প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বর্তমান অর্থবছরের ২৩তম একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
তবে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা ৭টি মন্ত্রণালয়ের ১০টি প্রকল্প উত্থাপন করি। ১০টি প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬২৭৬.০৩ কোটি টাকা। তার মধ্যে ১৪৪০১.৫২ কোটি টাকা জাতীয় তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।’
তিনি বলেন, ১০টি প্রকল্পের মধ্যে চারটি আগেই অনুমোদন পেয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য বৈঠকে উত্থাপন করা হয়।
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত দুটি প্রকল্প হলো- ১১২৭.৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কোভিড-১৯ জরুরি সাড়াদান ও মহামারি প্রস্তুতি প্রকল্প’ এবং ১৩৪৫.৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কোভিড-১৯ জরুরি সাড়াদান সহায়তা প্রকল্প’।
২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
প্রকল্প দুটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই দুটি প্রকল্প আগেই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আজকের বৈঠকে এর কোনো সংশোধনের প্রয়োজন পড়েনি।
কোভিড-১৯ প্রকল্প দুটি অনুমোদন দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানো এবং প্রতিটি জেলায় হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ইউনিট স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, বলেন তিনি।
পাশাপাশি চারটি নতুন এবং চারটি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক।
চারটি নতুন প্রকল্প হলো-৩১২৮.৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কর্মসূচির ৭ম ধাপ, ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কৃষিতে যথাযথ প্রযুক্তি এবং যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ও কাটা আরও লাভজনক করার প্রকল্প, ৬০.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে উন্নত মানের মশলা জাতীয় বিজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বিতরণ প্রকল্প এবং ৪৭৫.২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সাক্ষীরা জেলায় ড্রেনেজ পদ্ধতি উন্নতকরণ প্রকল্প।