বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে।
রবিবার (১৮ আগস্ট) নিহত আবু সাঈদের ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে মেট্রোপলিটন তাজহাট ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করেন।
আবু সাঈদ পীরগঞ্জের বাবনপুর জাফরপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: রংপুরে চিরনিদ্রায় শায়িত আবু সাঈদ
মামলার আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর, তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম, বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়, বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রবিউল হাসান রাসেল, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও এএসআই আমির। এছাড়াও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। আবু সাঈদকে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গেলে সারা দেশে আন্দোলন আরও জোরদার হয়ে ওঠে।
সেসময় এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইট-পাটকেলের আঘাতে আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে বলে ওই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলা পিবিআইতে