মঙ্গলবার নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনয়ন ও যানজট নিরসনে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ কমিটির ১৩তম সভায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘আজকে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির কাছে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা করেছি। বর্তমানে ঢাকা শহরে ২৯১টি রুটে ২ হাজার ৫০০ বাস মালিকের বাস চলাচল করছে। সেগুলোকে সন্নিবেশ করে ৪২টি রুট এবং ২২টি কোম্পানি করার প্রাথমিক প্রস্তাবনা করা রয়েছে। এ প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন হলে বর্তমান বাস মালিকরা কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডার হবেন।’
বাস রুট রেশনালাইজেশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তজেলা বাসগুলোকে আর ঢাকা মহানগরের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না জানিয়ে তাপস বলেন, ‘বাইরের বাসগুলো ঢাকা শহরের সীমান্তবর্তী এলাকায় নির্ধারিত আন্তজেলা বাস টার্মিনালে যাত্রী নামিয়ে তাদের নির্ধারিত গন্তব্যে চলে যাবে। তারপর সেসব টার্মিনাল হতে সিটি সার্ভিস বা এমআরটি বা সেবা প্রদানকারী বাহনের মাধ্যমে যাত্রীরা নিজ গন্তব্যে যাতায়ত করবেন। এতে করে ঢাকা শহরের ওপর গাড়ির চাপ কিছুটা হলেও কমবে।’
আগামী ৮ ডিসেম্বর কমিটির পরবর্তী সভা আহ্বান করা হয়েছে জানিয়ে তাপস বলেন, ‘এর মধ্যে কমিটির অংশীজনরা (কমিটির সদস্যরা) ডিটিসিএ’র সহযেগিতায় নিজেদের মধ্যে বসে এ প্রতিবেদনের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রস্তাবিত ক্লাস্টার রুটগুলো আরও সুনির্দিষ্ট করবেন। সকলের সহযোগিতায় এবং সমন্বয়ের মাধ্যমে ক্লাস্টার রুটগুলোকে চূড়ান্ত করতে পারলে তা এ কার্যক্রমে একটি বড় অগ্রগতি হবে বলে আমি মনে করি।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী ও গাবতলী এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শুধু সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল আছে জানিয়ে মেয়র বলেন, টার্মিনালগুলোতে বাসগুলোর সংকুলান হয় না, ফলে বাসগুলোকে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় ওপর রাখা হয়। এ কারণে বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়। এ বিষয়গুলো আমরা আজকের সভায় বিবেচনা করেছি। ডিটিসিএ কর্তৃক নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান আন্তজেলা বাস টার্মিনাল স্থাপনের জন্য যে জায়গা প্রস্তাবনা করেছে তার সম্পূর্ণ একটি সমীক্ষা আগামী মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করবে। তারপর আমরা পরবর্তী ধাপে আমাদের কার্যক্রম নিয়ে যেতে পারব।’
বৈঠকে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।