বিচার
শেখ হাসিনার বিচারকাজ শেষ, রায়ের দিন ধার্য ১৩ নভেম্বর
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামী ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য বিচারক হলেন মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আজ আসামিদের সাজা চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষে শেষবারের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এ ছাড়া শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম। প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের খালাস চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন তাঁদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাঁরও খালাস চাওয়া হয়েছে। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
বহুল আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ আবু সাঈদের পিতা ও স্বজনহারা পরিবারের অনেকে। এ ছাড়া ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। এই মামলায় সর্বমোট ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর একটি হয়েছে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায়। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
৪২ দিন আগে
আগে বিচার ও সংস্কার চাই, তারপর জাতীয় নির্বাচন: অধ্যাপক মুজিবুর
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন চায়, তবে যেনতেন নির্বাচন চায় না। তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রধান ৩টি দাবি আগে বিচার ও সংস্কার; তারপর জাতীয় নির্বাচন।
শনিবার (৩১ মে) সকাল ৯টায় কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের পুরাতন ষ্টেডিয়ামে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান দলের এই দাবির কথা দাবি জানান।
তিনি বলেন, গত ২৭ মে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম সুবিচার পেয়েছেন। আমাদের শীর্ষনেতাদের যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে এবং ওই দল ও তাদের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সকলের বিচার হওয়া উচিৎ।
অধ্যাপক মুজিবুর বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলব আগে বিচার হবে, এরপর সংস্কার এর পরে নির্বাচন হতে হবে।’
তিনি বলেন, আগের মতো যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনের কী দরকার আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন ওইগুলোতো নির্বাচনই হয় নাই। ২০১৪ সালে হলো বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হলো এবং ২০২৪ সালে নিজেরা নিজেরা ভোট দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে।
আরও পড়ুন: আমরা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম: জামায়াত আমির
মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা বিগত ১৭ বছর আইয়ামে জাহিলিয়ার যুগে বসবাস করেছি। হত্যা, নির্যাতন, জুলুম কি না করেছে বিগত আওয়ামী লীগের সরকার। তারা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং গুম, খুনসহ হেন অপরাধ নেই যে তারা করেনি। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মিথ্যা অপরাধী সাজিয়ে ফাঁসি দিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক ড. মাওলানা মো. ছামিউল হক ফারুকী, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ মা ও তৈয়বুজ্জামান, অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, নেত্রকোণা জেলা আমির সাদেকুর রহমান হারিছ, জামালপুর জেলা আমির মাওলানা আবদুস সাত্তার, শেরপুর জেলা আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
১৮৭ দিন আগে
নিরাপদ সড়কের দাবিতে গাজীপুরে সড়ক অবরোধ
গাজীপুরে কলেজছাত্র সিয়াম হত্যার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জেলার মাস্টারবাড়ি এলাকায় এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তাকওয়াও চ্যাম্পিয়ন পরিবহনে ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার মাঝে কলেজছাত্র সিয়ামকে চলন্ত গাড়ি থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতেই মহাসড়ক অবরোধ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি: জাবিতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ
পরে প্রশাসনের আশ্বাসে প্রায় দুই ঘণ্টা পর মহাড়ক থেকে থেকে সরে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান দিতেও দেখা যায়।
২০৮ দিন আগে
ইসলামি শরিয়ায় ব্রিটিশ দম্পতির বিচার করবে তালেবান
আফগানিস্তানে গ্রেপ্তার হওয়া এক ব্রিটিশ দম্পতির বিচার শিগগিরই ইসলামিক শরিয়া অনুসারে হবে বলে জানিয়েছে তালেবান সরকার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমদিকে পিটার রেনল্ডস ও বার্বি রেনল্ডস দম্পতিকে গ্রেপ্তারের পর এই প্রথম বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এ বিষয়ে কথা বলেন তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল বাতেন। তিনি জানান, ওই দম্পতির অপরাধ তেমন গুরুতর নয়। দ্রুতই আফগানিস্তানের প্রচলিত ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী তাদের বিচারকাজ শেষ করা হবে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানী কাবুলের মধ্য বামিয়ানের নিজ বাসভবন থেকে সত্তরোর্ধ রেনল্ডস দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কি কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানায়নি দেশটির প্রশাসন।
আরও পড়ুন: বাদী পক্ষে লড়তে আদালতে এআই-উকিল!
