অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
বিভ্রান্তি তৈরি করলে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে পারে: সরকারকে রিজভী
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বিভ্রান্তি তৈরি করলে দেশে পুনরায় ফ্যাসিবাদের উত্থান হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৈপরীত্য থাকলে আপনাদের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হবে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা, একটি অবাধ সৃষ্ট নির্বাচন করা। কারণ গত ১৫ বছরে দেশে নির্বাচন হয়নি।’
শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জিয়া পরিষদ আয়োজিত গণতন্ত্র ও জিয়াউর রহমান শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টা আছেন, তারা কার পারপাস সার্ভ করছেন আমরা জানি না। তারাও মাঝে মাঝে বিভিন্ন কথা বলার চেষ্টা করছেন। নানা কৌশলে নানা বিভ্রান্তি তৈরি করার জন্য নানা কথা বলা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
৮ মাস হয়ে গেছে, সংস্কারে আর কত সময় লাগবে—প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘সংস্কার রাজনৈতিক এজেন্ডা, এটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচিত সরকার সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে নেবে।’
নাটোর জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি আহমেদুল হক চৌধুরির সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি কাজী গোলাম মোর্শেদসহ জেলা বিএনপি নেতারা।
সেমিনারের আগে রিজভীর নেতৃত্বে নাটোর শহরে একটি র্যালি বের করা হয়।
১৯ ঘণ্টা আগে
বিএনপিকে পাশ কাটাতেই নির্বাচনে বিলম্ব করছে সরকার, অভিযোগ দুদুর
বিএনপিকে পাশ কাটাতেই সরকার নির্বাচন আয়োজনে বিলম্ব করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি যাতে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে, মানুষের সমর্থন আদায়ের মধ্য দিয়ে, ভোটের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করতে না পারে সেজন্য নির্বাচনকে এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক যুব সমাবেশে তিনি এই অভিযোগ করেন। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ গুম হওয়া নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে সন্ধানের দাবিতে এই যুব সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পরিষদ।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে দুদু বলেন, ‘এই সরকারের কাজ-কামে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন। তারা (সরকার) কী চায়, সেটাও আমরা বুঝি না।’
নির্বাচন ইস্যুতে সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কী করবেন, কী করবেন না—এটা বড় কথা না। একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য অনতিবিলম্বে একটা রোড ম্যাপ ঘোষণা করেন। কবে নির্বাচন হবে, কোন মাসে হবে, কোন সালে হবে বলুন। আপনারা একবার ডিসেম্বরে, একবার জুন মাসে—এসব বাদ দেন। এগুলোর জন্য আমরা তৈরি না।’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনাকে আগেও বলেছি, হাসিনাকে যখন তাড়াতে পেরেছি, অন্য ফ্যাসিবাদের যদি উদ্ভব ঘটে, তাদের তাড়ানোও বাংলাদেশের মানুষের ওয়ান-টুর ব্যাপার। সেটি মাথায় রেখে কার্যক্রম নেবেন। আপনাকে ফুলের মালা দিয়ে গ্রহণ করেছি, ফুলের মালা দিয়েই বিদায় জানাতে চাই—এটাই বিএনপির স্ট্যান্ড (অবস্থান) এখন পর্যন্ত।’
আরও পড়ুন: সরকার কি কোনো গোপন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, প্রশ্ন রিজভীর
গুমের বিচার অবিলম্বে দৃশ্যমান চেয়ে তিনি বলেন, ‘ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ গুম হওয়া… কত মর্মান্তিক... ওদের রুহের মাগফেরাত কামনা করতে পারছি না, যেহেতু আমরা জানি না ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম মারা গেছেন, না এখনও জীবিত আছেন। তাদের পরিবার আল্লাহর কাছে কী প্রার্থনা করবে, তাদের উত্তরাধিকাররা কী দাবি করবে?’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই অচলাবস্থা যারা সৃষ্টি করেছে, বাংলাদেশের মানুষ জানে, শেখ হাসিনা তাকে (ইলিয়াস আলী) শুধু গুম করে নাই, তাকে অপহরণ করে নাই, তাকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছে। আমি এই সভায় দাবি জানাচ্ছি যে, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ হাজার হাজার যেসব জাতীয় নেতা, ছাত্রনেতা, যুবনেতা—যাদের আমরা এখনও সন্ধান পাই নাই, এই অপরাধের জন্য হাসিনার আমি ফাঁসি দাবি করছি। গুম-খুনের বিচারের উদ্যোগ নিন।’
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৩ বছর পরেও সন্ধান মেলেনি বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর
১ দিন আগে
‘জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর রোহিঙ্গা সংকটকে বিশ্বের নজরে আনবে’
