অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ জানালেন ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ হবে চার বছরেরও কম হবে বল জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
একই সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করাই তাদের উদ্দেশ্য বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, 'আমি বলিনি যে চার বছর ক্ষমতায় থাকব। এটা সর্বোচ্চ মেয়াদ। কিন্তু সেটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন সম্পন্ন করা।’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের সঠিক সময়সীমা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: সীমাবদ্ধতা সত্বেও একটি মজবুত অর্থনীতি দিয়ে যাব: ড. ইউনূস
তিনি বলেন, ‘এটা চার বছরের নিচে হওয়া উচিত, এটা নিশ্চিত। এটা কমও হতে পারে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো কী চায় সেটাই আসল। 'রাজনৈতিক দলগুলো যদি বলে এটা (সংস্কার) ভুলে যাও, নির্বাচন দাও, আমরা করব।’
নির্বাচনে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা আছে কি না-জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, 'আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি আমার ভূমিকা এবং আমি যা করছি তা উপভোগ করি।’
সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস সামনের চ্যালেঞ্জের কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, 'বিগত ১৫ বছর ধরে অব্যবস্থাপনা, অপশাসন, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের মতো-যে ব্যবস্থার মধ্যে আমরা ছিলাম, সে কারণে বাংলাদেশ এখন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। এখন 'পয়েন্ট বাই পয়েন্ট, সেক্টর বাই সেক্টর' পুনর্গঠন বড় কাজ হবে।
আরও পড়ুন: সব শহিদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: ড. ইউনূস
৩ দিন আগে
সীমাবদ্ধতা সত্বেও একটি মজবুত অর্থনীতি দিয়ে যাব: ড. ইউনূস
দায়িত্ব ছাড়ার আগে দেশের অর্থনীতি মজবুত করে দিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ চলার পথ সহজ এবং নাগরিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করে যাবে তার সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে রবিবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস একথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘একশ দিন আগে আর্থিক বিষয়ে আমরা যে লন্ডভন্ড অবস্থায় থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেটা এখন অতীত ইতিহাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই একশ দিনে অর্থনীতি সবল অবস্থানে চলে এসেছে। আর এটি হয়েছে সম্পূ্র্ণ নিজস্ব নীতিমালা দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘বলা বাহুল্য, এখনও আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে যে সাহায্যের আয়োজন হয়েছে, তা আসা শুরু হয়নি। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো শুধু যে আমাদের জন্য বড় বড় অংকের সাহায্য নিয়ে আসছে তা-ই নয়, তাদের এই সাহায্য যে দ্রুততম সময়ে (দেশে) আসা শুরু করবে, এই প্রতিশ্রুতিও আমাকে দিয়েছে। এগুলো আসা শুরু করলে আমাদের অর্থনীতি অত্যন্ত মজবুত ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।’
আরও পড়ুন: অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার করেই নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
অর্থনীতি মজবুত হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও নানা রকম বিনিয়োগে উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন থেকেই আমরা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছি।’
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিশ্ব রাষ্ট্রপুঞ্জের মজলিসে আমরা এখন সম্মানিত ও প্রশংসিত দেশের অবস্থানে পৌঁছাতে পেরেছি। এ কারণে পরাজিত শক্তি নানা কৌশল করেও তাদের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছে না।’
দেশের জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘তারা নানা চেহারা নিয়ে আপনাদের প্রিয় পাত্র হওয়ার চেষ্টা করছে। পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন, দেশকে মুক্ত রাখুন; এ ব্যাপারে অনড় থাকুন।’
‘এমন কিছু করবেন না যা তাদের উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। তাদের সব দিক থেকে নিরাশ করুন। এটি নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের আর কোনো বিষয়ে সংশয় করার প্রয়োজন নেই।’
দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের প্রত্যয় জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি- সকল প্রকার সীমাবদ্ধতা সত্বেও আমরা আপনাদের একটি মজবুত অর্থনীতি দিয়ে যাব; ভবিষ্যতে চলার পথকে সহজগম্য এবং নাগরিক অধিকারসমূহ নিশ্চিত করে যাব।’
‘বিপক্ষ শক্তি যত শক্তিশালীই হোক, নাশকতার যত রকমই উদ্ভট পরিকল্পনাই করুক, সবকিছু নস্যাৎ করার জন্য প্রস্তুত থাকুন। এবার যে মুক্তি আমরা অর্জন করেছি, তা আমাদের কাছ থেকে কেউ যেন ছিনিয়ে নিতে না পারে- তার জন্য প্রতিটি মুহুর্তে প্রস্তুত থাকুন।’
এ সময় বাংলাদেশর উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও ইউএনডিপির মতো আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো সর্বাত্মকভাবে সাহায্যের জন্য তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন বলে জানান ড. ইউনূস। এমনকি তাদের সঙ্গে ইতোমধ্যে তিনি দীর্ঘ বৈঠকও করেছেন বলে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে
এজন্য বিশ্ব নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সংকটময় সময়ে তারা প্রায় সবাই সহযেগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি যখন সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেই, সে সময় জাতিসংঘ মহাসচিব এবং যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা, ইতালি ও নেদারল্যান্ডসসহ বিশ্বের অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার বৈঠক করার সুযোগ হয়। তারা আমাদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। এমনকি, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়েছে।’
‘দেশে ফিরে আসার পর ঢাকায় অবস্থান করা সেসব দেশের রাষ্ট্রদূতরা স্বঃপ্রবৃত্ত হয়ে আমার সঙ্গে দেখা করে তাদের সরকারপ্রধানদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে গেছেন। তারা আমাদের জন্য সহায়তার নতুন ছক তৈরির কাজ শুরু করেছেন।’
ভাষণের শেষে দেশের জনসাধারণের প্রতি আবার সতর্কতার বাণী উচ্চারণ করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে ব্যর্থ, অকার্যকর করার জন্য ব্যাপক পরিসরে বিশ্বব্যাপী এবং দেশের প্রতিটি স্থানে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে এক মহাপরিকল্পনা প্রতি মুহূর্তে কার্যকর রয়েছে। তাদের একটি বড় প্রচেষ্টা হচ্ছে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা।’
‘পতিত সরকারের নেতা যারা এদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে নিয়ে গেছে, সেই অর্থে বলীয়ান হয়ে তারা দেশে ফেরার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের কিছুতেই সফল হতে দেবেন না। তারা সফল হওয়া মানে জাতির মৃত্যু; জাতি হিসেবে আমাদের অবসান। তাই সাবধান থাকুন!’
অপশক্তির সব হীন প্রচেষ্টাকে ঐক্যের মাধ্যমে নস্যাৎ করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেভাবে তাদের বন্দুকের গুলিকে, আয়না ঘরকে, প্রতি পায়ে তাদের অনাচারের শিকলকে নস্যাৎ করেছিলেন, সেভাবেই সব (ষড়যন্ত্র) নস্যাৎ করে দিন। এ ব্যাপারে সবাই একমত থাকুন, ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমাদের কোনো লুকোছাপা নেই: ড. ইউনূস
৪ দিন আগে
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করলেন ফখরুল
বিতর্কিত ব্যক্তিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, এমন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না, যার কারণে অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তা হাতছাড়া করা যাবে না। হাতছাড়া হলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেন ফখরুল।
আরও পড়ুন: নেতিবাচক বক্তব্যে ফ্যাসিস্টরা আবারও মাথা তুলছে: ফখরুল
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) লালমনিরহাটের বড়বাড়ী কলেজ মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিস্টদের পরাজিত করা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা শপথ নিয়েছি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আধিপত্যবাদকে রুখে দেব। প্রয়োজনে শক্তিশালী আন্দোলন করা হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর বর্তমান সরকার এক নয়। এ সরকার একটি সংকটময় মুহূর্তে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এসেছে। ফলে এ সরকারকে নির্বাচনের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করতে হবে। এ জন্য সরকারকে সময় দিতে হবে আর আমাদের ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সহযোগিতাও করতে হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন: ফখরুল
১ সপ্তাহ আগে
জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে পদক্ষেপ নিন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