রেনল্ডস দম্পতি আফগানিস্তানে একটি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম পরিচালনা করতেন বলে জানিয়েছেন লন্ডনে বসবাসরত তাদের পরিবারের সদস্যরা। পিটার ও বার্বিকে গ্রেপ্তারের পর পুল-ই-চরকি কারাগারে রাখা হয়েছে, কি কারণে এটি করা হয়েছে তা জানানো হয়নি। এমনকি ওই কারাগারে পিটার ও বার্বির সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলেও তাদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন।
ওই দম্পতির মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে এসোসিয়েট প্রেসকে (এপি) পাঠানো এক বার্তায় জানান মুখপাত্র মাতেন। তবে গ্রেপ্তারের কারণ ও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে কিনা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
মাতেন বলেন, ‘আমি শুধু এতটুকুই বলতে পারি, বড় ধরনের কোনো অপরাধ করেননি তারা। ইনশাআল্লাহ, দ্রুতই শরিয়া আইনে রায় আসবে। সামান্য বিষয় এটি, চিন্তার কোনো কারণ নেই।’
এর আগে ওই দম্পতির সঙ্গে আটক হওয়া মার্কিন নাগরিক ফায়ে হল গত ৩০ মার্চ কাতারের মধ্যস্ততায় মুক্তি পেয়েছেন। বিনা অনুমতিতে ড্রোন ব্যবহার করার কারণে তাকে আটক করেছিল তালেবান সরকার। এ নিয়ে চলতি বছরে আফগানিস্তান থেকে চতুর্থ মার্কিনি মুক্তি পেয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২৪০ দিন আগে
গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে: সাকি
গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের পাশাপাশি আইন প্রণয়ন করে হলেও দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, ‘গণ অভ্যুত্থানের ক্রেডিট নিয়ে টানাটানি চলছে, একদল ক্রেডিট নিজেদের দখলে নিতে চায়।’
সোমবার (২৩ মার্চ) ময়মনসিংহের একটি রেস্টুরেন্টে ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে, ট্যাগিং করা হচ্ছে ফ্যাসিস্টের কায়দায়। এতে পুরোনো ফ্যাসিস্টদের পূণর্জাগরণের পথ তৈরি করবে। যারা বিভাজন তৈরি করবে তাদের শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব: জোনায়েদ সাকি
সাকি আরও বলেন, ‘সংবিধান সংস্কারের জন্য সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন দিতে হবে। এমন কোনো ভূমিকা নেওয়া যাবে না, যাতে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হয়। কেউ বলেন সংস্কার, কেউ বলেন নির্বাচন; কথা ছিলো একসঙ্গে সংস্কার ও নির্বাচন হবে।’
গণসংহতি আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা শাখার আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান রাজিবের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রুকনুজ্জামান রোকন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, জেলা নাগরিক ঐক্যের সদস্য সচিব হাতেম রানা, গণঅধিকার পরিষদের নেতা রাহাত জাহান, আলী ইউসুফ, আবুল কালাম আল আজাদ প্রমুখ।
২৫৫ দিন আগে
জুলাই বিপ্লবের খুনিদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে: ডা. শফিকুর রহমান
প্রত্যেক শহীদ পরিবারকে প্রতিশ্রুত ৩০ লাখ টাকা ও আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের খুনিদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো অন্যায় বিচার চাই না, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
সোমবার(১৭ মার্চ) বেলা ১২টায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এক পথসভায় জামায়াত আমির এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় নিহত মন্টুর ১৮ মাসের শিশুর দায়িত্ব নিলেন জামায়াত আমির
তিনি বলেন, কোরআন বাংলাদেশের সংবিধান হলে এবং ইসলামী দলগুলো দেশের সেবা করতে পারলে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে।
২৬২ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
আগামী দিনে দেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, ওই নির্বাচনে বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তাহলে বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করা হবে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বিকালে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মানে এই আয়োজন করা হয়। এতে বিগত দিনে গুম, খুন এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও বিএনপি ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘জনগণের যে প্রত্যাশা, একজন রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে আমাদেরও প্রত্যাশা, সামনে একটি সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কারা সরকার গঠন করবে—বাংলাদেশের জনগণ এই নির্বাচনে তাদের সিদ্ধান্ত দেবেন।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন না হলে কোনো সংস্কারই কাজ আসবে না: আমীর খসরু
তিনি বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, আগামীতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব যে রাজনৈতিক দলই পাক না কেন, তাদের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে অবশ্যই একটি কর্মসূচি থাকতে হবে; সেটি হলো—যারা নির্যাতন ও অন্যায়ের শিকার হয়েছে, তাদের প্রতি হওয়া অন্যায়ের বিচার করতে হবে।’
‘যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠুভাবে এই বিচার করতে হবে। কারণ আমরা যদি আগামী দিনে অন্যায়ের বিচারগুলো করতে না পারি এবং অন্যায়ের সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার যদি না হয়, তাহলে হয়তো-বা দেশে আবারও অন্যায় সংগঠিত হবে।’
বিএনপির এই সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘আমাদের দলের অবস্থান থেকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ যদি আগামীতে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয়, তাহলে অব্যশই রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যে, বিগত স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে জুলাই-আগস্ট মাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন এবং যারা শহিদ হয়েছেন, যাদের বিভিন্নভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেসব হত্যাগুলোর বিচার অবশ্যই আমরা করব।’
আরও পড়ুন: নারী-শিশু নির্যাতনে আইনি ও স্বাস্থ্য সহায়তায় বিএনপির ৮৪ সেল গঠন
‘আশা রাখবেন, আগামীতে আপনারা হতাশ হবেন না।... আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি, তাহলে এই বাংলায় (নিপীড়নকারীদের) বিচার করতে অবশ্যই আমরা সক্ষম হব।’
বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পক্ষে যতগুলো রাজনৈতিক দল আছে, তারা তার এই প্রস্তাবে দ্বিমত করবে না বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২৬৩ দিন আগে
নির্বাচনের আগে বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন চায় এনসিপি
যেকোনো নির্বাচনে যাওয়ার আগে দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন দেখতে চান বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনই নাগরিক পার্টির এই মুহূর্তে একমাত্র দাবি নয়, তার আগে আমরা দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম দেখতে চাই।’
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য নাগরিক পার্টির প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা বলেছি, সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি গণপরিষদ নির্বাচন দেখতে চাই। শুধু নির্বাচনই নাগরিক পার্টির এই মুহূর্তে একমাত্র দাবি নয়, তার আগে আমরা দৃশ্যমান বিচার কার্যক্রম দেখতে চাই।’
‘ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ সই হওয়ার কথা, জনগণ দেখতে পাবে কোন রাজনৈতিক দল সংস্কারের পক্ষে আছে, কোন দল বিপক্ষে আছে—এই জুলাই সনদ আমরা নির্বাচনের আগে কার্যকর দেখতে চাই। ছাত্রদের পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্রের যে দাবি উঠেছিল, দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা সেটার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।’
সারা দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, জনপরিসরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার যেন কঠোর অবস্থান নেয়। নারী নিপীড়নকারীদের যেন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হয়।’
আরও পড়ুন: ‘দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠায় ‘গণপরিষদ’ নির্বাচনের জন্য লড়াই করুন: নাহিদ
এ সময় আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থায় রয়টার্সে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘আমি রয়টার্সকে বলেছি, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নির্বাচন কঠিন হবে। তাদের বলি নাই নির্বাচন হবে না।’
‘আমি বলেছিলাম, এখন যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পুলিশ যে রকম নাজুক অবস্থায় আছে, এরকম নাজুক অবস্থায় নির্বাচন করাটা অনেক কঠিন হবে। এই পুলিশ প্রশাসনের সুষ্ঠু নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা দীর্ঘদিনের নেই। তাদের সক্ষমতা পরীক্ষা হয়নি দীর্ঘদিন ধরে। সে জায়গায় আমরা বলেছি, আমাদের অবশ্যই নির্বাচনের আগে যে পুলিশিং ব্যবস্থা আছে, আইনশৃঙ্খলার যে পরিস্থিতি আছে, সেটা অবশ্যই উন্নত করতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোকে, সামাজিক শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রয়টার্সের ইন্টারভিউতে কিছু মিসকোট হয়েছে। আমি বলেছিলাম যে, আমাদের আর্থিক বিষয়ে সমাজের যে সচ্ছল মানুষ বা শুভাকাঙ্ক্ষী রয়েছেন, তারা মূলত আমাদের সহযোগিতা করে। আমরা একটা ক্রাউড ফান্ডিংয়ের দিকে যাচ্ছি। অনলাইন ও অফলাইন-কেন্দ্রিক। ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে কার্যালয় স্থাপনসহ ইলেকশন ফান্ডিং রিচ করব। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটা নিয়ে ভুল তথ্য এসেছে। এটা সংশোধনের জন্য অনুরোধ থাকবে।’