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ১৩ থেকে ১৬ মার্চ নির্ধারিত সফর রোহিঙ্গা সংকটের আশু সমাধান খুঁজে বের করতে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের আগে বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ কথা জানায়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সফর এই সংকটকে বৈশ্বিক নজর কাড়তে সহায়তা করবে। 'আমরা আশা করি জাতিসংঘ মহাসচিব এ বিষয়ে একটি ভালো বার্তা দেবেন।’
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুরু থেকেই অন্যান্য বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও রোহিঙ্গা সংকট যাতে আবার বিশ্বের নজরে আসে—তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সরকার নিশ্চিত করতে চায় যে, বৈশ্বিক নজর সেখানেই রয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধান চায়, যাতে তারা নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে। ‘এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
আলম বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার(১৩ মার্চ) বিকাল ৫টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টাসহ একসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য কক্সবাজারে যাওয়ার আগে শুক্রবার(১৫ মার্চ) সকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি 'অসত্য': প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা ব্যাপকভাবে কমেছে। আশা প্রকাশ করা হচ্ছে, এই সফরটির মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের কিছু উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করবে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা হবে।
তিনি বলেন, 'আমরা তহবিল সহায়তায় কোনো বিঘ্ন দেখতে চাই না। আমরা তাদের পুষ্টি চাহিদার ঘাটতি করতে চাই না।’
সম্প্রতি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে, জরুরি ভিত্তিতে নতুন তহবিল ছাড়া, মাসিক রেশন মাথাপিছু ১২ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে মাথাপিছু ৬ ডলারে নামিয়ে আনতে হবে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশে তাদের জরুরি প্রতিক্রিয়া কার্যক্রমের জন্য তহবিলের গুরুতর ঘাটতির বিষয়ে সতর্ক করেছে, যা বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর খাদ্য সহায়তা ঝুঁকিতে ফেলেছে।
সকল রোহিঙ্গা সহায়তার রশিদ পায় যার মাধ্যমে ক্যাম্পে নির্ধারিত খুচরা বিক্রেতার কাছ থেকে তাদের পছন্দমতো খাবার নিতে পারে। পূর্ণ রেশন বজায় রাখতে ডব্লিউএফপির জরুরি ভিত্তিতে এপ্রিলের জন্য দেড় কোটি ডলার এবং ২০২৫ সালের শেষ পর্যন্ত ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার প্রয়োজন।
আলম বলেন, এই সফর সেপ্টেম্বরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে সামনে রেখে বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে। তিনি বলেন, ফিনল্যান্ড ও মালয়েশিয়াও এই আয়োজনের কো-স্পন্সর হিসেবে যোগ দিয়েছে।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় পৌঁছালেও প্রধানত শুক্র ও শনিবার দুটি কর্মদিবস থাকবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের ব্যস্ততার কথা তুলে ধরে আবুল কালাম আজাদ বলেন, তারা আশা করছেন এক লাখ রোহিঙ্গা জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে একসঙ্গে ইফতারে যোগ দেবেন।
মিয়ানমারে নিপীড়ন ও সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের উদারতার স্বীকৃতি হিসেবে গুতেরেস ও ড. ইউনূস শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেবেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও গুতেরেস সকালে (১৪ মার্চ) কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং একই দিন সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরবেন।
বার্ষিক রমজান সফরের অংশ হিসেবে গুতেরেস সুশীল সমাজের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে এক দশকের দীর্ঘ মেয়াদে জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বাস্তুচ্যুত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে নিয়মিত রমজান পালন করার জন্য সংহতি সফরকে একটি বার্ষিক ঐতিহ্যে পরিণত করেছেন গুতেরস।
গুতেরেস এক বার্তায় বলেন, 'প্রতি রমজানে আমি বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংহতি সফর করি এবং রোজা রাখি। এই মিশন বিশ্বকে ইসলামের আসল চেহারা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘রমজান করুণা, সহানুভূতি এবং উদারতার মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এটি পরিবার এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনের একটি সুযোগ...। আমি সবসময় এই মৌসুমে অসাধারণ শান্তির অনুভূতিতে আরও অনুপ্রাণিত হই।
জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস সম্প্রতি ড. ইউনূসকে লেখা এক চিঠিতে আশা প্রকাশ করেন যে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বৈশ্বিক অগ্রাধিকারকে নবায়ন করবে এবং তাদের দুর্দশার বৃহত্তর সমাধানকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
গুতেরেস বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সমর্থন দিতে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করতে তার তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।
তিনি লিখেছেন, 'রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরে যাওয়ার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিসহ মিয়ানমারের সংকটের রাজনৈতিক সমাধানে আমি আমার সদিচ্ছা অব্যাহত রাখব। সেই লক্ষে আঞ্চলিক পক্ষ, অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
জাতিসংঘ মহাসচিব রাখাইনের জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা ও জীবিকার সহায়তা কীভাবে সর্বোচ্চ করা যায়—সে বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমগুলোকে দিকনির্দেশনা দিতে তার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকদের অনুরোধ করেছেন।
জাতিসংঘ মিয়ানমারের সমন্বয়কারী এবং আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিখার দেবে। যার মাধ্যমে রাখাইন এবং পুরো মিয়ানমারে অভাবী লোকদের জন্য জরুরি ত্রাণ, নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই এবং অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা যায়।
আরও পড়ুন: মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তমভাবে সমর্থন করতে পারে—তা বোঝার জন্য আমরা সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শের পরে সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’
তিনি চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসকে তার চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান। যেটি ৭ ফেব্রুয়ারি রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তার কাছে পৌঁছে দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের দৃঢ় সংহতি এবং ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় তাদের সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের প্রভাব এবং রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতির বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন তিনি।
৩৮ দিন আগে
জার্মানির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চান ড. ইউনূস, ডিসেম্বরে হতে পারে নির্বাচন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে জার্মানির সহায়তা কামনা করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সরকার চলতি বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচন দিতে পারে।
তিনি বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশের জন্য আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। জাতীয় নির্বাচনকে সফল করতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি।’
ড. ইউনূস বলেন, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক বাড়ানোর লক্ষ্যে জার্মানির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক গড়তে চায় বাংলাদেশ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জার্মান সরকারের কমিশনার জারাহ ব্রুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে জাতিসংঘ মহাসচিবের চিঠি, সংহতি প্রকাশ
জার্মানির জনগণ ও জার্মানির অর্থনীতির প্রশংসা করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভারী শিল্পসহ অনেক ক্ষেত্রে জার্মানি বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘জার্মানির সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু আমরা জার্মানির সঙ্গে একটি ভিন্ন সম্পর্ক, বিশেষ সম্পর্ক রাখতে চাই।’
সামাজিক ব্যবসা ও ক্ষুদ্রঋণ সম্পর্কে জানতে বাংলাদেশ সফররত জারাহ ব্রুন অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, তার দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে।
জার্মানিতে সামাজিক ব্যবসা চালু করতে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আপনার কাজের প্রতি আমার অনেক আশা রয়েছে।’
তারা অধ্যপক ইউনূসের শুরু করা ‘থ্রি জিরো’ আন্দোলন, সামাজিক ব্যবসা, দারিদ্র্য বিমোচন সংক্রান্ত পদক্ষেপ এবং কল্যাণ রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ন্যায্য বিচার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
৫২ দিন আগে
নির্বাচন বিলম্বিত হলে কারা সুবিধা পাবে, তা দেখার বিষয়: তারেক রহমান
বিএনপি একটি ‘রাজনৈতিক’ দল উল্লেখ করে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা নির্বাচন চাইব, এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি স্বাভাবিক ব্যাপারকে কিছুসংখ্যক লোক কেন অস্বাভাবিক করছেন, সেটি আমাদেরকে চিন্তা করে দেখতে হবে। এখানে অন্য কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে কিনা, সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লা টাউনহল প্রাঙ্গণে আয়োজিত কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের পরিকল্পনাকে যদি সফল করতে হয়, তাহলে সবচাইতে উত্তম পন্থা হচ্ছে, ভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে সেই পরিকল্পনাগুলোকে বাস্তবায়ন করা। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণের কাছে ভোট চাওয়া ও নির্বাচন করা। কিন্তু আজকে আমরা দেখছি, কিছুসংখ্যক ব্যক্তি, সংগঠন হঠাৎ করে কথায় কথায় বলে ওঠে—বিএনপি শুধু নির্বাচন নির্বাচন চায়; বিএনপি নির্বাচন ছাড়া কিছু বোঝে না।
