শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএসসিসি জানায়, প্রচারিত ছবিগুলোর মধ্যে দেখা যায়, কোন ছবিতে কুকুরকে বধ করে গাড়িতে তোলা হচ্ছে বা কোন ছবিতে দেখানো হচ্ছে, অনেকগুলো মৃত বেওয়ারিশ কুকুরকে মেরে নর্দমার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। আবার কোথাওবা দেখানো হচ্ছে বেওয়ারিশ কুকুরকে নিস্তেজ করে বা মেরে খোলা ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
ছবিগুলি সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও বিকৃত। এ ধরনের ছবি প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সকল নাগরিককে অনুরোধ জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সচেতন নাগরিকরা একটু মনোযোগ সহকারে খেয়াল করলেই বুঝতে সক্ষম হবেন যে, যে ছবিতে কুকুরকে বধ করে গাড়িতে ওঠানো হচ্ছে, সেই ছবির গাড়িতে পেছনে লেখা রয়েছে 'মন্ত্রণালয়' অর্থাৎ গাড়িটি কোনো মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু ডিএসসিসি পরিবহন বিভাগ যথেষ্ট সমৃদ্ধ বিধায় কখনোই কোনো মন্ত্রণালয়ের গাড়ি ব্যবহার করে না বা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই, গাড়িটি অবশ্যই ডিএসসিসির নয়। এছাড়াও কুকুর অপসারণ কার্যক্রমে কুকুরকে সাময়িকভাবে অচেতন করার জন্য যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়, সেই ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরপরই কুকুরকে গাড়িতে তোলা হয়। তাই অনেকগুলো কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে এক সাথে করে এক জায়গায় নর্দমার পাশে ফেলে রাখার কোনো অবকাশ থাকে না।
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের আরেকটি ছবিতে দেখানো হচ্ছে, অনেকগুলো নিস্তেজ বেওয়ারিশ কুকুরকে একটি খোলা ট্রাকের এক কোণায় সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। ব্যবহৃত খোলা ট্রাকটি 'মন্ত্রণালয়' লেখা মন্ত্রণালয়ের সেই গাড়িটির 'টপ ভিউ' মাত্র। প্রায় একই রকম আরেকটি ছবিতে অনেকগুলো নিস্তেজ কুকরকে নসিমন জাতীয় একটি খোলা গাড়িতে আড়াআড়িভাবে রাখা হয়েছে। পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড অবলোকন করলে স্পষ্ট হয় যে, ছবিটি কোনো গ্রামীণ এলাকার (হলুদ তীর দিয়ে দেখানো হয়েছে)। ঢাকা শহরের নয়। তাছাড়া, এ ধরনের গাড়ি ডিএসসিসি ব্যবহার করে না বা ডিএসসিসির মালিকানায় এ ধরনের কোনো গাড়ি নেই। অধিকন্তু কিছু কিছু ছবি এমনভাবে প্রচার করা হচ্ছে যেন, দেখে মনে হয় ডিএসসিসি বেওয়ারিশ কুকুরকে হত্যা করেছে।
বস্তুত ডিএসসিসি কোনো বেওয়ারিশ কুকুরকে হত্যা করেনি বা করছেও না। তাই মিথ্যা, বানোয়াট ও বিকৃত ছবির পসরা সাজিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা কোনো সংঘবদ্ধ চক্র ডিএসসিসি'র ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এই ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে ঢাকাবাসী ও দেশের আপামর জনসাধারণকে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি যারা এই অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছেন এটা অব্যাহত রাখা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮' এর মাধ্যমে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে জানানো হয়।