গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
হাদি হত্যা ও সংবাদমাধ্যমে হামলার বিচার দাবি ঢাবি সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড এবং রাজধানীতে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার’র কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, পাশাপাশি নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা এ সব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশবিরোধী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
গণমাধ্যমে হামলার প্রসঙ্গে বিবৃতিতে বলা হয়, হাদি হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী উগ্রগোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ ছাড়া নিউ এইজ-এর সম্পাদক নুরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, অতীতের মতো বর্তমান সময়েও এ ধরনের হামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকারের ওপর সরাসরি আঘাত এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়, হাদিকে গুলিবিদ্ধ করার ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে খুনিদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে।
বিবৃতিতে দেশবাসীর প্রতি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন পরিচালনা ও সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে মানুষ, গণমাধ্যম, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কঠোর ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
২ দিন আগে
ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৭ অক্টোবর
করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের এক বিশেষ ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সশরীরে ক্লাসে যোগদানের আগে শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে করোনার এক ডোজ টিকা নিতে বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিল শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।’
আরও পড়ুন: খুললো ঢাবির হল, শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ
শারীরিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য যে সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে প্রয়োজনে তাদের বিভিন্ন সেকশনে ভাগ করে নিতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিভাগ ও ইন্সটিটিউটকে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ ক্লাস সশরীরে এবং সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে নিতে পারবে। তবে সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটকে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ক্লাস সশরীরে নিতে হবে।
বিভাগ ও ইন্সটিটিউট নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী পরীক্ষার ধরন ঠিক করতে পারবে বলে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করছে ঢাবি
ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
১৫৩৬ দিন আগে
খুবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ!
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেবনাথের বিরুদ্ধে তার এক নারী সহকর্মীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেল ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার বিকেলে এক পক্ষের শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক মোসা. তাসলিমা খাতুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী সব কাজ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনায় ‘নব্য জেএমবি সদস্য’ সন্দেহে খুবির ২ ছাত্র আটক
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে সহকারী অধ্যাপক ছোটন দেবনাথের ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে ওই নারী শিক্ষককে যৌন হয়রানি করেন। পরে ঘটনার জন্য ছোটন দেবনাথ ওই নারী শিক্ষকের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
সম্প্রতি ঘটনাটি নিয়ে ছোটন ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার চেষ্টা করলে ওই নারী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) ওই অভিযোগ পাওয়ার পর শনিবার যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটি বৈঠক করে ব্যাপারটি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছোটন দেবনাথকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য ওই নারী শিক্ষকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে শিক্ষক ছোটন দেবনাথ দাবি করেন, ‘কী নিয়ে এবং কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তা এখনও বিস্তারিত কিছু জানি না। আমাকে কমিটির পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।’
১৫৬৫ দিন আগে
আহাদুজ্জামানের ‘নক্ষত্র নিভে যায়’ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ
প্রকাশিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘নক্ষত্র নিভে যায়’।
২১৫৫ দিন আগে