শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘জেএসসি, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে।’
‘এই ফল তৈরির জন্য মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে প্রধান করে এবং ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানকে সদস্য করে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি করে দেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।
যাদের জেএসসি ও এসএসসির ফল খারাপ ছিল কিন্তু এইচএসসিতে ভালো প্রস্তুতি ছিল, তাদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কি হতে পারত, সেটা বলার মতো সময় এটা না। বা সুযোগ নেই। এমন অনেক শিক্ষার্থীর হয়ত এইচএসসি পরীক্ষা ভালো নাও হতে পারত বা পরীক্ষা শেষ নাও হতে পারত। তদের জন্যও ভালো হবে। সবার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বুয়েটের শিক্ষক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকবেন।
শিক্ষাউপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ব্রিফিংয়ে সংযুক্ত ছিলেন।
গত ১ এপ্রিল থেকে এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে
গত ২২ মার্চ পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে সরকার।
করোনার বিস্তাররোধে গত ১৬ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এই ছুটি আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত
বাড়ানো হয়েছে।
পাশাপাশি প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনি পরীক্ষাও এ বছর বাতিল করা হয়েছে। ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সোমবার অথবা মঙ্গলবার (চলতি সপ্তাহের) এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার তারিখসহ বিস্তারিত সবকিছু ঘোষণা করা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসির বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ নেয়া যায় সব কিছু আমরা ঠিক করেছি। আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে পরীপূর্ণ পরীকল্পনা তারিখসহ ঘোষণা করতে পারব। কতটুকু পরীক্ষা নেব, কি পদ্ধতিতে নেব সেটি সেদিন জানাতে পারব।’
‘তবে পরীক্ষার্থীদের আমরা অন্তত চার সপ্তাহ সময় দেব। চেষ্টা করব দ্রুততম সময়ের মধ্যে কত নম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে এটি সম্পন্ন করতে পারি। আর জেএসসি পরীক্ষার ফলাফলও আমরা মূল্যায়নে নিয়ে আসতে পারি,’ বলেন তিনি।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং সবাই যেন দুশ্চিন্তা ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারে, সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। আর যারা পরীক্ষা দিতে পারবেন না তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করা হবে, সেটি সোম অথবা মঙ্গলবার জানাবো।’
এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। কারণ পরীক্ষার আগ মূহূর্তে বন্ধ হয়েছে। আমাদের প্রশ্নও তৈরি আছে। কিন্তু ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সাথে একজন করে অভিভাবক কেন্দ্রে গেলেও শিক্ষকসহ ২৫ থেকে ৩০ লাখ লোকের সম্পৃক্ততা থাকে। যারা অধিকাংশই গণপরিবহন ব্যবহার করবে। সেজন্য আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েব আসতে পারে, সেটিও আমরা মাথায় রেখেছি। তবে কেউ কেউ নাকি পরীক্ষা ছাড়াই মূল্যয়ন চাইছেন। সেক্ষেত্রে আমরা সেটি নাকচ করছি না, কারণ সব চেষ্টার পরও পরীক্ষা নেয়া গেল না তাহলে কি আমাদের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে না? সেক্ষেত্রে পরীক্ষা ছাড়া মূল্যায়নের সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে, আমাদের সেটিও ভাবতে হবে।’