একে একে ৪৯ বছর পেরিয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর সামনে দাঁড়ানো বাংলাদেশকে এখন সুবর্ণ সময়ও ডাকছে।পাকিস্তানের চেয়ে দ্বিগুন জিডিপি নিয়ে এগিয়ে চলেছে সোনার বাংলা।
বুধবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনিতে শুরু হয় বিজয়ের উৎসব। চলতি বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীতে বিজয়ের এই উৎসব বড় পরিসরে উদযাপনের কথা থাকলেও বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তা হচ্ছে না। উল্টো সীমিত পরিসরে উদযাপিত হচ্ছে উৎসব।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান এবার উন্মুক্ত স্থানে নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
এবার বিজয় দিবসের দিন জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ (প্যারেড) হচ্ছে না।প্রতিবারের মতো এবার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতেও যাননি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তবে স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী বুধবার ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি চান রাষ্ট্রপতি
এদিকে, বিজয় দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যা হতেই রাজধানীসহ সারা দেশের সরকারি-বেসরকারি সব ভবন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানা সংগঠনও সীমিত আকারে হলেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
রাষ্ট্রপতির ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসী ও অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
‘উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন। তাহলেই দেশ পরিণত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায়,’ বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ধর্মের নামে বিভেদ-বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতি দেশে-বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে করোনাভাইরাস মহামারিতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
অপদিকে, প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
একইভাবে করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার উপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।