বুধবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সিপিসি-৩, র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান। উপজেলার জিনজিরা আতাসুর এলাকায় এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত র্যাব সদর দপ্তর এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারোয়ার আলমের পরিচালনায় এবং সিপিসি-৩, র্যাব-১০ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান এর সমন্বয়ে ওই এলাকায় নকল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় একটি মোবাইল কোর্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন কোম্পানির নামে নিম্নমানের, ভেজাল ও নকল প্রসাধনী তৈরি এবং মোড়কজাত করে বাজারজাত করার দ্বায়ে ৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা ও সিলগালা করাসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়াও প্রায় ৮ কোটি টাকা মূল্যের প্রসাধনী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। কারখানাগুলোতে দেশি বিদেশি নামী দামি ব্র্যান্ডের নামে প্রায় ২৬ প্রকারের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী তৈরি হচ্ছিল যা অধিকাংশ শিশুদের জন্য তৈরি।
র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। নকল পণ্যগুলো প্রথমে রাজধানীর চকবাজারে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে সেগুলো চলে যায় সারা দেশে। অতিরিক্ত লাভের আশায় এসব নকল পণ্য তৈরি করতেন এই চক্রটি।
সারোয়ার আলম আরও বলেন, সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া এসব ভেজাল কসমেটিকস অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য। কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা বেবি পণ্য ব্যবহার বাচ্চাদের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। এগুলো কিনে ক্রেতারা যেমন প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি স্বাস্থ্যঝুঁকিতেও পড়ছেন।
যেসব দোকানে এ ধরনের নকল প্রসাধনী বিক্রি করা হচ্ছে পরবর্তীতে সেখানেও অভিযান চালানো হবে বলে এ র্যাব কর্মকর্তা জানান।