সোমবার জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এছাড়া, আদালতে চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত অপর ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।
এর আগে, প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমান ও সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হকসহ অভিযুক্ত ছয়জন রবিবার জামিন আবেদন করেন।
মতিউর রহমান ও আনিসুল হক ছাড়া অন্য চারজন হলেন- কিশোর আলো’র সিনিয়র সহসম্পাদক মহিতুল আলম, হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরান তুষার ও শুভাশীষ প্রামাণিক।
গত বৃহস্পতিবার রেসিডেনশিয়ালের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরারের মৃত্যুর মামলায় প্রথম আলো’র সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মোহাম্মাদপুর থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল আলীম প্রতিবেদন জমা দিলে শুনানি শেষে ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. কায়সারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
দণ্ডবিধির ৩০৪ (এ) ধারায় প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ৬ নভেম্বর নাইমুল আবরারের বাবা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
গত ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ প্রাঙ্গণে দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্র নাইমুল আবরার।
মামলায় মজিবুর রহমান অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানস্থলে বৈদ্যুতিক জিনিসপত্রের বিষয়ে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আয়োজকদের গাফিলতি ছিল, যার ফলে তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল অনুষ্ঠানস্থলের কাছাকাছি থাকলেও আবরারকে মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
কিশোর আলো এবং স্কুল কর্তৃপক্ষকে আবরারের মৃত্যুর তথ্য গোপন করা এবং মর্মান্তিক ঘটনার পরেও অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন তিনি।