রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদের আদালতে মামলাটি করেন শাজাহান খান।
আদালত মামলাটি তদন্তে দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দিয়ে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামি হলেন- কাদেরিয়া পাবলিকেশন্স অ্যান্ড প্রোডাক্টস লিমিটেডের পরিচালক আব্দুল কাদের।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি শাজাহান খানের একমাত্র মেয়ে ঐশী লন্ডন থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। করোনার কারণে তিনি আর যেতে পারেননি। গত ২৬ জুলাই বিমানে ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা থাকলে তিনি দুদিন আগে ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টারে করোনা পরীক্ষা করেন। একদিন পর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। ইমিগ্রেশন যাচাইয়ের সময় অনলাইনে করোনা পজিটিভ আসে।
২৭ জুলাই শাজাহান খান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি অ্যান্ড রেটারেন্স সেন্টারের পরিচালক ভুলের দায় স্বীকার করেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের ডাটা অপারেটরের ভুলের কারণে ওই সমস্যা তৈরি হয়। যার জন্য শাজাহান খান বা তার মেয়ে মোটেও দায়ী নন।
এ এম এম বাহাউদ্দীন ২৮ জুলাই তার পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ক্যাপশনে লেখেন, শাজাহান খানের মেয়ের করোনা সনদ জালিয়াতি। এর নিচে লেখেন, ‘করোনার জাল সনদ দেখিয়ে লন্ডনে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ধরা পড়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে ঐশী খান। করোনা পজেটিভ থাকার পরও নেগেটিভ সনদ নিয়ে লন্ডনে যাচ্ছিলেন তিনি। সেখানে তিনি পড়াশোনা করেন। তাকে ফ্লাইটে উঠতে দেয়া হয়নি।’
ওই ঘটনায় শাজাহান খানের পরিবারের মানহানি হয়েছে বলে আদালতে মামলাটি করেন শাজাহান খান।