজ কম গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন না।
স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, হাসান আরিফ অমায়িক মানুষ ছিলেন। যেকোনো সমস্যা উনার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা যেত।
জ্বালানি ও সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের সমাজে বিভেদ অনেক বেশি। এ বিভেদ জোড়া লাগানোর মানুষ আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। সর্বমহলে উনার গ্রহণযোগ্যতা ছিল।
১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি সইয়ের সময় হাসান আরিফের ভূমিকা স্মরণ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, উনি পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষদের নিয়ে অনেক ভাবতেন। তার মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হলো পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের।
স্থানীয় সরকার ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে এসে উনাকে চিনেছি। উনাকে সবসময় শিক্ষকের মতো পাশে পেয়েছি।
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, উনার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একবারও আমাদের বয়সের পার্থক্য বুঝতে পারিনি। উনি সবার সঙ্গে আন্তরিকভাবে মিশতেন।
খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ২০০৮ সালে অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন আয়োজনে আন্তরিকভাবে কাজ করতে দেখেছি উনাকে। এবারও উনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব শেখ আব্দুর রশীদ, বেসামরিক বিমান সচিব নাসরীন জাহান, ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক
৩ ঘণ্টা আগে
মানুষের যেটা প্রয়োজন সেটাই করব: উপদেষ্টা ফাওজুল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এখন থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঢাকায় বসে কোনো পরিকল্পনা করবে না। মানুষের সঙ্গে কথা বলে মানুষের যেটা প্রয়োজন, আমরা সেটাই করব।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘কিশোরগঞ্জের হাওরে অলওয়েদার সড়ক নির্মাণের ফলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে কাজ করছে সরকার। হাওরের উপজেলার সঙ্গে এক দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের সংযোগ এবং সিলেটের সঙ্গে সংযোগ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হবে।’
আরও পড়ুন: বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীনতাকে পূর্ণতা দিয়েছে ছাত্ররা: উপদেষ্টা আদিলুর
এর আগে, সকালে কিশোরগঞ্জ থেকে সড়কপথে হাওরের ইটনা উপজেলায় যান তিনি। ইটনা উপজেলা প্রশাসনের হলরুমে মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ থেকে সড়কপথে ইটনা উপজেলা যাবার সময় তিনি ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়ক পরিদর্শন করেন।
এ সময় সড়ক ও সেতু বিভাগের সচিব এহসানুল হক, জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ উপদেষ্টার সফরসঙ্গীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ড্যাপ বাস্তবায়নে সরকারের উপদেষ্টা কমিটি গঠন
১৮ ঘণ্টা আগে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টার
দেশে চলমান সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে একটি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রতিষ্ঠার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
৫৪তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে ইতোমধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং শিগগিরই তারা তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ছয় কমিশনের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ প্রতিষ্ঠা করার দিকে অগ্রসর হচ্ছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই কমিশনের কাজ হবে রাজনৈতিক দলসহ সকল পক্ষের সঙ্গে মতামত বিনিময় করে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপন হবে সেগুলো চিহ্নিত করা এবং বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমত এই ছয়টি কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাবার পর আগামী মাসেই জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন কাজ শুরু করতে পারবে বলে আমি আশা করছি।’
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের শেষে বা '২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
তিনি বলেন, এই নতুন কমিশনের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে সমস্ত সিদ্ধান্ত জরুরি, সে সমস্ত বিষয়ে তাড়াতাড়ি ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং সকলের সঙ্গে আলোচনা করে কোন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়, সেই ব্যাপারে পরামর্শ চূড়ান্ত করা।
ড. ইউনূস বলেন, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিবেচনা করে আমি এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করব। আমার সঙ্গে এই কমিশনের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। কমিশন প্রয়োজন মনে করলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত (কো-অপ্ট) করতে পারবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে আগামী নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হয় সেজন্য এই কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে‘
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ও পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টের শ্রদ্ধা
৬ দিন আগে
শিগগিরই নির্বাচন হবে বলে আশা বিএনপির
জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিগগিরই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই আশাবাদী। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করছি। আশা করি, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী শিগগিরই একটি নির্বাচনের আয়োজন করা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পাবে।
ফখরুল বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরাজিত করে দেশ গড়ার নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমরা বাংলাদেশকে বৈষম্যহীনভাবে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
দেশের মুক্তিযুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিজয়ের মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগে বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী ও সুশীল সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অপহরণ করে হত্যা করে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই করেছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও দেশ স্বাধীন করার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে স্বনির্ভর নয়াগণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের দল, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তারা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মুক্তি ও শান্তি কামনা করছি।’
এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মির্জা ফখরুল।
দিবসটি উপলক্ষে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সব কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করে বিএনপি।
১ সপ্তাহ আগে
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে আবারও কড়াকড়ি
ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর (ইউএনবি)- সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এ নির্দেশনায় কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ছাড়া একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে না যেতে বলা হয়েছে।
এর আগে ডলার-সংকটের কারণে গত অর্থবছরে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানা যায়,অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে গত ৯ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে৷
বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে -
১. সাধারণভাবে বিদেশ ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হবে।
২. বছরের সম্ভাব্য বিদেশ ভ্রমণের একটা তালিকা জানিয়ে রাখতে হবে।
৩. বিদেশ ভ্রমণের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এর কাঠামো তৈরি করে দেবে এবং এর তথ্য সংরক্ষণ করবে।
৪. সকল স্তরের সরকারি কর্মকর্তারা একাধারে বিদেশ ভ্রমণ পরিহার করবেন।
৫. মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করবেন। তবে জাতীয় স্বার্থে অনুরূপ ভ্রমণ একান্ত অপরিহার্য হলে তেমন অপরিহার্যতার বিষয় সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
৬. মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধীনস্থ অধিদপ্তর বা সংস্থা প্রধানগণ একান্ত অপরিহার্য জাতীয় স্বার্থ ব্যতিরেকে একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে যাবেন না।
৭. বিদেশে অনুষ্ঠিতব্য সেমিনার/ওয়ার্কশপ ইত্যাদিতে অংশগ্রহণের জন্য উপদেষ্টা ও সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের প্রস্তাবের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং অপরাপর অংশগ্রহণকারী দেশ থেকে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাতে অংশ নিচ্ছেন সেই তথ্য সন্নিবেশ করবেন।
৮. বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পেশের সময় ভ্রমণের প্রয়োজনীয়তা এবং প্রস্তাবিত কর্মকর্তার ঐ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্টতা ও উপযোগিতার বিষয় উল্লেখ থাকতে হবে।
৯. কেনা-কাটা, প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন কিংবা ফ্যাক্টরি অ্যাকসেন্ট্যান্স টেন্ট ইত্যাদির ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ প্রেরণের বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
১০. সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় ভ্রমণ অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
১১. সকল স্তরের সরকারি কর্মকর্তা বিদেশে বিনোদন ভ্রমণ পরিহার করবেন।
১২. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষণ ছুটিতে যাওয়া পরিহার করবেন।
১৩. বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাব পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত কর্মকর্তার পূর্ববর্তী এক বছরের বিদেশ ভ্রমণের বিস্তারিত সংযুক্ত করতে হবে।
১ সপ্তাহ আগে
সংশোধিত এডিপিতে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' প্রকল্প বাদ, হতে পারে বড় সংকোচন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বেশ কয়েকটি প্রকল্প বাদ দেওয়ায় সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে বড় ধরনের সংকোচনের সম্ভাবনা রয়েছে।
ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক উন্নয়ন প্রকল্পকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তা ছেঁটে ছোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একনেকের সভায় এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে নেওয়া অনেক উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় অনুযায়ী ভালো ফল বয়ে আনবে বলে মনে হয় না।
একনেক সভা শেষে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর তুলনায় উন্নয়ন বাজেট ছোট হবে।’
চলতি অর্থবছরের চার মাসে রেকর্ড সর্বনিম্ন ৮ শতাংশ উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে। এই নিম্ন বাস্তবায়ন বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রেও হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তাদের ক্ষেত্রে এ হার ১২-১৩ শতাংশ।
সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের গতি ধীর রয়েছে। যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের হার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) এডিপি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৮ শতাংশ, যা বিগত বছরগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, গত বছরের একই সময়ে বাস্তবায়নের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বিশেষ করে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম একনেক সভায় উন্নয়ন বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, গৃহীত অনেক প্রকল্প রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ব্যয়ের তুলনায় ভালো ফল বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে মনে হয়নি এগুলো কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে। তাই আমরা সেগুলো বাদ দিয়েছি। সাধারণত সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট কিছুটা সংকুচিত হয়, এবার অনুপাতটা বেশি হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে একনেকে কোনো প্রকল্প অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাদের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে যেত।
‘তবে এবার বাস্তবায়ন পর্যায়ে দুর্নীতিমুক্ত ও অনিয়মমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দায়ী থাকবে’ বলে জানান তিনি।
এ কারণে চলমান প্রকল্পগুলোতে সংশোধন আনা হয়েছে। এমনকি বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলোতেও তাদের সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, 'ঋণদাতাদের ঋণ দেওয়ার সময় কিছু শর্ত থাকে, তাদের বোঝানোর পর সংশোধন করা হয়।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে অনেক চলমান প্রকল্প পরিচালক পালিয়ে যাওয়ায় ধীরগতির সম্মুখীণ হতে হয়েছে। ফলে প্রকল্পগুলো সচল রাখতে চরম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সরকার।
একনেক ব্রিফিংয়ে ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, মন্ত্রণালয়গুলো স্থিতিশীল অবস্থায় নেই, তাই নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করে সেই প্রস্তুতিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পুরোনো ধাঁচের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রকল্প বাদ দিয়ে উদ্ভাবনী ও নতুন ধরনের প্রকল্পের ওপর জোর দিচ্ছে।
সূত্র জানায়, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের গভীর চিন্তা-ভাবনা করে প্রকল্প প্রণয়ন করতে বলেছেন। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট প্রকল্পটি ব্যয়ের বিপরীতে একাধিক ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে তাও নিশ্চিত করতে বলেছেন।
তারা বলেছেন, নতুন ধরণের এবং উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রস্তুত করা সময়সাপেক্ষ বিষয়।
সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছে।
এডিপিতে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত।
এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছে এনইসি।
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং বাকি ১ লাখ কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে পাওয়া যাবে।
নতুন এডিপিতে ১ হাজার ১৩৩টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ২১টি সমীক্ষা প্রকল্প, কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ৮৭টি এবং স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও করপোরেশনের ৮০টি প্রকল্পসহ মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১টি।
আরও পড়ুন: অর্থের প্রবাহ বাড়াতে এডিপি বাস্তবায়ন দ্রুত করার উদ্যোগ সরকারের
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপির মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১১ হাজার ৬৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে
সে হিসেবে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপি নিয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে মোট এডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বরাদ্দের দিক থেকে শীর্ষ ১০ খাতের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা (১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ) পেয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, শিক্ষা খাতে ৩১ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা (১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ), আবাসন খাতে ২৪ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা (৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ), স্বাস্থ্যসেবা ২০ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা (৭ দশমিক ৮০ শতাংশ), স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন খাত ১৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা (৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ), কৃষি খাত ১৩ হাজার ২২০ কোটি টাকা (৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ), পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ খাতে ১১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৬ হাজার ৪৯২ কোটি টাকা (২ দশমিক ৪৫ শতাংশ) এবং বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ৪ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা (১ দশমিক ২৫ শতাংশ)।
শীর্ষ ১০ খাতের বিপরীতে মোট বরাদ্দ ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৩ কোটি টাকা (মোট এডিপির ৯০ দশমিক ২৫ শতাংশ)।
২০২৫-২২ অর্থবছরের নতুন এডিপি অনুযায়ী, বরাদ্দ গ্রহণকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো- স্থানীয় সরকার বিভাগ ৩৮ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা (বরাদ্দের ১৫ শতাংশ), সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৩২ হাজার ৪২ কোটি টাকা (বরাদ্দের ১২ দশমিক ৩৯ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ ২৯ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা (১১ দশমিক ২৮ শতাংশ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৬ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা (৬ দশমিক ২৪ শতাংশ) এবং স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ১৩ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা(৫ দশমিক ৩১ শতাংশ), রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ৭২৬ কোটি টাকা (৫ দশমিক ৩১ শতাংশ), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ১২ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা (৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ), মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ১১ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা (৪ দশমিক ৪০ শতাংশ), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা (৪ দশিমিক ০১ শতাংশ) এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ৮ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা (৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ)।