অপশক্তির যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) নয়াপল্টনে এক বিশাল সমাবেশে তারেক রহমান এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'আমি স্বাধীনতাকামী মানুষকে একটি বিষয়ে সতর্ক করতে চাই, আমি নিজেও সজাগ থাকতে চাই যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি ‘
বিএনপির এই নেতা বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দুর্বল করতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগীরা এখনও দেশের প্রশাসনে, বিভিন্ন পদে এবং বিদেশেও সক্রিয় রয়েছেন।
আরও পড়ুন: অতি আত্মবিশ্বাস পরিহার করে বিএনপিকে জনগণের আস্থা অর্জনের আহ্বান তারেকের
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি তার দলের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, এই প্রশাসনকে কখনও ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।
তারেক বলেন, ‘তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিজেদের সতর্ক রাখতে চায়, তাহলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এটা এখন জনগণের দাবি।'
তিনি একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটানোয় দেশের জনগণ ও ছাত্রদের অভিনন্দন জানান।
তারেক রহমান বলেন, '১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশের বন্ধু ও শত্রুর মধ্যে পার্থক্য করার দিন, আর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছিল বাংলাদেশের শত্রু চিহ্নিত করার দিন।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি যতদিন ঐক্যবদ্ধ থাকবে ততদিন দেশের স্বাধীনতাকে কেউ খর্ব করতে পারবে না।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের এই সমাবেশের লক্ষ্য কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলা নয়, বরং দেশের স্বার্থ রক্ষা, ভোট ও জনগণের অন্যান্য অধিকার রক্ষার মিছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজপথে লাখো মানুষের এই মিছিল অগণিত ছাত্র-নাগরিক ও শহীদ এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আহত মানুষের স্বপ্নের গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ের মিছিল।’
তারেক জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার পর্যন্ত যারা প্রতিনিধি হতে চায় তারা যতদিন জনগণের ভোটের ওপর নির্ভরশীল থাকবে না, ততদিন জনগণ গণতন্ত্রের সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবে না।’
তারেক বলেন, যদি তাদের(জনগণের) সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেও নিম্ন আয়ের মানুষকে বাজার সিন্ডিকেটের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা নিশ্চিত করি যে এই বিশাল মিছিল বৃথা যাবে না। এই প্রত্যাশা নিয়েই আমি এই সমাবেশের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা এখনো সর্বত্র লুকিয়ে আছে, নানাভাবে বাংলাদেশের ক্ষতি করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্য জোরদার করে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে। ‘কোনো স্বৈরশাসককে আর জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে দেওয়া হবে না। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই এবং নিশ্চিত করি যে, বাংলাদেশে শুধু গণতন্ত্রই বিরাজ করবে।’
পরে 'জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস' উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে দলটি।
বিকাল ৩টা ৩২ মিনিটে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এর আগে দুপুর থেকেই রঙিন টুপি পরে নয়াপল্টনে জড়ো হওয়া বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী বড় ধরনের শোডাউনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নেন।
দলের শীর্ষ নেতাদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে তারা নির্বাচন ও তারেক রহমানসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দেন।
কাকরাইল মসজিদ ও ফকিরাপুল ও আশপাশের এলাকা বিএনপির সমর্থকদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ থাকায় ওই এলাকায় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
আরও পড়ুন: জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করবে এমন সংস্কার চায় বিএনপি: তারেক রহমান
১ সপ্তাহ আগে
আদানির সময়সীমা নিয়ে আমরা খুবই মর্মাহত: প্রেস সচিব
ভারতের আদানি পাওয়ারকে অর্থ প্রদানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে এবং সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
একই সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছে, যতই শক্তিশালী হোক না কেন, কোনো একক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীর কাছে জিম্মি হবে না সরকার।
৭ নভেম্বরের মধ্যে আর্থিক সমস্যার সমাধান না হলে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘যদি এটি সত্য হয়, তবে আমরা বলব যে আমরা হতাশ এবং অত্যন্ত মর্মাহত।’
