ওয়াসা
চট্টগ্রাম ওয়াসা ভবনে দুদক, নথিপত্র জব্দ
চট্টগ্রাম ওয়াসার পাম্প অপারেটর নিয়োগ ও বিভিন্ন প্রজেক্টে আর্থিক অনিয়ম তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এরই অংশ হিসেবে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসায় আসেন দুদকের উপপরিচালক ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করেছে দুদক টিম।
আরও পড়ুন: ১০ দিনের মধ্যে সব ভবনের মালিককে কাগজপত্র দিতে হবে: মেয়র আতিকুল
এসময় ওয়াসার চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ ও প্রধান প্রকৌশলী মাকুসদ আলমের সঙ্গে দেখা করেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপপরিচালক ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক আগে থেকে চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল। তাছাড়া সদ্য ওয়াসার পাম্প অপারেটর নিয়োগ বিষয়ে অভিযোগ আছে। এসব বিষয়ে বুধবার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেছি। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করব।’
এছাড়া নথিপত্রে কোনো অনিয়ম পাওয়া গেছে কি না- এমন প্রশ্নে তদন্তাধীন বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘চট্টগ্রাম ওয়াসায় ঠিকাদার ও পরামর্শক নিয়োগ কীভাবে হয় এসব বিষয়ে খবর নেওয়ার জন্য দুদকের একটি টিম এসেছিল। জরুরি কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর এমডি স্যারের সঙ্গে কথা বলে তারা চলে যান।’
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী স্পেনের ব্যবসায়ীরা: বিদায়ী রাষ্ট্রদূত
১০ মাস আগে
ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে চলমান অনুসন্ধানের হালনাগাদ প্রতিবেদন মঙ্গলবার জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার ২০০৯ সাল থেকে ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম জানান যে মঙ্গলবার তিনি তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতকে অবহিত করবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগে ত্রুটিপূর্ণ প্রক্রিয়ার অভিযোগ এনে রিটটি করেন।
রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সাত কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তাকসিম ২০০৯ সাল থেকে গত ১৩ বছর ধরে ওয়াসার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, তার মেয়াদে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করেছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও তিনি তার পদে বহাল রয়েছেন।
সুমন আরও বলেন, ২০০৯ সালে তার পরীক্ষার ফলাফল পুনর্লিখন ও কারচুপি করার মাধ্যমে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। এমডি পদের জন্য ২০ বছরের প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতার প্রয়োজন, যা তার ছিল না।
তিনি বলেন, ‘তার নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পরীক্ষা ও বিবেচনা করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করছে। যার অর্থ হল কিছু কারচুপি হয়েছিল, তবুও তার মেয়াদ পরে বাড়ানো হয়।’
তার নিয়োগ প্রক্রিয়া তদন্তের প্রয়োজনীয়তা দেখায় রিট পিটিশন দাখিল করা হয় বলে জানান তিনি।
সুমন বলেন, ২০০৯ সালে তিন বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের পর ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মেয়াদ তিনবার বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত
১ বছর আগে
ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
‘জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে’ অভিযোগ করে ঢাকা ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানকে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়:নিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসার) এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে অনুমতি নিয়ে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে এ রিট করেন।
রিটে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ মোট সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
আইনজীবী সায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াসার এমডি ১৩ বছর ধরে আছেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি আছেন। এসময়ে পানির দাম ৬ টাকা থেকে ১৫ টাকা ইউনিট হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার কোটি টাকার অভিযোগ বিভিন্ন পত্রিকায় উঠে এসেছে। তারপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় তদন্ত হচ্ছে, আমি যতটুকু জানি দুদকেও অনুসন্ধান হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে যখন তাকে নিয়োগ দেয়া হয়, নিয়োগ পরীক্ষায় নম্বরে ঘষামাজা করে, জাল জালিয়াতি করে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। ওয়াসার এমডি হতে হলে যে ধরনের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা ছিল না। কম করে হলেও ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, সেটা কিন্তু ছিল না। তারপরও তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এরপর সেই মেয়াদ আবার বাড়ানো হয়েছে।
