সংস্থাটির নতুন এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টারের (আইটিসি) কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাতে এখানে কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।
এখন পর্যন্ত জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় অন্যান্য সংস্থার উদ্যোগের পাঁচটি অক্সিজেন জেনারেটর প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে।
এজন্য আইওএমকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কক্সবাজার-৩ সংসদীয় আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘রামুবাসীর জন্য এ অক্সিজেন জেনারেটর প্লান্ট একটি উপহার। আমরা আশা করি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহযোগিতার পাশাপাশি স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের জন্য আইওএম এবং অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থা আরও কাজ করবে।’
আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান গিওরগি গিগৌরি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কক্সবাজারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সহায়তা করার জন্য আমাদের সম্মিলিত কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা অপরিহার্য এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের সহায়তায় এ স্বাস্থ্য সুবিধা আমাদের প্রতিশ্রুতির আরেকটি প্রমাণ।’
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনয় চাকমা, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিনিধি ডা. মো. আলমগীর, রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া এবং রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন।
অক্সিজেন জেনারেটর প্লান্টটি আইটিসিতে ৫০টি শয্যার অবিচ্ছিন্ন পাইপযুক্ত অক্সিজেন প্রবাহ সরবরাহ করবে এবং কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কোভিড-১৯-এ আক্রান্তদের চিকিৎসায় এ অক্সিজেন প্লান্টটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।