বিচার
সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, রাঙামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় পাহাড়ি হোক বাঙালি হোক যারাই জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সহিংসতার ঘটনা নিয়ে মামলা করতে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের বলে দিয়েছি।
বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই অপরাধীরা আইনের আওতায় আসুক। নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, সহিংসতার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিন পার্বত্য জেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য এলাকায় অনাকাক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, সে কারণে প্রশাসন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।
বৌদ্ধদের কঠিন চীবর দানোৎসব পালন না করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিহার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা প্রথমে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কক্ষ পরিদর্শন করেন। পরে সহিংসতায় আগুণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এসকে মার্কেট, বনরুপা কাটা পাহাড়, বনরুপা জামে মসজিদ, কাঠালতলী মৈত্রী বিহার পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা), পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কংকন চাকমা, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, জেলা পুলিশ সুপার ড. ফরহাদ হোসেন, এ এস ইউ কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আল মামুন সুমন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার অপসারণ দাবিতে স্মারকলিপি
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হবে: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
২ মাস আগে
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা হবে: ইউনূস
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
'দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড ইভেন্ট'-এ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে আইনবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সম্প্রতি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় কোনো দণ্ডিত ব্যক্তির বিচার শুরু হলে বাংলাদেশ অবশ্যই তার প্রত্যর্পণ চাইবে।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, কোনো দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি ভারতে থেকে গেলে আমরা তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারি। আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনাদের জানাব।’
গত ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তদন্ত ও প্রসিকিউশন টিম গঠনসহ কিছু দৃশ্যমান অগ্রগতি রয়েছে।
নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, 'কোনোভাবেই নয়, এটা আমার জন্য নয়।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই। ‘যারা নির্বাচনে অংশ নেয়, আমাকে কি তাদের মতো মনে হচ্ছে?’
'গণপিটুনি' বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিদেশের মানুষ অতিরঞ্জিত সংবাদ পাচ্ছে এবং তাদের নিজের চোখে দেখে রিপোর্ট করার জন্য সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানান।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ইউনূস বলেন, যেহেতু সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাই বেশি দেরি করা ঠিক হবে না।
সংস্কার অর্জনের জন্য গঠিত কমিশনগুলো হলো- বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে নির্বাচনি ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, সরফরাজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশন, বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশন, টিআইবির ড. ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন, আবদুল মুয়ীদ চৌধুরীর নেতৃত্বে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন এবং ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের নেতৃত্বে সংবিধান সংস্কার কমিশন।
এই কমিশনগুলো ১ অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে এবং তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে।
'তুমিই কারণ, আমরা ভোগান্তির শিকার।’
ইউনূস আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সীমিত করার বৈশ্বিক প্যারিস চুক্তি ততদিন কাজ করবে না, যতদিন বিশ্ব বর্তমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সঙ্গে টিকে থাকবে।
তিনি বলেন, এই ব্যবস্থা সর্বাধিক মুনাফা অর্জন, একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর জন্য সম্পদ তৈরি এবং ব্যাপক বর্জ্য সৃষ্টির উপর কেন্দ্রীভূত।
মানুষ 'আত্মবিধ্বংসী সভ্যতা' তৈরি করেছে উল্লেখ করে ইউনূস বলেন, 'আমরা যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি তা এই গ্রহের ধ্বংসের চাবিকাঠি।’
নিউইয়র্ক টাইমস ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড সামিটে ইউনূস বলেন, চুক্তিতে যত পরিবর্তনই আনা হোক না কেন, এটি কোনো পার্থক্য আনবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তর্নিহিত ব্যবস্থাগুলো নতুন করে সাজানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত বন্ধুত্ব চায় শুধু স্বৈরশাসক হাসিনার সঙ্গে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে নয়: রিজভী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ধনী দেশের কারণে জলবায়ুর ক্ষতির বোঝা বহন করতে হবে না।
তিনি বলেন, ‘আপনি আমাদের উপর যে সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞ চাপিয়ে দিয়েছেন, তার বোঝা আমরা কেন বহন করব? আপনারই কারণ, আমরা ভুক্তভোগী।’
তিনি আরও বলেন, কম বর্জ্য উৎপাদনের পাশাপাশি তাদের জীবাশ্ম জ্বালানি কমানোর দায়িত্বও পালন করা উচিত।
জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবের সম্মুখীন একটি দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলেন ইউনূস।
তার মতো দেশগুলোর কাছে ধনী দেশগুলোর কী পাওনা জানতে চাইলে ইউনূস বলেন, জলবায়ু মোকাবিলায় বৈশ্বিক কাঠামোতে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন, যার লক্ষ্য নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণ এবং চরম সম্পদ বৈষম্য দূরীকরণ।
