মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের এ ঘটনায় প্রসূতি মা আরিফা খাতুন সুস্থ রয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানান, জোড়া লাগানো শিশু দুটির শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিক থাকলেও দুজনের শরীরে একটি মাত্র হৃদপিণ্ড ও একটি লিভার ছিল।
এর আগে সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধান ডা. তরুন কান্তি ঘোষের তত্বাবধানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে শিশু দুটির জন্ম হয়।
ডা. তরুন জানান, প্রায় এক মাস আগে কুমারখালীর রাজাপুর গ্রামের আবু তালেবের গর্ভবতী স্ত্রী আরিফা এ হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করতে আসেন। পরীক্ষায় আরিফার পেটে জোড়া লাগানো যমজ শিশু দেখা যায়। পরে আরো পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায়, শিশু দুটির শরীরে একটিমাত্র হৃদপিণ্ড ও লিভার রয়েছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আইয়ুব আলী বলেন, শিশু দুটির বুক থেকে পেট পর্যন্ত জোড়া লাগানো। তবে তাদের শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা হলেও হৃদপিণ্ড ও লিভার একটি হওয়ায় জন্মের প্রায় ৩ ঘণ্টা পর মারা যায় শিশু দুটি।
এদিকে, বিরল প্রকৃতির এই যমজ শিশু দেখতে অনেককেই হাসপাতালে ভিড় করতে দেখা যায়।