আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে এই প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিলের পর বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মো. জহির উদ্দিন লিমন নিজেই শুনানি করেন।
গত ২৫ জুলাই রাতে সরকারের এ টু আই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলের গাড়ির অপেক্ষায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে প্রায় ২ ঘণ্টা ‘কুমিল্লা ফেরি’ বসিয়ে রাখা হয়। ফেরিঘাটে আটকে পড়া স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স পার করার জন্য বারবার অনুরোধ জানিয়েও ফেরি ছাড়া যায়নি। ফলে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যু হয় তিতাসের। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে তিতাসের পরিবারকে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
প্রতিবেদনে দেরিতে ফেরি ছাড়ার জন্য দায়িত্বরত ফেরি ঘাটের ম্যানেজার মো. সালাম হোসেন, প্রান্তিক সহকারী মো. খোকন মিয়া এবং উচ্চমান সহকারী ও গ্রুপ প্রধান ফিরোজ আলম দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি।
তাদের কাজে অবহেলা, ঘাট ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা ও বিআইডব্লিউ পরিপত্র লংঘন করে বিলম্বে ফেরি ছাড়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটি আলোচিত যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলের কোনো দোষ খুঁজে পায়নি। তবে ওই যুগ্ম সচিবের জন্য ২ ঘণ্টা ফেরি দাঁড় করিয়ে রাখার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
প্রতিবেদনে ভবিষ্যতে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স/গাড়ি পারাপারের ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৭ দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন আজ আদালতে উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।