নিউইয়র্ক টাইমস বুধবার উদ্ভাবক, কর্মী, বিজ্ঞানী এবং নীতিনির্ধারকদের একত্রিত করে লাইভ জার্নালিজমের সারাদিনের ইভেন্টে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো পরীক্ষা করে।
ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড নামে এই অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক ও নীতিগত চ্যালেঞ্জ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন বক্তারা।
এতে জেন গুডাল, মুহাম্মদ ইউনূস ও আর জে স্কারিংসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতারা সমস্যার মধ্য দিয়ে কাজ করা এবং দ্রুত উষ্ণ হওয়া গ্রহের হুমকি সম্পর্কে কঠিন প্রশ্নের উত্তরের জন্য মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখবে: অধ্যাপক ইউনূস
২ মাস আগে
পুলিশ বিচারের ঊর্ধ্বে নয়, তাদেরও বিচার হবে: সারজিস
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, পুলিশের যদি বিচার না হয়, তাহলে রাষ্ট্রের অন্য কোনো নাগরিকের বিচার করাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়। পুলিশও বিচারের বাইরের কেউ না। পুলিশ বা অন্য যে কেউ হোক, যে দোষী তার বিচার হতেই হবে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মানিকগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী ও শহীদদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
সারজিস বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য সরাসরি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। যে পদ্ধতিতে তাদের বিচার হওয়ার কথা, সেই পদ্ধতিতে অবশ্যই বিচার হতে হবে। যারা অতি উৎসাহী হয়ে নিজের জায়গা থেকে সরে ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে নিজেকে তুলে দিয়ে অন্যায় করেছে, তাদের কোনো ছাড় নেই। সে যদি পুলিশও হয়, সে অন্যায়কারী। তাদের বিচার হতেই হবে।
এই সমন্বয়ক আরও বলেন, কেউ বিচার চাইতে গেলে পুলিশ যুদি বিন্দুমাত্র স্পর্ধা দেখায়, আমরা কঠোরভাবে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
৩ মাস আগে
আইন ও বিচার বিভাগের নতুন সচিব গোলাম রব্বানী
আইন ও বিচার বিভাগের নতুন সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন এই বিভাগের যুগ্ম সচিব (প্রশাসন-১) মো. গোলাম রব্বানী।
আরও পড়ুন: দেশে খাদ্যের কোনো সংকট নেই: খাদ্য সচিব
রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) গোলাম রব্বানীকে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের চলতি দায়িত্ব দিয়ে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিবের দায়িত্ব চালিয়ে আসা মো. গোলাম সারওয়ারকে আইন বিচারের বিভাগের সংযুক্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন
৩ মাস আগে
বিচার বিভাগে বড় রদবদল: ৮১ বিচারপতিকে বদলি
বিচার বিভাগে বড় ধরনের রদবদলের মধ্য দিয়ে ৮১ জন বিচারপতিকে বদলি ও নতুন পদায়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত চারটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শেই এই বদলি করা হয়েছে।
জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিক কারাগারে, আদালত প্রাঙ্গণে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
উপসচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ ওসমান হায়দারের সই করা প্রজ্ঞাপনে একজন ছাড়া বদলিকৃত সব বিচারককে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খানকে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়েছে। তাকে আগামী ১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব হস্তান্তর করে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে বলো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আদালতে যাওয়ার সময় কারো ওপর হামলা সমর্থনযোগ্য নয়: আইন উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে ছাত্র হত্যার বিচার করুন: হাফিজ উদ্দিন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান দমনে গণহত্যার জন্য বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
নিকটতম প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি আলোচনা সভায় হাফিজ উদ্দিন এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আহত আবু বক্করের চিকিৎসায় এগিয়ে এলেন বিএনপি নেতা ইয়াছিন
ছাত্র হত্যাকাণ্ডে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ায় শেখ হাসিনার বিচার এবং আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় খুনি। এমন কোনো অন্যায় বা অপকর্ম নেই, যা তিনি করেননি। তার কারণে অনেক মা তাদের সন্তান হারিয়েছেন। আমি তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
শুক্রবার ভাইস চেয়ারম্যান থেকে পদোন্নতি পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হওয়া হাফিজ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাদের দল ক্ষমতায় গেলে শেখ হাসিনার পরিণতি ইতালির মুসোলিনির মতো হবে।
হাফিজ বলেন, ‘ভারতের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি,বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইলে, তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, ভবিষ্যতে আরও মামলা হবে।’
‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা’র নামে নামকরণ করা বরিশাল সেনানিবাসের নাম পরিবর্তনের দাবিও জানান হাফিজ।
ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। একই সঙ্গে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে ছাত্রদের সাহসিকতা ও ত্যাগের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, রক্তপিপাসু আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে প্রতিবেশী ভারতের আজ্ঞাবহ করে তুলেছে।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে পুলিশ বাহিনী যে ভূমিকা পালন করেছে, তা বিশ্বের নিকৃষ্টতম ছিল।
হাফিজ বলেন, ‘অনেক পুলিশ সদস্য এখনও পালিয়ে রয়েছেন এবং একটি ঘটনায় ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। শিক্ষার্থী বা আমরা কেউই এ ধরনের কর্মকাণ্ড সমর্থন করি না। তারা (পুলিশ) স্থানীয় জনগণের রোষের মুখে পড়েছে। তাদের মৃত্যুর জন্য শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগই দায়ী।’
তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর ভেতরের খুনি ও খারাপ সদস্যরা হয় পালিয়ে গেছে অথবা নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পুলিশ বাহিনী দরকার। তাই আমরা একে একটি জনবান্ধব শক্তিতে রূপান্তরিত করতে চাই। যারা বর্তমানে যুক্ত আছেন, তাদের সম্পৃক্ত করতে চাই। আপনাদেরও এই রূপান্তরে সমর্থন করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন হাফিজ-জাহিদ
গণতন্ত্রের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার যতদিন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে ততদিন সমর্থন করবে বিএনপি
৪ মাস আগে
দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, দেশব্যাপী সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'দেশব্যাপী সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করা হবে এবং মামলার ধরন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সীমা লঙ্ঘন করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
দুই-তিন দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এতে মাসুদ পারভেজ রেজা ভূঁইয়া, গিয়াস উদ্দিন ও মুক্তাদির নামে তিন পুলিশ সদস্য এবং জুয়েল নামে এক আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে মোট নিহতের সংখ্যা জানা যায়নি বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে কাউকে ছাড় দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলেই তাদের টার্গেট করা হয়েছে। এছাড়া এক পুলিশ সদস্যের ১২ বছর বয়সি ছেলেকেও নির্যাতন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি জামায়াত ও বিএনপি হামলা চালিয়েছে এবং মাইক ব্যবহার করে জনগণকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যেতে বলেছে।’
সরকার কারফিউ অব্যাহত রাখতে চায় না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, থানা ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে হামলার কারণে এটি আরোপ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব কারফিউ প্রত্যাহার করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যৌক্তিকতা না থাকলে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা বাতিল হতে পারে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৪ মাস আগে
অর্থ আত্মসাতের মামলায় ড. ইউনূসের বিচার হবে কি না জানা যাবে ১২ জুন
অর্থ আত্মসাতের মামলায় অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিচার শুরু হবে কি না সে বিষয়ে আদেশ জানাতে আগামী ১২ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রবিবার (২ জুন) আদেশের এ তারিখ ঠিক করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত।
আদালতে দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এবং ড. ইউনূসের পক্ষে ব্যরিস্টার আব্দুল আল মামুন শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ড. ইউনূস ও অন্যান্যরা।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
গত ১ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান।
এর আগে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ৩০ মে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম আইন লঙ্ঘন: ড. ইউনূসের জামিনের মেয়াদ বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত
পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
৬ মাস আগে
খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি: প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
দুই পূর্ণ মেয়াদে ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি বা খালেদা জিয়া কেন জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার করেননি- সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের গুলশান টেরাসে নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: জ্যামাইকা ও ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি ৩০ মে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু দিবসে নানা বক্তব্য দেয়। কিন্তু তারা ক্ষমতায় থেকেও এই হত্যার বিচার করেননি। বরং এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা।'
তিনি বলেন, জিয়া হত্যায় তার কাছের ও পরিবারের কারো হাত ছিল কি না- সে প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।
হাছান বলেন, 'জিয়া হত্যায় তার পরিবার যেভাবে লাভবান হয়েছিল তা নজিরবিহীন। বেগম জিয়া পেয়েছিলেন ৭ একর জমির ওপর বাড়ি ও বিপুল ব্যাংকসুবিধা আর জাতিকে দেখানো জিয়াউর রহমানের ভাঙা ব্রিফকেস থেকে পরে বেরিয়ে এসেছিল বহু জাহাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্য।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী রাখতে ও দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে সবাইকে তৎপর ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমলের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ আজাদ, যুক্তরাষ্ট্রের আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম চৌধুরী, ফজলুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা বিষয়ে ওআইসি দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিং
বঙ্গবন্ধুর বৈদেশিক নীতি অনুযায়ী শান্তির প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের অগ্রভাগে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৬ মাস আগে
পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
পিলখানা বিদ্রোহ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ের কথা আমরা শুনেছি, কিন্তু রায়ের অবস্থা কী? রায়ে কি কোনো আপিল হয়েছে, আর ১৫ বছরেও শুনানি শেষ হয়নি কেন? এছাড়া ২০১১ সালে আরেকটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কেন এই মামলার বিচার এখনও বিলম্বিত হচ্ছে?’
আরও পড়ুন: সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা শুধু একটি কথাই বলব, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পায়। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) কয়েকশ সদস্য পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। এদিনের বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।
পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
৯ মাস আগে