রাজধানীর মহাখালীতে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সাব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।
ইউরোপে করোনাভাইরাস সবচেয়ে মারাত্মক আকার ধারণ করা ইতালি থেকে শনিবার দেশে ফিরেছেন ১৪২ জন বাংলাদেশি। তাদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টাইনের (রোগ সংক্রমণ রোধের জন্য পৃথক রাখার ব্যবস্থা) জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশ ফেরতদের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘আজ সকালে ইতালির ভেনেটো এলাকার ভেনিস বিমানবন্দর থেকে ১৪২ জন বাংলাদেশি দেশে পৌঁছেছেন। প্রাথমিকভাবে তাদের পরীক্ষা করা হয়েছে এবং করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।’
বিদেশ থেকে আর কাউকে দেশে না আসার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সবাইকে বাংলাদেশে না আসার জন্য আবারও অনুরোধ জানাচ্ছি। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করেছি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও এ পরামর্শ দিয়েছে।’
আইইডিসিআর পরিচালক জানান, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে তাদের কারও শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট প্রাণঘাতী ‘কোভিড-১৯’ রোগে আক্রান্ত হয়ে শনিবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৩৬ জনে। ওয়ার্ল্ডওমিটার্সের (https://www.worldometers.info/coronavirus/) তথ্যানুসারে, সারা বিশ্বে শনিবার পর্যন্ত এ রোগে বিশ্বব্যাপী ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭২ হাজার ৫৩১ জন (মোট আক্রান্তের ৯৪ শতাংশ) পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এছাড়া ৬৭ হাজার ৮৪৩ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৪৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় এবং এ বিষয়ে সরকারি পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী চলমান এ সংকটকে বুধবার মহামারি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। তবে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিভিন্ন দেশের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে এখনও খুব বেশি দেরি হয়ে যায়নি বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।