আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টার ছিলেন গণমানুষের নেতা, তার আদর্শ অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার রায় অবিলম্বে কার্যকর করারও আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা বলেন, আহসানউল্লাহ শিল্প অধ্যুষিত জেলা গাজীপুরের শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের বন্ধু হিসেবে কাজ করলেও রাজনৈতিক কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত ‘শান্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সংসদ সদস্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে আসামির ফাঁসি কার্যকর
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আহসানউল্লাহর অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের তার প্রজ্ঞা এবং জনগণের সঠিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার শিক্ষা থেকে আহরণ করতে হবে।
আহসানুল্লাহ মাস্টারের ছেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল তার বাবার জীবন ও কর্মের কথা স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও অ্যাডভোকেট আবদুল বাতেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আহসান উল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সম্পাদক আতাউর রহমান।
গাজীপুরের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানউল্লাহ ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন।
আহসানউল্লাহ মাস্টার স্মৃতি পরিষদ গাজীপুরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তার হত্যা দিবস পালন করবে।
আরও পড়ুন: আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যার রায় কার্যকর না হওয়া দুঃখজনক: যুব প্রতিমন্ত্রী