১০টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বিপরীতে মোট বরাদ্দ প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৫ কোটি টাকা, যা সামগ্রিক এডিপি ব্যয়ের প্রায় ৭২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়ন হার প্রায় শতভাগের প্রত্যাশা
১ সপ্তাহ আগে
অর্থের প্রবাহ বাড়াতে এডিপি বাস্তবায়ন দ্রুত করার উদ্যোগ সরকারের
অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহ সচল করার লক্ষ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসার পর থেকে যেসব প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে সেগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সরকার নীতিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল মাত্র ৮ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একনেক সভা সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকারের অনুমোদিত এডিপি প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এভাবে আমরা চলতি অর্থবছরের শেষ নাগাদ বাস্তবায়নের হার বাড়াতে পারব বলে আশা করছি।’
তবে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে দুর্নীতিমুক্ত ভালো ও উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয় সরকার। আর প্রকল্প বাস্তবায়নকারী যে কোনো দিক থেকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঠিকাদার নিয়োগসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে নানা অনিয়ম হয়। এর ফলে বেশ কিছু প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে গিয়েছিল।
উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই সরকারি অর্থের অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। পাশাপাশি প্রকল্পের সংখ্যা কমিয়েছে। এতে বাস্তবায়নের হার অনেকাংশে কমে যায় এবং অর্থনীতিতে টাকার প্রবাহে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা অবশ্যই প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করব। নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেসব ভালো প্রকল্পের কথা ভাবছি এবং যেগুলো নতুন প্রকল্প পরিচালক পেয়েছে সেগুলো দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে।’
গণ অভ্যুত্থানের পর গত ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অনেক উন্নয়ন প্রকল্প রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেক করে কাটছাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের চার মাসে উন্নয়ন বাজেটের মাত্র ৮ শতাংশ বাস্তবায়ন করে সর্বনিম্ন বাস্তবায়নের রেকর্ড গড়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এটি বাস্তবায়নের হার ছিল ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, তাদের ক্ষেত্রে এ হার ১২-১৩ শতাংশ।
বিশেষ করে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে সরকার।
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম একনেক সভায় উন্নয়ন বাজেট কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয়।
এডিপিতে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার ৬৮৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা (বাজেট বরাদ্দের ২৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ) বরাদ্দ পেয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত।
স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের ১৩ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার এডিপিসহ ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে এডিপির মোট আকার দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
১ সপ্তাহ আগে
ভারত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. খন্দকার মোশাররফ
ভারত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি ঐক্যবদ্ধ মানুষের বিরুদ্ধে কোনো দেশই ষড়যন্ত্রে সফল হবে না।
তিনি বলেন, 'ভারত এবং এখানে থাকা কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্য এখন কী ধরনের সমস্যা তৈরি করছে এবং সারা বিশ্বে আমাদের বদনাম করছে, আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে? তাদের একমাত্র লক্ষ্য এখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা এবং এই সরকারকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করা।’
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বৈরাচার দিবসের পতন উপলক্ষে ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের (আপসু) বিএনপিপন্থী ছাত্রনেতারা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে জনগণের আস্থা অর্জন করুন: বিএনপি কর্মীদের প্রতি নজরুল
তিনি বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। এর মধ্য দিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ ক্যু করে ক্ষমতা দখলের অবসান হয়েছিল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ বলেন, ছোটখাটো বিষয় নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায় মাত্র কী তিন মাস ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছে? স্বাধীনতার পর থেকে তারা এখানে অত্যন্ত সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করে আসছে।’
