সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির পরামর্শ অমান্য করে অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এমনকি দেশের এ সংকটময় মুহূর্তে তারা গ্রীষ্মকালীন সেমিস্টারে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এ ধরনের কার্যক্রম কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
সেমিস্টার ফাইনাল ছাড়া গ্রেড দেয়া ও মূল্যায়ন এবং কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই স্নাতক প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নৈতিকতার বিচারে ঠিক নয় উল্লেখ করে ইউজিসি জানায়, তাদের সাম্প্রতিক অফিস আদেশে এ ধরনের কার্যকলাপের কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।
‘গুটি কয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনতিবিলম্বে এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে,’ যোগ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
করোনাভাইরাস ঠেকাতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে তা সাময়িকভাবে পূরণের লক্ষ্যে শিক্ষকদের অনলাইনে ক্লাস নেয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়ে গত ২৪ মার্চ একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল ইউজিসি।
সরকার দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলা এবং ব্যাপক বিস্তার রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির মেয়াদ আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।