তিনি বলেন, ‘যারা স্কুল, কলেজ, অফিস ও আদালতে রয়েছেন, তাদের অনুরোধ করব আপনাদের বাসস্থান ও কর্মক্ষেত্রে গাছ লাগান। সেই সাথে আমাদের সন্তানদেরও শেখাতে (গাছ লাগানো) হবে। শুধু (গাছ) লাগালেই হবে না, পরিচর্যাও করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০১৯ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রত্যেককে অন্তত তিনটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে রয়েছে- একটি করে বনজ, ফলদ ও ভেষজ গাছ।
পরিবেশ রক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার দেশের মোট ভূমির ২০ শতাংশ বনায়নের আওতায় আনতে চায়। এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের সাথে সাথে প্রাকৃতিক জলাধার সৃষ্টি ও তা সংরক্ষণ এবং অধিক হারে বৃক্ষরোপণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার উপস্থিত ছিলেন এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার জন্য তিন ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৯ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদকপ্রাপ্তরা হলেন- পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ, বিশিষ্ট পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত ও বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মুবারক আহমেদ খান।
পদকপ্রাপ্ত দুই প্রতিষ্ঠান হলো- বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) ও এনভয় টেক্সটাইলস লিমিটেড।
পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন-২০১৯ ও বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৮ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানস্থল থেকে গাজীপুরে ‘শেখ কামাল ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টার’ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য ১২তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে বিআইসিসি প্রাঙ্গণে গাছ লাগিয়ে জাতীয় বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।