ওই শিল্পী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় সুজন ভুইয়া ও বাদশা ভূঁইয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
আটক বাদশা ভুইয়া (৪০) গাজীরচট এলাকার ফজল ভুইয়ার ছেলে। তবে মামলার প্রধান আসামি গাজীরচট এলাকার এমারত ভুইয়ার ছেলে সুজন ভুইয়া (৩৫) পলাতক রয়েছে।
ওই শিল্পীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাউল গান করতেন ওই শিল্পী। বুধবার দুপুরে তিনি গাজীরচট এলাকায় পাওনা টাকার জন্য আবুল কালাম নামের অপর এক বাউল শিল্পীর দোকানে যান। সুজন ভুইয়া এক শিশুকে দিয়ে তাকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে একটি কক্ষের ভেতরে ওই শিল্পীকে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
এরপর বাদশা নামের আরেক ব্যক্তি ভয় দেখিয়ে ওই শিল্পীকে তার বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে আবারো ধর্ষণ করে। পরে বাদশা ও সুজন বাউল শিল্পী কালামকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে মারধর করে এবং এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। এছাড়াও এ বিষয়ে কাউকে জানালে তাকে ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে দুই বাউল শিল্পীকেই মারধর করে।
এ ঘটনায় নারী শিল্পী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ বাদশা ভুঁইয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে সুজন ও বাদশা ভূঁইয়ার পরিবারের দাবি, কালাম ও ওই বাউল নারী শিল্পীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে এলাকার লোকজন মারধর করে ওই এলাকা থেকে বের করে দেন। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে ওই বাউল শিল্পী কালামের সহায়তায় থানায় গিয়ে ধর্ষণ মামলা করে।
আশুলিয়া থানার ওসি রেজাউল হক দিপু বলেন, ‘অভিযোগ নেয়ার পর ওই নারীকে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।’