কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক আসাদ-উল-ইকবাল লতিফ।
১৯৫৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন লতিফ। তার একাডেমিক ও পেশাগত জীবন বর্ণাঢ্য।
কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ স্নাতক এবং শেভেনিং স্কলার হিসেবে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার অব লেটারস ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
এছাড়াও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার এবং হনুলুলুর ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারে জেফারসন ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
আরও পড়ুন: তুর্কি দূতাবাস-গ্যালারি কসমস আয়োজিত 'স্মাইলস অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড: অ্যান আর্টিস্টিক সেলিব্রেশন’
লতিফের সাংবাদিকতা জীবন শুরু হয় কলকাতার দ্য স্টেটসম্যানে। পাঁচ বছর সেখানে কাজ করার পর ১৯৮৪ সালে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান তিনি। সেখানে দ্য বিজনেস টাইমস ও দ্য স্ট্রেইটস টাইমসে কাজ করেন। পরে তিনি ইনস্টিটিউট অব সাউথইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের ভিজিটিং রিসার্চ ফেলো এবং ইনস্টিটিউট অব পলিসি স্টাডিজের ৫০ খণ্ডের সিঙ্গাপুর ক্রনিকলস সিরিজের সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর বেশ কয়েকটি আলোচিত বইয়ের লেখক লতিফ। যার মধ্যে রয়েছে- ‘বিটুইন রাইজিং পাওয়ারস: চায়না, সিঙ্গাপুর অ্যান্ড ইন্ডিয়া’, ‘থ্রি সাইডস ইন সার্চ অব এ ট্রায়াঙ্গল: সিঙ্গাপুর-আমেরিকা-ইন্ডিয়া রিলেশনস’ এবং ‘ইন্ডিয়া ইন দ্য মেকিং অব সিঙ্গাপুর’।
তার সাংস্কৃতিক কাজের মধ্যে রয়েছে 'সেলিব্রেটিং ইউরোপ: অ্যান এশিয়ান জার্নি' ও 'ইরোস: রুমিনেশনস অন লাভ ইন প্রোস অ্যান্ড ভার্স'।
সম্প্রতি ‘দুই বাংলা’র সাংস্কৃতিক অখণ্ডতা নিয়ে একটি বইয়ের পাণ্ডুলিপি শেষ করেছেন তিনি। বইটিতে আন্তর্জাতিক সীমান্তের দু'পাশে সমসাময়িক বাঙালি জীবনের অভিন্ন ঐতিহ্যের সন্ধান করা হয়েছে।
এছাড়াও বইটিতে বাংলার নবজাগরণ, জসীমউদ্দীনের প্রেমগাঁথা, বাংলার দুর্ভিক্ষ, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক বাঙালিত্ব, শহরের স্টেটসম্যান হাউসের বাঙালি সংস্কৃতি এবং অমর্ত্য সেনের বাংলার প্রভাব উঠে এসেছে।
ফেলো হিসেবে লতিফের মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি এবং অবদানের প্রত্যাশায় কসমস ফাউন্ডেশন।
কসমস ফাউন্ডেশন সম্পর্কে
কসমস গ্রুপের একটি মানবকল্যাণমূলক শাখা কসমস ফাউন্ডেশন, যা একটি ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত। কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিগত সমাধান দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে এই ট্রাস্ট।
এছাড়াও বাংলাদেশের শিল্পকলা আবিষ্কার, সংরক্ষণ ও বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সামনে তুলে ধরছে এই ফাউন্ডেশন।
ফাউন্ডেশনের অধীনে রয়েছে কসমস গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কিউরেটরিয়াল স্পেস, গ্যালারি কসমস ও প্রিন্টমেকিং স্টুডিও অ্যাটেলিয়ার ৭১।
এই ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য স্থানীয় দর্শকের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী শিল্প ও বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে ছড়িয়ে দেওয়া। এর মাধ্যমে যেন অতীতকে আলোকিত করা, বর্তমানকে যাচাইবাছাই করা ও ভবিষ্যতের কল্পনা করা যায়।
আরও পড়ুন: ব্যাংকিং খাতে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে থ্যালেসের সঙ্গে কসমস গ্রুপের সেমিনার