এনসিপির কার্যক্রম বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, আমরা এখন রাজনৈতিক নিবন্ধনের শর্তাবলী নিয়ে মনযোগী হচ্ছি। তৃণমূলে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছি। রোজার পর পুরোদমে শুরু করবো। আমরা নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করছি। জোট গঠনের বা নির্বাচনের প্রার্থীর বিষয়ে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করতে আরও সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের সময়ের চেয়ে প্রেক্ষাপটকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে দাবি জানাচ্ছি। জুলাই সনদ আর জুলাই ঘোষণাপত্র আলাদা জিনিস। ঘোষণাপত্রের দাবি আরও আগে উঠেছিল ছাত্রদের পক্ষ থেকে। আর জুলাই সনদ প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা করছিলেন যে, সংস্কারের ঐকমত্যের ওপর একটা চার্টার তৈরি হবে যেখানে বাংলাদেশের রূপরেখা ও সংস্কারের কী কী এখন করব, কী কী ভবিষ্যতে করব— এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের কাছে কমিটমেন্ট দিতে হবে। সেটাকে আমরা বলছি জুলাই সনদ।’
‘পরিবর্তন ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা থেকে মানুষ গণঅভ্যুত্থানে এসেছিল। এই দুইটা পূরণ করতে হবে। সেটা আমি বলেছি যে, আমরা যেন ভুলে না যাই বিচার; সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেন আমরা নির্বাচনের দিকে যাই।’
এর আগে, এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন জানান, আগামী ১০ মার্চ রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহিদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে দলটি।
তারপর ১১ মার্চ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের পরিকল্পনার কথাও জানান আখতার।
এ সময় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের প্রধান সংগঠক সারজিস আলম, প্রধান সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৭২ দিন আগে
নির্বাচনের আগেই গণহত্যার বিচারের আশা আসিফ নজরুলের
নির্বাচনের আগেই জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের বিচার সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনের আগে কি শুধু সংস্কার কাজ প্রাধান্য পাবে? জুলাইয়ের গণহত্যার বিচারের যে দাবি ছিল, সেটি কতটুকু প্রাধান্য পাবে?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই, বিচারের কার্যক্রম অত্যন্ত সাবলীলভাবে চলছে। আমরা বিচারের ক্ষেত্রে মূলত গুরুত্ব দিচ্ছি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইবুনালের ওপর। এখানে রাষ্ট্রপক্ষের অংশগ্রহণ বেশি। ফলে আমরা এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। যে গতিতে এই মামলার তদন্ত কাজ এগোচ্ছে, আশা করছি মার্চ থেকে শুনানি শুরু হতে পারে।’
আরও পড়ুন: চার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন দাখিল
তিনি বলেন, ‘যদিও এটা বিচারালয়ের বিষয়, আমাদের আশা আছে, বিশ্বাস আছে— আগামী নির্বাচনের আগেই আমরা অন্তত ট্রায়াল কোর্টের বিচারকাজ সম্পন্ন করতে পারব। এখানে কারও কোনোরকম গাফিলতি করার সুযোগ নাই।’
‘আপনাদের কাছে আমাদের প্রতিজ্ঞা— বাংলাদেশে যে নির্মম, অমানবিক গণহত্যা সংগঠিত হয়েছে, অবশ্যই আমাদের সরকার তার বিচার করবে।’
এ সময় পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ , প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
৩২৩ দিন আগে
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পাহাড়ি হোক বাঙালি হোক যারাই জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সহিংসতার ঘটনা নিয়ে মামলা করতে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের বলে দিয়েছি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই অপরাধীরা আইনের আওতায় আসুক। নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে কারণে প্রশাসন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
বৌদ্ধদের কঠিন চীবর দানোৎসব পালন না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিহার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে সহিংসতায় আগুণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এসকে মার্কেট, বনরুপা কাটা পাহাড়, বনরুপা জামে মসজিদ, কাঠালতলী মৈত্রী বিহার পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, এ এস ইউ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
৪২১ দিন আগে