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার আহ্বানও জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান এই সমস্যার সমাধান করেছেন এই বলে যে, এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশি ও বাংলাদেশের নাগরিক। তাহলে আমরা কেন এখানে এমন বিভাজন সৃষ্টি করব এবং এটা সহ্য করব।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বারবার সরকার পরিবর্তন করেছে। ‘তাই এদেশের মানুষকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে তাদের সরকার কী হবে, কীভাবে তারা দেশ চালাবে।’
তিনি বলেন, শান্তি বজায় রাখতে এবং দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে সকল ধর্ম নির্বিশেষে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমাদের ১৮ কোটি মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে, তাহলে তারা যে দেশেই থাকুক না কেন, আমাদের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র সফল করতে পারবে না।’
তিনি বলেন, বিগত সরকার যেভাবে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বর্তমান সরকার সেগুলো সংস্কার করতে বদ্ধপরিকর।
দ্রুত নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ প্রণয়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ।
আরও পড়ুন: আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট করলেন রিজভী
২ সপ্তাহ আগে
নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা যুক্তরাষ্ট্রের
সব নাগরিকের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চলমান প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভয়েস অব আমেরিকা বাংলার এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানান।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কথিত নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক ইমেইল বার্তায় বলেছে, 'আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি যেকোনো সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশের সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই।’
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের অভিযোগের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়।
জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ‘যুক্তরাষ্ট্র মৌলিক স্বাধীনতা হিসেবে ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকারকে সমর্থন করে। আমরা ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং আমাদের অন্যান্য অংশীদারদের এই অধিকারের জন্য আমাদের সমর্থন দিয়ে থাকি।’
আরও পড়ুন: সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সকল বাংলাদেশির স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে: যুক্তরাষ্ট্র
ইসকনকে বাংলাদেশে 'সন্ত্রাসী সংগঠন' ঘোষণা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর চলমান আইনি জটিলতার বিষয়টিও তুলে ধরেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। ’
মুখপাত্র উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান ও আইন প্রদত্ত অধিকারের আলোকে এসব সমস্যার সমাধান করা উচিত। অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশকেও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, সংগঠন ও ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি ‘
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার ও বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের খবর নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
এসব ঘটনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন,‘বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ককে আমরা গভীরভাবে মূল্য দেই। তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
২ সপ্তাহ আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিন: ড. কামাল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে এবং প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সংস্কার বাস্তবায়নে যৌক্তিক সময় দিতে দেশের রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গণফোরামের সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।
ড. কামাল বলেন, 'বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করা এবং সংস্কারের জন্য যৌক্তিক সময় দেওয়া সকল রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের নৈতিক দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে নির্লজ্জ রাজনীতিকরণের কারণে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে একটি জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা হয়েছে। এই ঐকমত্য শেষ পর্যন্ত সমুন্নত রাখতে হবে। ‘এটি নিশ্চিত করার জন্য সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি ও সুশীল সমাজের অংশগ্রহণে একটি জাতীয় সংলাপ অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।’
ড. কামাল আরও বলেন, ছাত্রসমাজ ও জনগণ আবারও প্রমাণ করলো এই দেশ জনগণের, কোনো স্বৈরশাসকের নয়।
তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের চেতনা সমুন্নত রেখে বৈষম্যহীনভাবে মানবিক বাংলাদেশ গড়তে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ‘আসুন আমরা নতুন জাতি গঠনের সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হই।’
ড. কামাল বলেন, ৩১ বছরের রাজনৈতিক যাত্রায় গণফোরাম কখনো তাদের নীতির সঙ্গে আপস করেনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে দলের অভ্যন্তরে বিভক্তি ও ভুল বোঝাবুঝির ঊর্ধ্বে উঠে গণফোরামের নেতাকর্মীরা দলের জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন করে যাত্রা শুরু করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এর আগে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় নিহত ফারহানুল ইসলাম ভূঁইয়ার বাবা শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া গণফোরামের সম্মেলন উদ্বোধন করেন।
কাউন্সিলে ড. কামাল হোসেনকে ইমেরিটাস সভাপতি, মোস্তফা মহসিন মন্টুকে সভাপতি ও ড. মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গণফোরামের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ড. কামালের অভিনন্দন
৩ সপ্তাহ আগে