সোমবার জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে ঢাবির সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, ঢাবি ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী এবং অন্যপ্রকাশের পরিচালক ও প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আহাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার কখনোই কবিতার বই প্রকাশ করার পরিকল্পনা ছিল না। কবিতা পড়া ও লেখা আমার শখ এবং নিজের তুষ্টির জন্যই আমি এ কবিতাগুলো লিখেছি।’
কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশের পটভূমি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কবিতা লিখে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করতাম। সেসব কবিতা পড়ে এগুলো একটি বই আকারে প্রকাশে আমার শিক্ষার্থীরাসহ অনেকেই বেশ উৎসাহ দিল। সেজন্য আমি কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশে উৎসাহি হলাম।’
অকালপ্রয়াত কবিপত্নীর কথা স্মরণ করে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আহাদুজ্জামানের কবিতার বইয়ে তার জীবনের মর্ম প্রকাশ পেয়েছে। কবিতাগুলো পড়ে বুঝা যায় তিনি শব্দচয়নে সতর্ক ও কবিতার কাঠামোর ব্যাপারেও যত্নশীল ছিলেন।’
অধ্যাপক আহাদুজ্জামান তার কবিতা লেখা চালিয়ে যাবেন এমন আশা করে তিনি কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে কেন এতো সময় নিয়েছেন তা জানতে চেয়েছেন আনিসুজ্জামান।
অধ্যাপক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মী হিসেবে অধ্যাপক আহাদুজ্জামানকে আমি অনেক দিন ধরে জানি। আমাদের এক সাথে অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমি তার এই কর্মের জন্য সাধুবাদ জানাই সেই সাথে আমি আশা করি তার এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠকদের কাছে ব্যাপক সাড়া পাবে।’