সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বলেন, ‘আদালতে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিকে গউছসহ সব আসামি উপস্থিত হলেও মাওলানা শেখ আবদুস সালাম উপস্থিত ছিলেন না।’
এ কারণে আদালতের বিচারক রেজাউল করিম সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ৭ মার্চ নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন, যোগ করেন পিপি কিশোর।
২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ খানের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
মামলার সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ হয় ২০১৬ সালে। ওই সময় পর্যন্ত ১৭১ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৪৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান কিশোর কুমার।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান তিনি।
ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারি তৎকালীন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। মামলা দুটি বর্তমানে বিচারাধীন।