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে আলম বলেন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এখনও এ ধরনের কোনো চিঠি পায়নি, তবে আদানিকে দ্রুত অর্থ প্রদানের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব হলেন শফিকুল আলম
অর্থ পরিশোধ বাকি থাকার জন্য তিনি পূর্ববর্তী ‘স্বৈরাচার সরকারকে’ দায়ী করেন।
আলম বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়তে শুরু করায় তারা পেমেন্ট ত্বরান্বিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। ‘রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি আন্তর্জাতিকভাবে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে সক্ষম হব।’
এ সময় প্রেস উপসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।
‘বিষয়টি দুই পক্ষের মধ্যে। তাদের মধ্যে চুক্তিভিত্তিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে: একটি বেসরকারি সংস্থা এবং অন্যটি বাংলাদেশ সরকার।’
শনিবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনা ভূমিকা নেই।’
এই মুহূর্তে শেয়ার করার মতো আর কোনো তথ্য তার কাছে নেই বলে জানান মুখপাত্র।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি পাওয়ার অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সরকার ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাদের বকেয়া পরিশোধ না করলে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
বকেয়া পাওনার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাসের পর, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ সরকারকে মোট প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের পাওনা মেটানোর বিষয়ে সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
এর আগে আদানি পাওয়ার বকেয়া অর্থ নিষ্পত্তির জন্য বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) ৩১ অক্টোবরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল এবং নিরাপদ পেমেন্ট নিশ্চিত করতে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের ক্রেডিট লেটার (এলসি) দিয়েছিল।
বিপিডিবি কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে বকেয়া অর্থের জন্য এলসি ইস্যু করার চেষ্টা করলেও বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির শর্তের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে জানা গেছে। এর অন্যতম কারণ হিসেবে ডলার সংকটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়েছে, যা বাংলাদেশে বিদ্যমান বিদ্যুৎ ঘাটতিকে আরও খারাপ করেছে।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ওয়েবসাইটের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ১ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানির প্ল্যান্ট ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
২ সপ্তাহ আগে
অন্য ইস্যু নয় ভোটের দিকে নজর দিন: সরকারকে ফখরুল
অন্যান্য ইস্যু থেকে সরে এসে অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের দিকে নজর দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক আলোচনা সভায় তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ক্ষুণ্ন না হয়।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'অন্য ইস্যুতে মনোযোগ না দিয়ে নির্বাচনের দিকে নজর দিন।’
তিনি আরও বলেন, দেশের অস্তিত্ব রক্ষা ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দলটি।
ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম যে তারা (সরকার) এটি গঠনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করবে। যদিও আমরা এটিকে বড় ইস্যু মনে করি না। আমরা আশা করি কমিটি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।’
এই সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের প্রধান পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে তার কোনো রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই।
তিনি বলেন, 'আমি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বলতে চাই, আপনি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানিত এবং বাংলাদেশের জনগণ আপনাকে গভীরভাবে ভালোবাসে ও শ্রদ্ধা করে। তারা চায় এটা অব্যাহত থাকুক। আমার অনুরোধ, আপনারা সজাগ থাকুন, যাতে আপনার অবস্থান ক্ষুণ্ন না হয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
সাংবিধানিক বিষয়ে তাড়াহুড়ো করা উচিৎ নয়: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তারেক