‘বিএনপি একটি রাজনৈতিক দল। আমরা যেহেতু জনগণের শাসনে বিশ্বাস করি, জনগণের রাজনৈতিক শক্তিতে বিশ্বাস করি; আমরা যেহেতু গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, স্বাভাবিকভাবে আমরা নির্বাচন চাইব, জনগণের কাছে ভোট চাইব। এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। একটি স্বাভাবিক ব্যাপারকে কিছুসংখ্যক লোক কেন অস্বাভাবিক করছেন, সেটি আমাদের চিন্তা করে দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে অন্য কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য আছে কিনা, সেটি আমাদের ভেবে দেখতে হবে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যদি নির্বাচন বিলম্বিত হয়, তাহলে কারা সুবিধাপ্রাপ্ত হবে, কাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে, এটি আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
আরও পড়ুন: জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এখন প্রধান কাজ: তারেক
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বিএনপি দেশে আর কোনো অস্থিরতা দেখতে চায় না জানিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আজকে আমরা যদি পত্রপত্রিকা খুলি এবং দেশের বিভিন্ন দিকে তাকাই, তাহলে কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু অস্থিরতা লক্ষ করছি।... আজকে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন, সেই অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জনমনে নানা রকম প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার গঠিত হবার পর থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলে এসেছি, আমরা এই সরকারকে সমর্থন করতে চাই। আমরা চাই, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক। কারণ বাংলদেশের মানুষ মনে করে, জনগণের অধিকার রক্ষা করবার জন্য যা যা দরকার, তা তারা করবেন। একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে এই অন্তর্বর্তী সরকার, যা পলাতক স্বৈরাচার বহু বছর আগে রাতের আঁধারে অস্ত্রের জোরে লুণ্ঠন করেছিল।’
‘কিন্তু গত কিছুদিন ধরে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করছি, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ভেতরের বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন রকম কথা বলছেন। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে।… আমরা দেখছি অর্থনীতিতে অস্থিরতা, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিতে অস্থিরতা, প্রশাসনে বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা।’
আরও পড়ুন: রাজপথে যাদের দেখা যায়নি, তারাই এখন সংস্কারের কথা বলছে: তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা আবারও পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এই সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। কারণ এই সরকার যত স্মুথলি, যত সুন্দরভাবে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে পারবে, আগামী দিনে এই দেশ ও দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক যাত্রা তত স্মুথ হবে। আমরা আশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষ যে নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করে, সে নিরপেক্ষতা তারা বজায় রাখবে। বিএনপিও দৃঢ়ভাবে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে।’
কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন। আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ অনেকে।
৫৩ দিন আগে
হেফাজতে যেকোনো ধরনের নির্যাতন-হত্যার নিন্দা জানায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: বিবৃতি
তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেকোনো ধরনের হেফাজতে নির্যাতন ও হত্যার নিন্দা জানায়।
অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে তৌহিদুলকে বাসা থেকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার গভীর রাতে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষা করা এই সরকারের একটি প্রধান লক্ষ্য। এর মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু অধিকার কর্মীও সম্পৃক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করবেন প্রধান উপদেষ্টা
সরকার দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য বেশ কয়েকটি কমিশন গঠন করেছে।
এসব কমিশনের অধিকাংশই তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
