মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাকিবের বিষয়টি নিয়ে আমরা ধোঁয়াশায় আছি। বোর্ডের সাথেও আমরা কথা বলেছি, তাদেরও বিষয়টি জানা নেই। আইসিসি বিষয়টি তদন্ত করছে। তবে আজকেই বিষয়টি জানা যাবে। সাকিব যাতে অন্যায়ভাবে শাস্তির মুখে না পড়ে সেজন্য আমরা তার পাশে থাকব।’
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বছর দুই আগে ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সাকিবের কাছে এসেছিল। সাকিব তাৎক্ষণিকভাবে সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে অবগত করেননি। এতেই আইসিসির নিয়মানুসারে কয়েক মাসের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার।
ক্রিকেটারদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের কারণে সাকিবের এই প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, খেলোয়াড়রা আন্দোলনে গিয়েছিল, সেটি সমাধান হয়েছে। তার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
‘সাকিবের বিষয়টি অনেকদিন ধরে আইসিসি তদন্ত করছিল, আমারও বিষয়টি জানা ছিল না। বোর্ড বলেছে, তারাও জানত না। সাকিব বিষয়টি হালকাভাবে নিয়েছিল, কিন্তু এতদূর আগাবে বুঝতে পারেনি,’ যোগ করেন তিনি।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিসি বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। ফলে সাকিবের ভারতের ট্যুরটি অনিশ্চয়তায় রয়েছে। ‘আমি বোর্ডকে বলেছি আইসিসির সাথে যোগাযোগ করার জন্য। আজ তারা আইসিসির কাছে বিষয়টি জানতে চাইবে। আজকেই জানা যাবে কী হতে যাচ্ছে।’
সাকিব ইস্যুর কারণে দল গোছানোও পিছিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত সফরের দল ঘোষণার বিষয়টি এখনো হয়নি। কারণ সাকিব থাকলে একরকম দল হবে, আর না থাকলে আরেকরকম হবে। দ্রুত সমাধান না হলে ভারত সফরে এ বিষয়টি নিয়ে সংশয় থাকবে।
ক্যাসিনোকাণ্ডে যুক্ত বিসিবি পরিচালক লোকমানের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিসিবি নিজেদের নিয়ম অনুযায়ী চলে, যেহেতু লোকমানের বিষয়ে অভিযোগ এসেছে, সুতরাং তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়া উচিত।
‘মানুষ যেটাকে সন্দেহের চোখে দেখছে, সেটা মাথায় রেখে দ্রুতই পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া উচিত। আমি বোর্ডের সাথে কথা বলেছি তাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য, তারা জানিয়েছে তারা এটি দেখছে,’ বলেন তিনি।