সাংবিধানিক বিষয়ে সরকারের কোনো তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয় উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে যেকোনো মূল্যে অশুভ মহলের চক্রান্ত প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এই আহ্বান জানান।
তারেক রহমান দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সহযোগীদের প্রচারিত কোনো ষড়যন্ত্র বা গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ ফিরতে পারবে না: বিএনপি
বিএনপি নেতা বলেন, 'হাজার হাজার আহত মানুষের আর্তনাদ ও বহু মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে তা যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে।’
তারেক রহমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারলে ষড়যন্ত্র করে কেউ জনগণের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন ব্যর্থ না হয়, কারণ এ ধরনের ব্যর্থতা গণতন্ত্রপন্থী ও বাংলাদেশের সমর্থক শক্তির জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে গণ্য হবে।
বিএনপির এই নেতা উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এমনকি সরকারের মধ্যেও নানা আলোচনা-বিশ্লেষণ চলছে। ‘বর্তমান সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেন শপথ নিয়েছে বা বিপ্লবী সরকার কিনা তা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন।’
এসময় তারেক আশঙ্কা করেন যে, গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন সরকারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং এর উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাই বিএনপি মনে করে, জাতীয় নিরাপত্তা বা সাংবিধানিক বিধানের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত পরিহার করা অপরিহার্য। পরিবর্তে, একটি সুচিন্তিত এবং সুবিবেচিত পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হয়।’
শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু মতপার্থক্য দেখা দিলেও বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি আমাদের লক্ষ্য একই- বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। তাই বিএনপি আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কোনো জায়গা দেখছে না।’
যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ৯ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী নেতাদের বৈঠক
নির্বাচিত সরকার এখন সময়ের দাবি: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
অনিশ্চয়তায় প্রশাসনে স্থবিরতা, দায়িত্ব বণ্টনের জটিলতা কাটছেই না
আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু এখনও স্বাভাবিক হয়ে উঠেনি প্রশাসনিক কার্যক্রম। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি অত্যন্ত ধীর এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পেরও প্রায় একই দশা।
সচিবালয়ে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন পদে কর্মকর্তাদের মধ্যে বদলি নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা নিয়োগ ও পদোন্নতি পেয়েছে, তাদের মধ্যে এই আতঙ্ক বেশি দেখা যাচ্ছে। ফলে মন্ত্রণালয়ের কাজে এসেছে ধীর গতি।
এছাড়াও বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে এখনও সাবেক সরকারের সময়কালে নিযুক্ত সচিব রয়েছেন। ওএসডি বা অবসরে যেতে হয় কি না- এ নিয়ে তাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি সচিব-জেলা প্রশাসক নিয়োগ
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৮ জন সচিব বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কাজ শুরু করলেও সবার সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সচিব পদ না পেয়ে বঞ্চিত অবস্থায় অবসরে গিয়েছেন তারা। দীর্ঘদিন পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়ে তাদের আবার চুক্তিতে সচিব পদে নিয়োগ দেওয়ায় সাবেক সরকারের আমলের বর্তমান কর্মকর্তারা তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে পারছেন না। যে কারণে কাজের গতি কমে গিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সরকারের আমলে নেওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে চলমান প্রকল্পগুলোর অর্থ কাটছাঁট করতে বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পগুলো বুঝতেও সময় নিচ্ছেন উপদেষ্টারা। আবার কিছু প্রকল্পের চলমান কাজ বন্ধ রয়েছে। নতুন করেও প্রকল্প নেওয়ার কোন পরিকল্পনা নেই এই সরকারের।
এর বাহিরেও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে মাঠ লেভেলের ছোটখাটো উন্নয়নমূলক কাজ ঠিকমতো হচ্ছে না। এমনকি বিভিন্ন ভাতাও সঠিকভাবে দেওয়া হচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বেশকিছু সরকারি ভাতা যথাসময়ে দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামে কাবিটা ও কাবিখার কাজও বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যমান সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসহযোগিতার কারণে দ্রুতগতিতে কাজ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।
