বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বিচারটি দ্রুত শেষ করা হবে। এ বিচারের মধ্য দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে, যাতে এ রকম অপরাধ আর কেউ না করে।’
মামলা পরিচালনায় প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী) টিম সোমবার থেকে কাজ শুরু করবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম এ মামলা পরিচালনার জন্য প্রসিকিউশন টিম প্রস্তুত রাখব। সে অনুযায়ী আমরা টিম প্রস্তুত রেখেছি। মামলার অভিযোগপত্র আজ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে দাখিল করা হয়েছে বলে শুনেছি। এ মামলায় আগামী সোমবার প্রসিকিউশন টিম কাজ শুরু করবে।’
মামলার পলাতক আসামিদের হাজির হওয়ার জন্য আদালত নির্দেশ দেবে উল্লেখ করে তিনি জানান, তারপরও যদি পলাতক আসামি হাজিরা না দেন তাহলে তার অনুপস্থিতিতে যাতে বিচার কাজ করা যায় সে জন্য একটি গেজেট প্রকাশ করতে হবে। তার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় দেয়া হবে।
দ্রুত বিচারের জন্য মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পরিচালনা করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসতে হবে।
দ্রুত বিচারে কত সময় লাগবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথম ৯০ দিন ও পরে আরও ৩০ দিনসহ মোট ১২০ দিন সময়ের মধ্যে বিচার শেষ না হলে সর্বশেষ আরও ১৫ দিন সময় দেয়া হবে।
এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেছেন, আবরার হত্যা মামলায় যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে তা নির্ভুল হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিজয় দিবস সামনে রেখে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘পলাতকদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে। আমাদের কাছে তথ্য থাকলে তাদের ধরে ফেলতাম। তবে বাইরে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঘরের কোথাও আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে হয়তো আছে, আমরা ধরে ফেলব।’
৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় চকবাজার থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় ঢাকা মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।