আজাদ আরও বলেন, ‘পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, অপরাধ ব্যবস্থাপনা এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি সুযোগ নির্মূল করার প্রয়াসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই প্রতিবেদনগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অর্থবহ সংলাপ করবে।’
এসব সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এনজিওর মতো নয়, শাসকের ভূমিকায় দেশ চালাতে হবে: প্রধান উপদেষ্টাকে চরমোনাই পীর
৭৭ দিন আগে
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাপানের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, আসন্ন সংসদীয় উপমন্ত্রী পর্যায়ের সফর আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক সমর্থনের এই বার্তা বহন পৌঁছে দেবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সংস্কার প্রচেষ্টায় সমর্থন এবং 'কৌশলগত অংশীদারিত্বের' আওতায় বিস্তৃত ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
এই প্রেক্ষাপটে উভয় পক্ষ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীরতর করা, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি, রোহিঙ্গা শরণার্থী ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এজেন্ডাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রদূত শিগগিরই ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজন এবং নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং দুই দেশের মধ্যে চলমান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির (ইপিএ) আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, জাইকা প্রধানের এ বছরের মার্চে বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে।
তিনি উপকূলীয় এলাকায় টহলের জন্য বাংলাদেশকে পাঁচটি টহল জাহাজ সরবরাহের জাপানের সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশে বায়ুদূষণ পর্যবেক্ষণে যন্ত্রপাতি সরবরাহে সরকারের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতির বিষয়েও পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশে প্রধান উন্নয়ন উদ্যোগে জাপানের অবদানের কথা স্বীকার করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন এবং বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার হওয়ার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সব সময়ই স্থিতিশীল এবং বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ সব সময় সুরক্ষিত থাকবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন ও টেকসই সমাধানের জন্য জাপানের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কানাডার ভিসা দ্রুত সময়ে চায় ঢাকা
তিনি ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরিতসহ তাদের জন্য জাপানের মানবিক সহায়তারও প্রশংসা করেন।
রাখাইন রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে উল্লেখ করে তিনি জাতিসংঘের সহযোগিতায় দোহায় বাংলাদেশ আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ক আসন্ন সম্মেলনে জাপানের সমর্থন কামনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, উভয় পক্ষ আন্তর্জাতিক ফোরামে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পাশাপাশি নির্বাচনী বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূতের বাংলাদেশে সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে, তার মেয়াদে বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
৮২ দিন আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের 'অবিবেচনাপ্রসূত' ভ্যাট বৃদ্ধির সমালোচনা দেবপ্রিয়র
মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নকারী কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'শ্বেতপত্র ও অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট' শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, 'আমরা বিস্মিত হয়েছি এটা দেখে যে, কীভাবে অবিবেচনাপ্রসূতভাবে মূল্য সংযোজন কর বাড়ানো হলো।’
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো বলেন, কোনো দেশে সরকার যদি কার্যকরভাবে কর আদায় করতে চায়, তাহলে তাকে ধীরে ধীরে প্রত্যক্ষ করের দিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর আদায়ের কোনো পরিকল্পনা আমরা দেখছি না।’
এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় বলেন, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা কর দিতে ব্যর্থ হন, তাদের জন্য কোনো কৌশল প্রস্তাব করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘অর্থাৎ প্রত্যক্ষ কর বাদ দিয়ে প্রথমে পরোক্ষ করের দিকে ঝুঁকবেন। বিষয়টি আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে ‘মন্থর সংস্কার’ নিয়ে সতর্ক করলেন দেবপ্রিয়
৯১ দিন আগে
এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের নজর ছোট ও গণমুখী প্রকল্পে
বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের (এডিপি) বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে ছোট হলেও গণমুখী উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অর্থনীতি এখন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে একনেকের কয়েকটি সভায় উপদেষ্টারা এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়— এমন ছোট ছোট প্রকল্প বাছাই করতে সরকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সংশোধিত বাজেটে এডিপি সংকোচন করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
ইউএনবিকে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'তবে এসব ছোট প্রকল্প অবশ্যই স্থানীয় জনগণের জন্য ব্যাপকভাবে উপকারী হতে হবে, এটিই বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেক সভায় স্পষ্টভাবে বলা হয়, সরকার দেশের মানুষের কল্যাণে কিছু ভালো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়।
এ বিষয়ে একনেক সভায় এসব প্রকল্প থেকে যারা উপকৃত হবেন তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আলোচনা করতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, নির্দিষ্ট এলাকায় কোনো উন্নয়ন করার সময় প্রথমে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও উল্লেখ করেন, কোনো সেচ প্রকল্প কোনো নির্দিষ্ট এলাকার জন্য নেওয়া হলে- তা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা করে তাদের প্রচলিত সেচ প্রক্রিয়া ও নতুন সেচ ব্যবস্থার প্রতি তাদের মনোভাব সম্পর্কে জানতে হবে।
তিনি বলেন, ‘নতুন সেচ প্রকল্পটি যদি স্থানীয় জনগণের সঙ্গে আলোচনা না করে রাজধানী শহর থেকে নকশা করা হয় তাহলে তা ব্যবহারকারীদের জন্য কোনো ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না। কারণ, স্থানীয় জনগণ হয়তো এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন না, বা ব্যবহার করতে উৎসাহিত হবেন না।’
পরিকল্পনা কমিশনের এই কর্মকর্তা বলেন, ঋণদাতা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে কোনো বড় প্রকল্প চালু করলে ভালো রক্ষণাবেক্ষণের সুযোগ নাও থাকতে পারে।
তিনি বলেন, ‘তাই সরকার এডিপি বাস্তবায়নের হার বৃদ্ধি এবং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে স্থানীয় পরামর্শ নিয়ে ছোট ছোট প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়।’
বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই-নভেম্বর মেয়াদে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ১৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সরকারের গত বাজেটে পাস হওয়া ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি ৯০ লাখ টাকার এডিপির মধ্যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ছিল মাত্র ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: অর্থের প্রবাহ বাড়াতে এডিপি বাস্তবায়ন দ্রুত করার উদ্যোগ সরকারের
ছাত্রনেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়।
আইএমইডির তথ্যে দেখা যায়, জুলাই-নভেম্বর সময়ে এডিপির ব্যয় হয়েছে ৩৪ হাজার ২১৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৪৬ হাজার ৮৫৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চলমান ও নতুন প্রস্তাবিত সব প্রকল্প পর্যালোচনায় বিলম্বের পাশাপাশি অর্থ ছাড়ে ক্রমবর্ধমান বিলম্বকে এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইএমইডি কর্মকর্তারা।
এছাড়া আগস্টের শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে অনেক ঠিকাদার প্রকল্পগুলো ছেড়ে চলে যায়।
আরও পড়ুন: সংশোধিত এডিপিতে 'রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' প্রকল্প বাদ, হতে পারে বড় সংকোচন
৯২ দিন আগে
জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য অংশীজনদের অভিমত নিচ্ছে সরকার: প্রেস উইং
জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সর্বদলীয় সংলাপ পরবর্তী কর্মপন্থা হিসাবে গণুভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশীজন থেকে অভিমত নিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এই তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জুলাই ঘোষণাপত্র বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদলীয় সংলাপ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
চিঠি মারফত এই অভিমত গ্রহণ করছে সরকার। নাগরিকরা তাদের সুচিন্তিত অভিমত উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরারবর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের ঠিকানায় চিঠি মারফত পাঠাতে পারবেন।
আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত চিঠি মারফত অভিমত জানাতে পারবেন নাগরিকরা।
পরে অভিমতগুলো পর্যালোচনা করে একটি সংশোধিত ও সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জনগণের উপস্থিতিতে তা অনতিবিলম্বে ঘোষিত হবে বলে জানায় প্রেস উইং।
আরও পড়ুন: ফ্রান্স-বাংলাদেশ সম্ভাব্য রাফাল চুক্তি নিয়ে প্রতিবেদনটি 'অসত্য': প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
৯২ দিন আগে