কাঠমান্ডু, ৩০ আগস্ট (ইউএনবি)- ‘শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল অভিমুখে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডুতে শুরু হয়েছে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) চতুর্থ সম্মেলন।
সংস্থার সদস্য দেশগুলোর নেতারা- বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের প্রধান উপদেষ্টা (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান) দাশু তিশিরিং ওয়াংচুক, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চ্যান-ও-চা দুদিনের সম্মেলনে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিমসটেকের বর্তমান সভাপতি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী ভাষণে কেপি শর্মা সদস্য দেশগুলোতে ঐক্যবদ্ধভাবে দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানান।
সেই সাথে এ অঞ্চলের জনগণের উপকারের জন্য দক্ষতার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ খাতে বিনিয়োগ করতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তরুণ ও শিশুদের প্রতি বিনিয়োগ হলো ভবিষ্যত ও সম্পদের জন্য বিনিয়োগ।’
বাণিজ্যকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইঞ্জিন আখ্যা দিয়ে বিমসটেক চেয়ারপার্সন বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে এ অঞ্চলের ভেতরে খুব কম বাণিজ্য হয়ে থাকে।
তিনি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং এ সংক্রান্ত সব ধরনের বাধা দূর করার প্রতি জোর দেন। ‘সংযোগ হলো এ অঞ্চলের বলিষ্ঠ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল।’
চলমান সম্মেলনে মূলত সংযোগ, দারিদ্র্য নির্মূল, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন, জলবায়ু পরিবর্তন ও নিরাপত্তা ইস্যুতে নজর দেয়া হবে। সেই সাথে বিমসটেক সচিবালয়কে শক্তিশালী ও কার্যকর করা, বিমসটেক উন্নয়ন তহবিল প্রতিষ্ঠা, বৌদ্ধ ধর্মীয় পরিধি, আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপন, বিমসটেক সনদ গ্রহণ ও অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলোতে করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে।
সদস্য দেশগুলোর মাঝে জ্বালানি বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচনের জন্য বিমসটেক গ্রিড ইন্টারকানেকশন প্রতিষ্ঠায় সম্মেলনে একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হবে।
সম্মেলনের শেষ দিন ৩১ আগস্ট নেতারা ‘শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ ও স্থিতিশীল বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল অভিমুখে’ শীর্ষক চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলন ঘোষণা গ্রহণ করবেন।
শুক্রবার দুদিনের সম্মেলন শেষে বিমসটেকের সভাপতিত্ব শ্রীলঙ্কার কাছে হস্তান্তর করবে বর্তমান সভাপতির দায়িত্বে থাকা নেপাল।
১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মাধ্যমে এই উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি গঠিত হয়। এর সাত সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা এসেছে দক্ষিণ এশিয়া থেকে এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়া থেকে এসেছে বাকি দুদেশ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড।