তারা বলছেন, তারা কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়েছিলেন, বাতিল চাননি। তাই কোটা বাতিলের কারণে উদ্ভূত সমস্যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোটা বাতিলের অনুমোদন পাওয়ার পরের দিন পরিপত্র জারি করে সরকার। এরপর থেকেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে আরেকদল শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট। আমরা কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়েছি, বাতিল নয়। কিন্তু সরকার ১ম ও ২য় শ্রেণির জন্য কোটা বাতিল করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা শুধু ১ম ও ২য় শ্রেণি নয়, সকল শ্রেণিতেই কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চেয়েছি। কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে। যদি সরকার চায়, তাহলে করতে পারে।’
কিছু কোটা থাকার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে মামুন বলন, ‘সংস্কার না করে, কোটা বাতিল করার জন্য কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। কারণ আমরা মনে করি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কিছু কোটা রাখা প্রয়োজন।’
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা সকল ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার করতে হবে এবং যারা হামলা চালিয়েছে তাদের শাস্তি দিতে হবে।
পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত ইতিবাচকভাবে নিলেও সন্তুষ্ট নই। কারণ আমরা কোটা সংস্কার চেয়েছি, বাতিল নয়।’