আমার বক্তব্য হলো দুদককে আমরা পার্টি করেছি। এই কথাগুলো সত্য হলে তার নিয়োগপত্রের তদন্ত হওয়া দরকার।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, তার নিয়োগপত্রে যা লেখা আছে, পৃথিবীর কোনো লোকের নিয়োগপত্রে এমন লেখা থাকে কি না আপনারা দেখবেন। তার নিয়োগপত্রে লেখা হয়েছে ভবিষ্যতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকালে পরীক্ষা ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর মানে বোঝা যাচ্ছে দুই নম্বরি হয়েছে। এরপরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এজন্যই আমরা তার নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে তার নিয়োগ অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, জন্মই যার অবৈধ হয়, পরে তার কর্মতে লুটপাট হবে, পানির দাম বাড়বে, ওয়াসার বাজে অবস্থা হবে, পানির মধ্যে ময়লা আবর্জনা পাওয়া যাবে এটাই স্বাভাবিক।
এ ধরনের অবৈধ দুর্নীতির মাধ্যমে যে নিয়োগ জনস্বার্থে সেটা বন্ধ করতে হবে। তার বেতন তো আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতির বেতনের থেকে বেশি।
তিনি নাকি অফিস করেন আমেরিকায় বসে।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডির বেতন-বোনাসের হিসাব দিতেই হবে: চেম্বার আদালত
ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
১ বছর আগে
ওয়াসার এমডিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে অজ্ঞাতনামাদেরও আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে মামলার আবেদন করেন সমিতির সম্পাদক মো. শাহাব উদ্দিন সরকার।
আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী শাহাব উদ্দিন সরকার।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন, প্রকৌশলী মো. বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপ-সচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপ-প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. সালেকুর রহমান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ১৬ জুলাই ২০১৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৮ সাল পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। আর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা।
এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় এক কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। অবশিষ্ট ১৩২ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ৬টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে আসামি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সমমূল্যের সম্পদ চুরি করে আসামিরা।
মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অথবা পিবিআইকে তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন বাদী শাহাব উদ্দিন সরকার।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় যুবকের ১০ বছর কারাদণ্ড
২ বছর আগে
অবশেষে আলোর মুখ দেখছে চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃনিষ্কাশন প্রকল্প
প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছর পর পয়ঃনিষ্কাশন (স্যুয়ারেজ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এতদিন শুধু নগরবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল তাদের তৎপরতা। স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা ছিল অবহেলিত। অবশেষে দীর্ঘদিন পর স্যুয়ারেজ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
পুরো নগরীকে ছয়টি জোনে ভাগ করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রথম ধাপে ১১টি ওয়ার্ডের ২০ লাখ নগরবাসীকে পয়ঃবর্জ্য স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীতে কোনো স্যুয়ারেজ লাইন নেই। খালনালার মাধ্যমে পয়ঃবর্জ্য কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে পড়ছে। সেখান থেকে চলে যাচ্ছে সাগরে। নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বর্জ্য সরাসরি নদীতে পড়বে না। ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে বর্জ্য শোধন করা হবে।
ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) ২০১৮ সালের শেষের দিকে একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। এ প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য হলো স্যানিটেশন ফ্যাসিলিটিস নির্মাণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরবাসীর জন্য পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের রুল
এদিকে তিন হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিশাল এ পয়ঃবর্জ্য শোধনাগার প্রকল্পের একক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পেতে যাচ্ছে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান।
তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড নামে দক্ষিণ কোরীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুমোদন দেয়া অনেকটা চুড়ান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাইইয়ং তো মাঝে চট্টগ্রাম ওয়াসার ভান্ডালজুড়ি পানি শোধনাগার প্রকল্প এবং মদুনাঘাটের শেখ রাসেল পানি শোধনাগার প্রকল্পের প্রধান ঠিকাদার হিসেবে কাজ পেয়েছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চট্টগ্রাম ওয়াসার পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চীনা ও কোরিয়ান কোম্পানিগুলো মোট ৩৬টি দরপত্র কিনেছে। এর মধ্যে চীনা কোম্পানিগুলো কিনেছে ৩৩টি দরপত্র এবং বাকিগুলো কোরিয়ান কোম্পানি।
২০১৮ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসার জন্য একনেক তিন হাজার ৮০৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয়। মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার তিন হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা এবং বাকি ৫০ কোটি টাকা ওয়াসা দেবে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো বন্দরনগরীতে পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যার সমাধান করা।