চলতি সপ্তাহে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যেকোনো সরকার যখন দায়িত্ব নেবে, তার নিজস্ব টিম (দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী) লাগবে। তাহলে পুরোনো টিমকে তো সরে যেতেই হবে।’
আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সংস্কারের পর নির্বাচনই দেশের রাজনৈতিক সমাধান’
শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা বিপ্লব হয়েছে। বিপ্লবের পরে কোনোকিছু আগের সিস্টেমে চলে না, কিন্তু আমরা এখনও আগের সিস্টেম ধরে রেখেছি। প্রশাসনের কারো কারো অসহযোগিতার কারণে দেশে স্থবিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন হলে সিস্টেম ভাঙা হবে, প্রয়োজন দেখা দিলে প্রশাসনে অসহযোগীদের স্থলে নতুন নিয়োগ নিয়েও সরকার ভাববে।’
এর আগে গত মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে, প্রশাসনে স্থবিরতা বিরাজ করছে স্বীকার করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনে স্থবিরতা তো আছে। এটা আমরা লক্ষ্য করছি। আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে অসহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থবিরতা কেটে যাবে।’
এছাড়াও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ অন্তত ৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগে বর্তমানে সচিব নেই। এসব দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবরা তাদের রুটিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তারা কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। এর ফলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের গতি অত্যন্ত ধীর।
এমন পরিস্থিতিতে সব ব্যাচের বঞ্চিত যোগ্য কর্মকর্তাদের উপযুক্ত পদে পদায়নের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অনেকে।
শেখ হাসিনার সময় চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া অন্তত ১০০ কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি অবসরে থাকা হাসিনার সরকারের আমলে বঞ্চিত ৮ কর্মকর্তাকে সচিব পদে চুক্তিতে নিয়োগের পর তাদের সিনিয়র সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যোগ হতে পারে নতুন মুখ
তাদের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া ড. শেখ আবদুর রশিদ, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোখলেস উর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. এম এ মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি। মূলত তারাই এখন প্রশাসন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ পেয়েছেন বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের সিদ্দিক যোবায়ের এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হয়েছেন ১৯৮৫ ব্যাচের এ এস এম সালেহ আহমেদ।
হাসিনা সরকারের সাড়ে ১৫ বছর পর আগস্টে পদোন্নতি পেয়ে অবসরে গেছেন বেশ কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব। বঞ্চিত ২০৬ অতিরিক্ত সচিবের মধ্য থেকে যে চারজনকে সচিব করা হয়েছে তারা হলেন- তথ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার উল্লাহ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের মো. ফাহিমুল ইসলাম এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বেগম মাহবুবা ফারজানা।
এখন পর্যন্ত এর বাইরে অন্য ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাকে সচিব পদে নিয়োগের খবর পাওয়া যায়নি। তবে শুধু একটি ব্যাচের বঞ্চিতদের মূল্যায়ন ভালো চোখে দেখছেন না বিসিএস ১৯৮২ (বিশেষ) ব্যাচ, ১৯৮৪ ব্যাচ, ১৯৮৫ ব্যাচ, ১৯৮৬ ব্যাচ, নবম, দশম, একাদশ ও ত্রয়োদশ ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অনেকে।
তাদের দাবি, বিসিএস ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের কর্মকর্তারা অন্তত এক যুগ আগেই অবসরে গেছেন। অথচ বর্তমানে সচিব হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন বিসিএস ১৫তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। এর মধ্যে এই ব্যাচের পাঁচ-ছয়জন সচিবও হয়েছেন। প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে তাদের ব্যাচের বঞ্চিত কর্মকর্তাদেরও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: প্রশাসনে স্বচ্ছতার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দ্রুত সংস্কারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
দীর্ঘ বঞ্চনার পর যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া ১৩৩ জনের মধ্যে ৬৫ জনকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। ৪৫ জন পূর্বের পদে রয়েছেন। এসব দপ্তরে দায়িত্ব পাওয়া অতিরিক্ত সচিবরা তাদের রুটিন কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন। তারা কোনো নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত দিতে পারছেন না। বাকিদের পদায়নের ফাইল ঘুরছে।
হাসিনার সরকারের আমলে বঞ্চিত বিসিএস ১৯৮৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. সলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শুধু নিয়মিত নামাজ পড়ি বলে বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে আমাকে পাঁচ-ছয়বার পদোন্নতি বঞ্চিত করা হয়েছে। যোগ্যতা থাকার পরও আমাকে সচিব বানানো হয়নি। যুগ্ম সচিব হিসেবে ২০২০ সালের ১৭ মে অবসরে যেতে হয়েছে। অথচ আমার ব্যাচের হেলালুদ্দীন আহম্মদ, ফয়েজ আহমদ, আনিছুর রহমান, সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সত্যব্রত সাহা, আক্তার হোসেন, শহীদুজ্জামান, আকরাম আল হোসেনসহ অনেকে সচিব হয়েছেন। এমনকি আমার সিরিয়ালের বহু পরের কর্মকর্তা কবীর বিন আনোয়ার ক্যাবিনেট সচিব হয়েছেন। সুতরাং সব ব্যাচেই বঞ্চিত কর্মকর্তা আছেন। তাদেরও মূল্যায়ন করা দরকার।’
বিসিএস ১৯৮৪ ব্যাচের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আবু মোহাম্মদ ইউসুফ ইউএনবিকে জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতি চেয়ে আবেদন করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত তকমা দিয়ে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আমাকে সচিব বানানো হয়নি। ব্যাচের মেধাতালিকায় আমার পরের জন সুবীর কিশোর চৌধুরীকেও সচিব বানানো হয়েছিল। আমার ব্যাচসহ প্রশাসনে তার জুনিয়র অন্তত দেড়শ কর্মকর্তাকে সচিব বানানো হয়েছে। সুতরাং অন্যান্য ব্যাচেও যারা যোগ্যতা থাকার পরও বঞ্চিত হয়েছেন তাদের এখন মূল্যায়ন করা উচিত।’
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস-উর রহমান ইউএনবিকে বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছেন দুই মাসেরও বেশি হয়েছে। তারপর আমি নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই প্রশাসনকে একটা সিস্টেমে দাঁড় করাতে কাজ করছি। গত ১৫-১৬ বছরের সমস্যা এই অল্প সময়ে সমাধান করা সম্ভব না। কোন মন্ত্রণালয়ে কাকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং মন্ত্রণালয়গুলোর দপ্তর বা সংস্থাপ্রধান কাকে বানানো হবে- এসব বিষয় বিবেচনা করে, কে ভালো ও দক্ষ তাকে খুঁজে বের করতে একটা তো সময় লাগবেই। তবে আমরা আশা করছি খুব দ্রুত সময়েই সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে যোগ্য লোক পদায়নের কাজ শেষ হবে। তখন কাজের গতি আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: প্রশাসনিক শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
৩ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন ও আইনের শাসনের প্রতি ইইউয়ের নজর
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যাপক সমর্থন ও জনপ্রিয়তা রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
তিনি বলেন, সব প্রক্রিয়া শেষে গণতান্ত্রিক নির্বাচন দিতে হবে, যার মাধ্যমে নতুন সংসদ এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠিত হবে। এর ফলে মৌলিক অধিকারের প্রতি 'আইনের শাসন ও শ্রদ্ধার' প্রতি মানুষ সচেতন থাকবে।
ঢাকায় আসার পর ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান ইউএনবিকে দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।
‘আকাশছোঁয়া’ উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকলেও পরিবর্তন সবসময়ই ‘কঠিন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এগুলো হচ্ছে এমন নীতি যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের মূল বিষয়।’
বাংলাদেশ-ইইউ অংশীদারত্বকে দ্রুত বিকাশমান ও গতিশীল হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত বছর দুই পক্ষের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
৩ সপ্তাহ আগে
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের দশম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বেশ কিছুদিন ধরে সরকারি চাকরি প্রত্যাশীরা চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার আবেদন জানিয়ে আন্দোলন করছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি মেয়েদের ৩৭ বছর ও ছেলেদের ৩৫ বছর করার সুপারিশ করেছিল।
আরও পড়ুন: সরকাসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে: কমিটির আহ্বায়করি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর সুপারিশ কমিশনের
৪ সপ্তাহ আগে