শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে উপজেলার বগাছড়ি হতে ২ হাজার ৬০০ কেজি ল্যাংড়া, হিমসাগর ও আম্রপালি জাতের আম ইতালিতে এবং ৪০০ কেজি আম যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হয়েছে। আরও সাড়ে ৮ হাজার কেজি আম রপ্তানির আদেশ পাওয়া গেছে।
চিনেও আম রপ্তানির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আশা করা হচ্ছে, এ মৌসুমে প্রায় ৭০-৮০ টন রপ্তানিযোগ্য আম এ উপজেলা থেকে সরবরাহ করা যাবে।’
কিছুদিন আগেও এলাকার চাষিরা আমে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব, কম ফলন এবং পরিচর্যার অভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় আম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেলেও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ‘বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের’ সহযোগিতায় এ উপজেলায় ল্যাংড়, হিমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকাসহ অন্যান্য জাতের আমের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মেহেদী মাসুদ জানান, এ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় হর্টিকালচার সেন্টারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট আম চাষিদের বাগানের নিবিড় পরিচর্যা, সার ও বালাইনাশক প্রয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এতে এ এলাকার আম বাগানের অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং রপ্তানিযোগ্য আমের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রকল্প এলাকার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রকল্পের নিজস্ব ট্রাকের মাধ্যমে আম পরিবহন করা হচ্ছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সরকারের এ কর্মকর্তা।