‘৮ তলা থেকে ওপরের দুটি ফ্লোর ৯ ও ১০ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধোঁয়ার কারণে ভবনটির ১১, ১২ এবং ১৩ তলায় বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটে,’ বলেন তিনি।
বনানীর বহুতল ভবন এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহতের ঘটনায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এফআর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের অভাব ছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এফআর টাওয়ারে অগ্নিনির্বাপণের সময় ফায়ার সার্ভিস থেকে যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আজ আমাদের বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিনিধিরাও এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
দেশে অত্যাধুনিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ক্রয়ের জন্য বড় বাজেট প্রয়োজন উল্লেখ করে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের উপকরণের অভাব রয়েছে। আমরা প্রথমে এক হাজার কোটি টাকার অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ক্রয় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা এবং বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুনের ঘটনার পরে আমরা দেখছি এই বাজেটে হবে না। কারণ অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ভারি যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয়। বিশ্বে যে পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়েছে, সেগুলো ক্রয় করতে গেলে আরও বড় বাজেটের প্রয়োজন।’
এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিষদের পরবর্তী বৈঠকে বাজেট বাড়ানোর প্রস্তাব পেশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষির ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত ঘূর্ণিঝড় এবং টর্নেডোতে সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার, চাল, টিন এবং নগদ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। আজকের বৈঠকে দেশে দুর্যোগের কারণে যাতে কৃষিতে প্রভাব না পড়ে সে জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় থেকে এবং সাইক্লোন থেকে উদ্ধারের জন্য আমরা ৪২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। ৫৫০টি মুজিব কেল্লা তৈরির জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২২০টি সাইক্লোন সেন্টারের কাজ প্রায় শেষের দিকে।
হাওর অঞ্চলে আগাম বন্যায় ক্ষতি যাতে না হয় সেজন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।