মাগুরা জেলার গাংনালিয়া ব্রিজের নিচে থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত কঙ্কালের সূত্র ধরে আসামিকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, গত ১৫ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার গাংনালিয়া ও বরিশাট গ্রাম সংলগ্ন কুমার নদীর উপর নির্মিত ব্রিজের নিচ থেকে একটি বস্তাবন্দি মানুষের মাথার খুলিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশের হাড় উদ্ধার করে। পরে ১৬ নভেম্বর এ সংক্রান্ত একটি এফআইআর করা হয়।
এরপর জেলা পুলিশের নির্দেশনায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল (সিসিআইসি) ও মাগুরা সদর থানার কর্মকর্তারা জেলার বিভিন্ন থানাসহ আশপাশের থানার মানুষ নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি পর্যালোচনা করে এবং নিখোঁজ ব্যাক্তিদের পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার, আটক ২
এতে প্রাথমিকভাবে জানা যায় যে, উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল গত ১৭ অক্টোবর নিখোঁজ হওয়া মোছা. মারিয়া খাতুনের। তিনি মাগুরা সদর থানার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আসাদুজ্জামানের মেয়ে।
নিখোঁজ সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে সন্দেহভাজন জড়িতদের জিজ্ঞাসাবদ করতে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ঘটনার প্রায় সাত দিনি আগে ভুক্তভোগী মারিয়ার(১৭) সঙ্গে আটক শশী আহম্মেদ নিশানের (১৯) এর ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক হয়।
সম্পর্কের সূত্র ধরে ১৭ অক্টোবর মারিয়াকে ফুসলিয়ে আমির খসরু নামের একজনের ভাড়া বাসায় নিয়ে হত্যা করে শশী। পরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ও আলামত ধ্বংস করতে সেতুর নিচে লাশ বস্তাবন্দি করে ফেলে আসে।
গ্রেপ্তার শশী আহম্মেদ নিশান (১৯) ও নবুয়াত আলী মোল্যাকে(৪৬) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।