আরও পড়ুন: ঢাকা ও চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডিকে পুনঃনিয়োগ না দেওয়ার আহ্বান ক্যাবের
যদিও উল্লেখিত প্রকল্পে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আছে তারপরও তাইইয়ং আগের দুটি প্রকল্পে যুক্ত থাকায় এই প্রকল্পেও একমাত্র দরদাতা হিসেবে তাদেরই কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কোভিডের কারণে ভান্ডালজুড়ি প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। ফলে একই কোম্পানি বাংলাদেশের অবকাঠামো এবং ভবিষ্যতের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি মেগাপ্রকল্প পরিচালনা করতে সক্ষম কিনা তা নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করছেন পরিকল্পনাবিদরা।
সূত্রের দাবি, ভান্ডাল জুড়িতে কাজের মান এবং অগ্রগতি প্রত্যাশিত না হওয়ায় আরও বড় প্রকল্প পরিচালনায় কোম্পানিটির সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এই তিনটি চুক্তির মূল্য এক সাথে চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যদিও সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে একক দরপত্র আহ্বান করা প্রতিষ্ঠানকে কাজের অনুমোদন না দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
৩ বছর আগে
মশক নিয়ন্ত্রণে মাঠ পর্যায়ে তদারকির নির্দেশ ঢাদসিক মেয়রের
আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে (আনিক) মাঠ পর্যায়ে মশক নিয়ন্ত্রণ ও ওয়াসার কাছ থেকে পাওয়া বদ্ধ নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার ঢাদসিকের সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধানদের সাথে ভার্চুয়াল এক বৈঠকে তিনি এই নির্দেশনা দেন।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, 'এপ্রিল মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে, সামনে ঈদ। এ সময় ডেঙ্গু মশকের যে প্রকোপ এবং আমরা যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি সেখানে আমরা দেখেছি যে, প্রায় সব জায়গাতেই এডিস মশার কিছু লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টা নিবিড়ভাবে তদারকি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আমাদের কার্যক্রম কোনভাবেই যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়টা আপনারা তদারকি করবেন।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ: ঢাদসিকের অভিযানে ১৩ মামলায় ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা
তিনি বলেন, 'উন্মুক্ত নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম আমাদের চলমান কর্মপরিকল্পনা মধ্যেই আছে। এছাড়াও ওয়াসার কাছে থেকে আমরা যে বদ্ধ নর্দমাগুলো পেয়েছি সেগুলোও কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাধ্যমে পরিষ্কার করতে এরই মাঝে আমরা ঠিকাদার নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছি। তার মাধ্যমে আমরা এগুলো পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।'
এসব বদ্ধ নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে তদারকির নির্দেশ দিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, 'নর্দমা পরিষ্কারের জন্য ওয়াসার একটি বাজেটও ছিল এবং বাৎসরিক কার্যক্রমও ছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি যে সেটা ফলপ্রসূ কোনো সময়ই হয়নি। যার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়েছে, পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে হয়নি।'
তিনি বলেন, ‘এই যে ঠিকাদারদের মাধ্যমে আমরা এসব বন্ধ নর্দমা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করছি, তারা ঠিক মতো বর্জ্য পরিষ্কার করছে নাকি, আপনাদের (আনিকবৃন্দ) কিন্তু সেসব মাঠ পর্যায়ে তদারকি করতে হবে। ঘুরতে হবে, দেখতে হবে।'
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সোমবার থেকে মাঠে থাকার ঘোষণা ডিএসসিসি মেয়রের
তাপস বলেন, 'আমাদের অবকাঠামো উন্নয়নের কাজগুলো যথারীতি চালিয়ে যেতে হবে। ঠিকাদারকে সহযোগিতা করতে হবে, যাদেরকে আমরা কার্যাদেশ দিয়েছি সেই কাজগুলো যেন তারা সঠিক সময়ে সম্পন্ন করতে পারে। কারণ আমাদের কার্যক্রমের একটি বড় অংশই কিন্তু সামনে যে জলাবদ্ধতা বা বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে।'
ঢাদসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সঞ্চালনায় অনলাইন বৈঠকে করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানগণ ও আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
৩ বছর আগে
ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
গত ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানো কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে
ওয়াসার পানি: বাড়তি টাকা গুণতেই হবে গ্রাহকদের
ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।
৪ বছর আগে
উন্মুক্ত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখলে ওয়াসাকে জরিমানা: তাপস
নর্দমা পরিষ্কার করে রাস্তায় ময়লা ফেলে রাখলে ওয়াসাকে জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
৪ বছর আগে
দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে সোমবার জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
৪ বছর আগে