ইসলাম ধর্মমতে লাইলাতুল মিরাজ বা মিরাজের রাত, যা সচরাচর শবে মিরাজ হিসাবে আখ্যায়িত হয়। হযরত মুহাম্মদ (সা.) নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বছরের (৬২০ খ্রিস্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত রাতে হযরত জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র কাবা থেকে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হয়ে সপ্তাকাশের ওপর আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার লাভ করেন।
মুসলমানরা এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদযাপন করেন। ইসলামে মিরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মিরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামায, যা মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয়। এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায মুসলমানদের জন্য আল্লাহ’র পক্ষ থেকে নিয়ে আসেন নবী মুহাম্মদ(সা.)।
হাদিসে বলা হয়েছে, রজব মাসের শুরু থেকে নবী (সা.) মুসলমানদের বেশি বেশি নেক কাজ করার তাগিদ দিতেন। রজব ও শাবান মাসের পরেই আসে রমজান মাস। এজন্য রাসুল (স.) মুসলমানদের বেশি বেশি একটি দোয়া পড়তে তাগিদ দেন, তা হলো- ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান’। অথ্যাৎ- হে আল্লাহ আমাকে রজব ও শাবান মাসে বরকত দান কর, আর রজমান পর্যন্ত আমাদের হায়াতকে বৃদ্ধি করে দাও।