তবে, তাকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুন্নেছা রত্না। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওশাফুর রহমান ভুলু।
দুদকের করা মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামিরা একে অন্যের যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার, জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণামূলকভাবে ভুয়া রপ্তানি দেখিয়ে ২৬টি রপ্তানি বিল ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের ধানমন্ডি শাখায় জমা দেন। পরে তারা ১৭টি বিলের বিপরীতে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ৯৮ হাজার ১২৬ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে তিনটি বিলের মূল্য ও চতুর্থ বিলের আংশিক মূল্যসহ মোট পাঁচ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা ব্যাংকে ফেরত দেন এবং অবশিষ্ট ১৪টি বিলের মূল্য ২১ কোটি ২৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৭১ টাকা ব্যাংকে ফেরত না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন সাতজনকে আসামি করে ধানমন্ডি থানায় ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলা করেন। মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্তাধীন।
মো. আমিনুল ইসলাম ছাড়াও মামলার অন্য ছয় আসামি হলেন— সাইমেক্স লেদার প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান তালহা শাহরিয়ার আইয়ুব (টি এস আইয়ুব), তার স্ত্রী পরিচালক তানিয়া রহমান, ঢাকা ব্যাংকের এভিপি (অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট) ও সিপিসি সুলতানা ফাহমিদা, মেসার্স এস অ্যান্ড এস এজেন্সির মালিক বিভূতি ভূষণ বালা, মেসার্স জামান এন্টারপ্রাইজের মালিক শেখ আসাদুজ্জামান মিন্টু এবং মেসার্স সাদাত এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. আমিনুল ইসলাম।