‘বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে প্রফেসর আনিসুজ্জামান ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। অনাবিল সমাজ হিতৈষী, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল চেতনা, সুশীল বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও ব্যক্তিগত মণীষা দিয়ে তিনি নিজেকে পরিণত করেছিলেন দেশের অগ্রগণ্য পুরুষে। তার মৃত্যুতে যে ক্ষতি তা শতবর্ষেও পূরণ হবে না,’ বলেন তিনি।
সকালে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের শেষবিদায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
কে এম খালিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি প্রসারে তার রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি জাতিকে সঠিক পথের দিশা দেখিয়েছেন বারংবার। মহান ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।’
প্রতিমন্ত্রী এসময় গুণী এ শিক্ষাবিদের সকল সাহিত্য ও সৃষ্টিকর্ম সংরক্ষণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
উল্লেখ্য, ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে গার্ড অব অনার প্রদান, জানাজা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্নের মধ্য দিয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে শেষবিদায় জানানো হয়। তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ধরা পড়ে।