এসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, তাদের অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথায়ও হদিস মিলছে না। তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। উদ্বেগ উৎকন্ঠায় রয়েছেন নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের স্বজনরা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি দ্রুত খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। সেই সাথে অভিভাবকদের তার সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ করেন।
শহরের বাহারছড়াস্থ কবর স্থান পাড়ার বাসিন্দা ইমাদুল হকের ছেলে পৌর প্রিপার্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির নিখোঁজ ছাত্র শিহাব উদ্দিনের মামা জালাল হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ পরের দিন বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আসতে বলায় জিডি করা সম্ভব হয়নি। পরে মাইকিং এবং পোস্টার লাগানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তার ভাগ্নে রবিবার সকালে স্কুলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।
পৌর প্রিপার্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, তার স্কুলের ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে এমন খবর কেউ জানাননি।
এদিকে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র এইচ কে গালিব উদ্দিনও রবিবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পর আর বাসায় ফিরে আসেনি।
নিখোঁজ ছাত্রের বাবা অ্যাডভোকেট আবদুল আমিন জানান, গালিব তার বড় ছেলে। প্রতিদিনই স্কুল শেষে বাড়ি ফিরে সে। কিন্তু রবিবার বাসায় না ফেরায় সব স্থানে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি।
একই বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র শাহরিয়ার কামাল আকিব ও সাফিন নুর স্কুলে গিয়ে আর বাসায় ফিরেনি। তারা সহোদর। তাদের মামা মোর্শেদুল আলম জানান, তার দুই ভাগিনা রবিবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও তাদের সন্ধান মিলেনি।
ওই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র সায়েদ নকিব। তার বাবা শহরের আদর্শ কামিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপল মৌলানা জহিরুল হক জানান, ছেলে সকালে স্কুলে গেল। তারপর থেকে নিখোঁজ।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন জানান, আকিব ও সাফিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিভাবকরা তার কাছে অভিযোগ করেন। এরা রবিবার স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। তবে বাকি দুজনের বিষয়ে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান।
পাঁচ স্কুলছাত্রের এক সঙ্গে হঠাৎ নিখোঁজ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন খন্দকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ত আছেন জানিয়ে কথা বলেননি।
এদিকে একই দিনে পাঁচ স্কুলছাত্র নিখোঁজ ঘটনায় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের ধারণা, কোনো সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে তাদের অপহরণ করেছে।
অভিভাবকরা এ ব্যাপারে দ্রুত পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।