ওষুধ
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়: সামন্ত লাল সেন
ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি এবং এটি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ওষুধ কোম্পানির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ওষুধের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, 'সংবাদপত্রে প্রায়ই ওষুধের মূল্য নিয়ে লেখালেখি হয়। হঠাৎ করে ওষুধের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে পারে না। কেন বাড়ছে, কতটা বাড়ছে, যৌক্তিক কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রাক্তন স্বামীর আগুনে দগ্ধ চিকিৎসকের খোঁজ নিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্থানীয়ভাবে কুষ্ঠ রোগের ওষুধ উৎপাদন করুন: ওষুধ কোম্পানিগুলোকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ওষুধ উৎপাদন শুরু করতে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের (আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোকে) কুষ্ঠ রোগীদের জন্য ওষুধ উৎপাদনের জন্য অনুরোধ করতে চাই, যাতে আমরা তাদের কম বা বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করতে পারি।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিতীয় জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলন-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো সারা বিশ্বে ওষুধ রপ্তানি করে। আমরা খুব উচ্চ মানের ওষুধ উৎপাদন করি।’
প্রধানমন্ত্রী কুষ্ঠ রোগীদের স্পর্শ করা যাবে না এমন পুরনো ভুল ধারণা ও কুসংস্কার পরিহার করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরানো বিশ্বাস এবং কুসংস্কার ত্যাগ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২ লাখ ৫০ হাজার কম্বল দিলো ইসলামী ব্যাংক
তিনি আরও বলেন, তার সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছে এবং এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশে এ ধরনের কুসংস্কার লালন করে আমরা কীভাবে স্মার্ট হব?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কুষ্ঠ রোগীরা ব্রিটিশ আমলের একটি আইন- কুষ্ঠ আইন, ১৮৯৮ এর কারণে সমাজ ও পরিবার থেকে বঞ্চিত ও বিচ্ছিন্ন ছিল। আইনটি তার সরকার বাতিল করেছে।
প্রধানমন্ত্রী কুষ্ঠ রোগীদের পাশে দাঁড়াতে, তাদের মনোবল বাড়াতে, সহানুভূতি প্রদর্শন করতে এবং তাদের যথাযথ যত্ন নিশ্চিত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে কুষ্ঠ নির্মূলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কুষ্ঠ রোগীরা উপজেলা হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে সেবা ও ওষুধ পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার কুষ্ঠরোগ কর্মসূচিকে শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে নতুন রোগী শনাক্তকরণ এবং কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী কুষ্ঠ রোগ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘যে প্রতিরোধ আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এর কারণ ও প্রতিরোধে আমাদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।’
বিশেষ করে জলবায়ু সংক্রান্ত রোগের কারণ ও বিশদ বিবরণ খুঁজে বের করার জন্য তিনি বিশেষজ্ঞদেরকে আরও বৃহত্তর উপায়ে চিকিৎসা গবেষণা চালাতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে আমাদের আরও গবেষণা প্রয়োজন। আমরা যদি এটি করি তবে আমরা আমাদের জলবায়ু সম্পর্কিত রোগগুলো সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে পারব এবং সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ও এই বিষয়ে ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম হব।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কুষ্ঠরোগের জন্য জাতীয় কৌশলগত গাইডলাইন ২০২৩-২০৩০ উন্মোচন করেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শুভেচ্ছা দূত এবং জাপানে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
২০১৯ সালে জাতীয় কুষ্ঠ সম্মেলনের প্রথম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী নরসিংদীতে ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করবেন রবিবার
সংহতি ও বন্ধুত্ব থেকেই শ্রীলঙ্কাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়েছে বাংলাদেশ
দক্ষিণ এশিয়ার বন্ধুপ্রতীম দেশ শ্রীলঙ্কার জনগণের জন্য ১০ কোটি টাকার চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন,‘এটি আমাদের দুই দেশের মধ্যে সংহতি ও বন্ধুত্বের বহিঃপ্রকাশ।’
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার রুওয়ান্থি দেলপিটিয়া, এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মোমেন বলেন, কোভিড-১৯ এর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতের কারণে প্রতিটি দেশ বিভিন্ন মাত্রায় নিজস্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা বা বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। এই কঠিন সময়ে পারস্পরিক সহযোগিতা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেকোনো দেশকে, বিশেষ করে তার প্রতিবেশী দেশগুলোকে তার সীমিত সামর্থ্য অনুযায়ী সহায়তা দিতে দ্বিধা করে না। ‘আমাদের কার্যক্রমের মূল ভিত্তি হলো বিশুদ্ধ সদিচ্ছা এবং সুতো ছাড়াই বন্ধুত্ব।’
সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান, সিরিয়া, তুরস্ক ও সর্বশেষ ফিলিস্তিনকে ওষুধ ও অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর শ্রীলঙ্কায় অনুদান হিসেবে প্রায় ২০ কোটি টাকার ওষুধ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ১.৭ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস বিশ্বব্যাংকের
বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ দিবে কমিউনিটি ক্লিনিক: সাংবাদিক কর্মশালায় বক্তারা
সম্প্রতি সরকার কর্তৃক গৃহীত কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপ মোকাবিলায় একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এর সহযোগিতায় প্রজ্ঞার (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজনে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এ তথ্য ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত খাবার ও জীবন ধারণ পদ্ধতি
কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২২জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, সিদ্ধান্তটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশব্যাপী উচ্চ রক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ ও মৃত্যু কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে ওষুধের সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।
এতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রতি চারজন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে একজনের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত ডব্লিউএইচও এর গ্লোবাল রিপোর্ট অন হাইপারটেনশন ২০২৩ এর তথ্য অনুযায়ী- বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের হার মাত্র ৩৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করেছে; যার ৫৪ শতাংশের জন্য দায়ী উচ্চ রক্তচাপ।
কর্মশালায় এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. জাকির হোসেন জানান, ‘আগামী অর্থবছরে সকল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শামীম জুবায়ের বলেন, ‘কেবল লবণ গ্রহণের মাত্রা কমিয়ে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।’
উল্লেখ্য, ডব্লিউএইচও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত প্রতি ৫ জনে ৪ জনই প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পায়না।
এক্ষেত্রে সেবার আওতা বাড়ানো হলে ২০৫০ সালের মধ্যে ৭ দশমিক ৬ কোটি মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হবে।
সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ওবায়দুল কবির এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
আরও পড়ুন: সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
নড়াইলে স্বামী-সন্তানের জন্য ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধার!
নড়াইলে ঘরে শয্যাশায়ী স্বামী ও সন্তানের জন্য ওষুধ নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধা আনোয়ারা বেগমের (৭০)। বেপরোয়া গতির পিকআপ কেড়ে নিল তার প্রাণ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নড়াইল-যশোর মহাসড়কে সদর উপজেলার গাবতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আনোয়ারা দুর্ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী চাঁচরা গ্রামের শওকত মোল্যার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: হিলিতে মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টর মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুল ছাত্রী নিহত
জানা গেছে, রাস্তা পার হতে গিয়ে বৃদ্ধা আনোয়ারা পিকআপের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানায়, আনোয়ারার স্বামী শওকত মোল্যা ও তার ছেলে দুইজনই শয্যাশায়ী। সে তাদের জন্য ওষুধ কিনতে গাবতলা গিয়েছিলেন। সেখানে রাস্তা পার হওয়ার সময় নড়াইল থেকে যশোরগামী একটি বেপরোয়া পিকআপ আনোয়ারাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে জ্ঞান হারান। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তুলারামপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান জানান, ঘাতক পিকআপটিকে জব্দ করা গেলেও এর চালক পালিয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে বালুর স্তূপ ধসে নিহত ৩
কুমিল্লায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
বাংলাদেশ থেকে আরও ওষুধ আমদানির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প সর্বাধুনিক কারিগরি প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদন করছে এবং বিশ্বের অনেক দেশে প্রতিযোগিতামূলক দামে ওষুধ রপ্তানি করছে।
তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি ওষুধ নিতে আহ্বান জানান এবং বলেন যে কোভিড-১৯ এর সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে অনেক মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট নিয়েছিল।
মঙ্গলবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন বায়োটেকনোলজি কোম্পানি ডায়াডিক এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক এমালফার্ব তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাক্ষাতকালে ডায়াডিক এর প্রেসিডেন্ট মার্ক এমালফার্ব বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ কোম্পানি এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে ভ্যাক্সিন উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগের বিষয়ে অবহিত করেন।
এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে অত্যাধিক উৎপাদন ব্যয়ের কারণে ওষুধের মূল্য অনেক বেশি উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওইসব দেশের বড় বড় কোম্পানি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি স্থানান্তরের মাধ্যমে তুলনামূলক সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।
মোমেন এক্ষেত্রে ভ্যাক্সিন উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ডায়াডিকের মতো বিশ্বখ্যাত বায়োটেকনোলজি কোম্পানির সহযোগিতার উদ্যোগের জন্য মার্ক এমালফার্বকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ইইউএন-হ্যাবিট্যাট সম্মেলনে যোগ দিতে কেনিয়া গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উজবেকিস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সিআইএস-বিসিসিআই নেতাদের বৈঠক
সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকায় উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করবে
গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধ তালিকা হালনাগাদ কমিটি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার প্রজ্ঞার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কমিটি ১৪ মে এক বৈঠকে কমিউনিটি ক্লিনিকের ওষুধের তালিকায় উচ্চ রক্তচাপের জন্য "অ্যামালোডিপাইন ৫মিলি.’ এবং ডায়াবেটিসের জন্য ‘মেটফরমিন ৫০০ মিলি.’ অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে উচ্চ রক্তচাপের ব্যাপকতা মোকাবিলায় একটি বড় পদক্ষেপ।
এটি বলছে, বাংলাদেশে উচ্চরক্তচাপ ও উচ্চরক্তচাপজনিত বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ও মৃত্যু ক্রমশ বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। কমিউনিটি ক্লিনিক স্তরে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ উপলব্ধ করার সিদ্ধান্ত উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এই বিষয়ে একটি সাশ্রয়ী পদ্ধতি হতে পারে।
আরও পড়ুন: কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল: শেখ হাসিনার উদ্যোগ তুলে ধরে জাতিসংঘে রেজুলেশন গৃহীত
উল্লেখ্য, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং এর অংশীদার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (নলেজ ফর প্রগ্রেস) বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে যাতে উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধক ওষুধের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়। কমিউনিটি ক্লিনিকের বিদ্যমান ওষুধের তালিকা; উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে বহু মাস (২ থেকে ৩ মাস) হাইপারটেনসিভ ওষুধের প্রেসক্রিপশন এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমান করেছে যে বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন মানুষ (৩০-৭০ বছর বয়সী) উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে, যার দুই তৃতীয়াংশ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে বাস করে।
উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক এবং কিডনি রোগের পাশাপাশি মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের ভূয়সী প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর
সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে।
সেখানে যে জনবল ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর সাথে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার
শনিবার বিকালে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন যে বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ যোগ দিতে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে বিকালে গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি মন্ত্রী।
এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখব। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রপ্তানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতি কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।
আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানির হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন: মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
বেক্সিমকোর তৈরি ৬৫ লাখ পিপিইর প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ
রোগীর প্রেসক্রিপশনে ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে: বিএসএমএমইউ উপাচার্য
রোগীদের সেবার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্লিপশন) ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের অবশ্যই রোগীবান্ধব মানসিকতা নিয়ে সেবা দিতে হবে। রোগীদের সেবার জন্য অবশ্যই ব্যবস্থাপত্রে (প্রেসক্লিপশন) ওষুধের নাম ইংরেজি বড় অক্ষরে লিখতে হবে। যাতে রোগী ও ফার্মেসির ওষুধ বিক্রেতা সহজেই বুঝতে পারেন। এজন্য আমি আরএস ও আরপিকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে বলে বিশ্বাস করি।’
বুধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্হিবিভাগ-২ বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে অনলাইন রিপোর্টিং কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে রোগীর স্বাস্থ্যের প্রায় ১০০ ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়।
বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলমের নেতৃত্বে অনলাইন রিপোর্টিং এ সফটওয়ার নির্মাণ করা হয়। এ অনলাইন রিপোর্টিং এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রোগীর মোবাইল ও ই-মেইল আইডিতে পৌঁছে যাবে।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউতে এনটি-প্রো বিএনপি পরীক্ষা চালু
এর জন্য রোগীকে পরীক্ষার স্যাম্পল বা নমুনা প্রদানের সময় ছোট একটি ফরমে রোগীর নাম ও ই-মেইল আইডি লিখতে হবে। এ অনলাইন রিপোর্টিং কার্যক্রমের ফলে রোগীকে ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা নিরীক্ষার সেবা প্রদান করা যাবে।
২৪ ঘণ্টার মাঝেই রোগীর স্বাস্থ্য রিপোর্টরে ফল অনলাইনে প্রদান করা সম্ভব হবে।
প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলে নয় হাজার রোগী সেবা নিতে আসেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে আট হাজার রোগী প্রতিদিন সেবা নিতে আসত । বর্তমানে আগত রোগীদের মধ্যে প্রায় আড়াই হাজার রোগী বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আসেন। এসব রোগীরা অনলাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফল গ্রহণের মাধ্যমে যেমন তারা সময় বাঁচাতে পারবে তেমনে যাতায়াত ভাড়াও বাঁচাতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শারফুদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এ অনলাইন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের স্বপ্ন যাত্রায় উঠে পড়েছে।
বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন আরেকটি ধাপে উন্নীত হল।
তিনি বলেন, এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ইতিহাস যোগ হলো।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফলাফল কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে সকল বিভাগে অতি দ্রুত চালু করা হবে।
বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মাসুম আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েল বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানু, বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. মতিউর রহমান, অধ্যাপক ডা. ফরহাদুল হক মোল্লা বক্তব্য দেন।
এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও নার্স, কর্মচারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ৮৮ শতাংশ করোনা রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত: বিএসএমএমইউ’র জরিপ
বিএসএমএমইউতে আগুন
সময় ও খরচ বাঁচাতে গবেষকরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনে কাজ করছে
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ তৈরি করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ হয় এবং কখনও কখনও এর জন্য কয়েক দশক পর্যন্ত সময় লেগে যায়। আর তাই সময় ও খরচ কমিয়ে আনতে গবেষকরা একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ওষুধ উদ্ভাবনের কৌশল তৈরি করছেন।
প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (এনএলপি) কৌশলের মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রোটিন ও ওষুধের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া ঘটানোর মাধ্যমে তারা এটি তৈরির চেষ্টা করছে। এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করে তারা প্রায় ৯৭ শতাংশ সফলতা পাওয়ার দাবি করেছেন।
সম্প্রতি ব্রিফিংস ইন বায়োইনফরমেটিক্স জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
এক্ষেত্রে ওষুধ ও প্রোটিনের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়ার ফলে প্রতিটি প্রোটিন মিশ্রনকে ভাষায় প্রকাশ করা হয় এবং উভয়ের মধ্যে হওয়া এই জটিল মিথস্ক্রিয়ার ফলে উদ্ভূত বৈশিষ্ট্যগুলো প্রকাশে ডিপ লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এএনআই জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা সিস্টেম বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপক ও এই গবেষণার একজন সহ-লেখক ওজলেম গারিবে বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রচলন বেড়ে যাওয়ায় এ ধরনের কিছু কাজ এআই এর দ্বারা করা যাবে। আপনি প্রোটিন ও ওষুধের মিথস্ক্রিয়াগুলোর মধ্যকার বৈচিত্র্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য দেখতে পারেন এবং খুঁজে বের করতে পারেন যে কোনটিকে এক করা সম্ভব আর কোনটি সম্ভব না।’
আরও পড়ুন: ‘স্টেম সেল’ ব্যবহার করে কৃত্রিম ইঁদুর ভ্রূণ তৈরি
তারা যে মডেলটি তৈরি করেছে তা অ্যাটেনশনডিটিআই নামে পরিচিত। প্রোটিন মিশ্রনের ভাষা ব্যবহার করে ব্যাখ্যাযোগ্য হওয়ার ঘটনা এই প্রথম।
এ পদ্ধতিটি ওষুধ গবেষকদের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এর মাধ্যমে কার্যকরী বৈশিষ্ট্যসহ জটিল প্রোটিন বন্ধন শনাক্ত করা যায়। যার মাধ্যমে একটি ওষুধ কাজ করবে কি না তা বোঝা যায়।
আরও পড়ুন: মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
সাশ্রয়ী দামে করোনা শনাক্তের কিট উদ্ভাবন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের