শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক এবং নাগরিক’র ব্যানারে আয়োজিত এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ আহ্বান জানান।
পাশাপাশি হামলার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের পর তাদের শাস্তিরও দাবি জানান তারা।
সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় বক্তারা কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার করতে সরকারের কাছে দাবি জানান। এছাড়া এ ঘটনায় আটকদের মুক্তি এবং কোটা সংস্কারের প্রজ্ঞাপন ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. ফাহমিদুল হক বলেন, ‘দেশ উল্টো পথে চলছে। ছাত্রলীগের হামলায় আহতদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে।’
এর আগে সোমবার পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন ফাহমিদুল হক।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।