স্বল্পোন্নত দেশগুলো যাতে করোনা ভ্যাকসিন এবং জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করতে পারে সে ব্যাপারে কার্যকরী প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের স্বত্ব উন্মুক্তের আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক সহায়তা বৃদ্ধির জন্য বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়েল অনুষ্ঠানে এই দাবি জানা তিনি।
যদিও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ইস্তাম্বুল প্রোগ্রাম অফ অ্যাকশন ২০১১ সালে এক দশকের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্যে তাদের অবদান দ্বিগুন করার কথা বলেছিল, কিন্তু ড. মোমেন জানান, দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত ১০ বছরে বিশ্ব বাণিজ্যে তাদের অবদান আরও কমেছে।
মন্ত্রী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সুবিধার জন্য দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিদলীয় সহায়তা এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।
ড. মোমেন চলমান মহামারি এবং স্বল্পউন্নত দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এর প্রভাব উল্লেখ করে বলেন, এসব দেশে ডিজিটাল অবকাঠামোগত সুবিধা বিশেষ করে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করা দরকার।
মহামারি চলাকালীন সময়ে স্বল্পউন্নত দেশগুলোর সার্ভিস সেক্টরের আয় ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন যেহেতু বেশিরভাগই পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল সে কারণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অর্থনীতি এমন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
ড. মোমেন স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কল্যাণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার মিটিংয়ে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কহীন বাধা ও বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর দ্রত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এছাড়াও তিনি স্বল্পোন্নত দেশগুলোর করোনা ভ্যাকসিন সহজলভ্য উপায়ে পাওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি এসব দেশে করোনা ভ্যাকসিনের বিশাল ঘাটতির কথা উল্লেখ্যপূবর্ক দেশগুলেতে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করার ব্যাপারে আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের সুপারিশ করেন।
এছাড়াও তিনি উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান এবং এ ব্যাপারে তাদের চলমান সাহায্যের দরকারের বিষয়টি তুলে ধরেন।