‘জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে’ অভিযোগ করে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানকে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসার) এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে এ রিট করেন।
রিটে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ মোট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াসার এমডি ১৩ বছর ধরে আছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি আছেন। এসময়ে পানির দাম ৬ টাকা থেকে ১৫ টাকা ইউনিট হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত হচ্ছে, আমি যতটুকু জানি দুদকেও অনুসন্ধান হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে যখন তাকে নিয়োগ দেয়া হয়, নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে, জাল জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা কিন্তু ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এরপর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে।
আমার বক্তব্য হলো দুদককে আমরা পার্টি করেছি। এই কথাগুলো সত্য হলে তার নিয়োগপত্রের তদন্ত হওয়া দরকার।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, পৃথিবীর কোনো লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা থাকে কি না আপনারা দেখবেন। তার নিয়োগপত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানে বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এজন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জন্মই যার অবৈধ হয়, পরে তার কর্মতে লুটপাট হবে, পানির দাম বাড়বে, ওয়াসার বাজে অবস্থা হবে, পানির মধ্যে ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক।
এ ধরনের অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে যে নিয়োগ জনস্বার্থে সেটা বন্ধ করতে হবে। তার বেতন তো আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির বেতনের থেকে বেশি।
তিনি নাকি অফিস করেন আমেরিকায় বসে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত