নিবন্ধে ফোর্বস দাবি করে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের আট নারীর অবদান বিশ্বজুড়ে ‘স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য’।
ম্যাগাজিনের নিবন্ধে বলা হয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেয়া ১৬ কোটিরও বেশি মানুষের দেশ বাংলাদেশ বিভিন্ন সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে এক পরিচিত নাম।
শেখ হাসিনা তার দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার যে ক্ষমতা দেখিয়েছেন তা ‘প্রশংসনীয়’ বলে এক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় ফেব্রুয়ারির শুরুতে চীন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনা শুরু করেছিলেন।
মার্চের গোড়ার দিকে প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্তকরণের পরে, প্রধানমন্ত্রী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করেন এবং কম গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যবসায়িক কাজ অনলাইনে করার ওপর জোর দেন।
নিবন্ধে বলা হয়, তারপরে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তিনি প্রযুক্তির ব্যবহারকে ত্বরান্বিত করেছিলেন। দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ ডিভাইস স্থাপন করে সাড়ে ছয় লাখ লোকের স্ক্রিনিং করার ব্যবস্থা করেছেন। যার মাধ্যমে ৩০ হাজার লোককে তাৎক্ষণিকভাবে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। যা যুক্তরাজ্যের মতো দেশ এখনও করতে পারছে না।
এছাড়া প্রতিবেদনে, সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব ও চীনের হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম উভয়ইকে তাদের দেশে এ সংকটে সামনে থেকে প্রাথমিক ও অত্যন্ত কার্যকর নেতৃত্বের দেয়ার জন্য প্রশংসা করা হয়। সিঙ্গাপুর এখন এ সংকটের দ্বিতীয় ধাপ মোকাবিলা করছে আর হংকং প্রায় পুরোপুরি মোকাবিলা করতে পেরেছে।
এতে বলা হয়, নারীরা এখন বিশ্বজুড়ে ১৮ দেশের সাড়ে ৫৪ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৭ শতাংশ (ফরচুন ৫০০ মতে নারী সিইও এর হারও প্রায় এরই সমান)।
বিশ্বব্যাপী লিঙ্গ-সমতা নিয়ে পরামর্শদাতা ও বিশ্বের প্রথম সারির ২০ জন সিইও এর একজন আভিভা উইটেনবার্গ-কক্স লেখা এ নিবন্ধে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ এবং ইথিওপিয়া থেকে জর্জিয়া এমনকি সিঙ্গাপুর পর্যন্ত নারীরা রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। যা তারা কৃত্বিত্বের সাথেই পালন করছেন।